বিজ্ঞাপন

‘অপরাধ করলে কেউ পুলিশ পরিচয়ে মাফ পাবে না’

June 13, 2018 | 6:03 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার মো.মাহাবুবুর রহমান বলেছেন, মাদক ব্যবসায়ী কিংবা অপরাধীদের সাথে সখ্যতা আছে এমন কাউকে পুলিশ বলে গণ্য করা হবে না। তাদের অপরাধী হিসেবে গণ্য করা হবে। অপরাধ করলে কেউ পুলিশ পরিচয়ে মাফ পাবে না।

বুধবার (১৩ জুন) দুপুরে চট্টগ্রামের গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন। সিএমপি কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার একদিনের মাথায় মাহাবুবুর রহমান গণমাধ্যম কর্মীদের মুখোমুখি হন।

মাদক ব্যবসায়ীর তালিকায় চট্টগ্রামের কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার নাম থাকার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কিংবা তাদের জন্য সহানুভূতি আছে এমন কোনো পুলিশ সদস্য আমার আমলে সিএমপিতে কাজ করতে পারবে না। অভিযোগ থাকলে অবশ্যই তদন্ত হবে। তারপর বিভাগীয় শাস্তির ব্যবস্থা হবে।’

বিজ্ঞাপন

সাধারণ মানুষকে হয়রানি, মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পুলিশ হয়ে কেউ যদি মানুষকে হয়রানি করে তাহলে মাফ পাবে না।’

পুলিশের কাজে সরকারি দলের নেতাদের তদবিরের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘পুলিশের কাজে রাজনৈতিক সংগঠন বিশেষ করে সরকারি দলের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি দলের সহযোগিতা সবসময় প্রয়োজন হয়। তবে মাদক সংক্রান্ত বিষয়ে রাজনৈতিক পর্যায় থেকে কোনো তদবির গ্রহণ করা হবে না।’

চট্টগ্রাম নগরীর যানজট নিরসনে রিকশা চলাচল নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ নেবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই শহরে রিকশা না চললে অনেকের চেয়ে আমি সবচেয়ে বেশি খুশি হব তবে এই সিদ্ধান্ত আমাদের আওতার বাইরে। এর সঙ্গে রাজনৈতিক, মানবিক এবং জনগণের চাহিদার বিষয় জড়িত। তবে এটা নিয়ন্ত্রণ দরকার। প্রতীকী হিসেবে নগরীর কিছু রাস্তা রিকশামুক্ত করার চেষ্টা করব।’

বিজ্ঞাপন

সাবেক পুলিশ সুপার মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার অগ্রগতির বিষয়ে সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘তদন্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। মামলাটিকে চূড়ান্ত রূপ দিতে বেশিদিন সময় লাগবে না।’

সাম্প্রতিক সময়ে ‘সাংবাদিক’ পরিচয়ে চাঁদাবাজির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে হলে মূলধারার সাংবাদিকদের সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। আপনাদের সংগঠন যদি বলে এরা সাংবাদিক নয়, তখন আমরা ব্যবস্থা নেব।’  এছাড়া রাস্তায় চলাচলরত সাংবাদিক কিংবা প্রেস স্টিকারযুক্ত অবৈধ যানবাহনগুলোকে আইনের আওতায় আনার কথাও বলেছেন সিএমপি কমিশনার।

এসময় সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার কুসুম দেওয়ান, মাসুদ-উল-হাসান, আমেনা বেগম, উপ-কমিশনার এস এম মোস্তাইন হোসেন, মো.আব্দুল ওয়ারিশ খাঁন, হারুন অর রশীদ হাজারী ও মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, অতিরিক্ত উপ কমিশনার অলক বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/আরডি/এমও

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন