বিজ্ঞাপন

ঈদে ট্রেন যাত্রা: অপেক্ষার সময় কাটছে স্মার্টফোনে 

June 13, 2018 | 5:36 pm

।। মেসবাহ শিমুল, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: ঈদুল ফিতরের ছুটিতে পুরোদমে ভিড় শুরু হয়েছে রেলপথে। বুধবার স্পেশাল সার্ভিস শুরু হওয়ায় যাত্রী পরিবহন সক্ষমতাও বেড়েছে রেল পথে। সকাল থেকে রাত অবধি যাত্রীদের উপস্থিতিতে এখন সরগরম কমলাপুরের বিশাল প্ল্যাটফর্ম। যাত্রীদের বেশিরভাগই নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই আসছেন স্টেশনে। যে যেখানে যেভাবে পারছেন ব্যাগ-ব্যগেজ নিয়ে বসে পড়ছেন। অপেক্ষা নির্ধারিত ট্রেনের জন্য। তাদের অপেক্ষার এ সময়টুকুতে সঙ্গ দিচ্ছে হাতের স্মার্টফোন। নারী-পুরুষ, তরুণ কিংবা মাঝবয়সী এসব স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের দেখলে মনে হয়— ট্রেন যখন খুশি আসুক, কোনো সমস্যা নেই।

দুপুর একটায় ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে কথা হয় পাবনার শরীফুলের সঙ্গে। রাজশাহী এক্সপ্রেসের জন্য প্ল্যাটফর্মের পিলারের নিচে বসে আছেন। হাতের স্মার্টফোনে ব্রাউজ করছেন ফেসবুক। সেইসঙ্গে সমানতালে বন্ধুদের সঙ্গে চলছে চ্যাটিংও। সারাবাংলা’কে তিনি বলেন, সাড়ে ১২টায় ট্রেন, এখনো আসেনি। তাই বসে বসে সময় কাটাচ্ছি।

তার পাশে নিলুফার জাহানও ওই ট্রেনের অপেক্ষায়। যাবেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ। বললেন, মোবাইলে পত্রিকা পড়ি। নতুন নতুন কিছু রেসিপিও দেখছি। স্মার্টফোনের ব্যবহার জানেন বলে সময়টা খারাপ যাচ্ছে না, এমনই মত নিলুফারের।

বিজ্ঞাপন

স্মার্টফোনের এ যুগে কোনো যাত্রাই একা নয়— এমন মন্তব্য করে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের যাত্রী বশিরুল ইসলাম বললেন, একটু আগেভাগেই কমলাপুর এসেছেন পরিবার নিয়ে। তবে পরিবেশ খুব বেশি খারাপ নয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও যথেষ্ট ভালো। তাই খুব একটা টেনশন নেই। মাঝে মাঝেই পকেট থেকে স্মার্টফোনটি বের করছেন, ইন্টারনেট ব্রাউজ করছেন, গেমও খেলছেন। এরই মধ্যে রেল স্টেশনের কয়েকটি ছবিও ফেসবুকে আপলোড করেছেন তিনি।

সিল্প সিটি এক্সপ্রেসের যাত্রী রুমানা যাবেন রাজশাহী। কোলের ছেলে আর কয়েকটি ব্যাগ-বস্তার সঙ্গে প্ল্যাটফর্মের মেঝেতে বসে আছেন। পাশে একটু দূরে বসে তার স্বামী সোহেল রানা মোবাইলে গেম খেলছেন। সোহেল রানা জানান, ১টা ২০-এ ট্রেনে আসার কথা ছিল। সেই ট্রেনের জন্যই এখনও অপেক্ষা করছেন।

বিজ্ঞাপন

ঢাকার একটি কওমি মাদরাসার ছাত্র ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার সাইফুল হক। পিলারের নিচে বসে বই পড়ছিলেন। জানতে চাইলেই বললেন, উর্দু ভাষায় লেখা বইটি তার পাঠ্যবই। সাইফুল বলেন, ‘ট্রেন যখন আসে আসুক। অপেক্ষার এই সময়টা পড়ার মধ্যে থাকলে খারাপ লাগে না। ছুটিতে গেলেও দু’টি ক্লাসের বই নিচ্ছি। সময় পেলেই পড়ব।’

এদিকে, ঈদ স্পেশাল সার্ভিসের প্রথম দিন বুধবার ট্রেনের বহরে নতুন পাঁচটি ট্রেন যুক্ত হয়েছে। এখন থেকে আগামী তিন দিন মোট ৫৯টি ট্রেন ছাড়বে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে। স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী সারাবাংলা’কে জানালেন, প্রতিটি ট্রেনে নতুন বগিও যোগ করা হয়েছে। তবে হিসাব নেই বলে নতুন ‍যুক্ত বগির সংখ্যা সুনির্দিষ্টভাবে জানাতে পারেননি তিনি।

বিজ্ঞাপন

সিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, ‘ট্রেনের শিডিউলে খুব বেশি নড়চড় হচ্ছে না। সময়তোই ট্রেন ছাড়ছে। ভেতরে দাঁড়িয়ে যাত্রীরা যাতায়াত করলেও নিরাপত্তার স্বার্থে এবার ছাদে কাউকে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না।’

সারাবাংলা/এমএস/জেডএফ

** দ্রুত খবর জানতে ও পেতে সারাবাংলার ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন: Sarabangla/Facebook

আরও পড়ুন-

ট্রেনে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্নে হচ্ছে: রেলমন্ত্রী

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন