বিজ্ঞাপন

‘জিডি করেছিলেন সুমন, পুলিশ বলেছিল পিস্তল নিতে’

June 14, 2018 | 3:31 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার সাক্ষী, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীনের সন্তান সুমন জাহিদ ক্রমাগত হুমকি পাওয়ায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন। এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে একটি পিস্তল কেনার পরামর্শ দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) দুপুরে রাজধানীর খিলগাঁও বাগিচা এলাকা থেকে সুমন জাহিদের লাশ উদ্ধারের পর তার স্বজনরা সারাবাংলা’কে এসব কথা বলেন।

সুমন জাহিদের শ্যালক কাজী বখতিয়ার উদ্দীন বলেন, ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ার পর থেকে ক্রমাগত তিনি হুমকি পাচ্ছিলেন। সবশেষ একমাস আগে ফোনে ও বিভিন্ন মাধ্যমে তাকে হুমকি দেওয়া হয়। এ নিয়ে শাজাহানপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছিল।’ তবে জিডি নম্বর বা জিডি দায়েরের তারিখ বলতে পারেননি তিনি।

নিহত সুমন জাহিদের ছোট ভায়রা বুলবুল আহমেদ জানান, একমাস আগে ফের তিনি হুমকি পেলে থানায় গিয়ে পুলিশকে বিষয়টি আবার জানান। তখন পুলিশ তাকে বলেছিল, নিরাপত্তার জন্য আপনি একটা পিস্তল কিনে ব্যবহার করুন।

বিজ্ঞাপন

শাজাহানপুর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) কুমার জানান, সুমন জাহিদ গত বছর নিজের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি করেছিলেন। জিডি নম্বর ৯১৪। ২১/৭/১৭ তারিখে জিডিটি করা হয়েছিল।

তিনি আরও জানান, জিডি করার পর প্রত্যেক মাসে শাজাহানপুর থানার একটি টহল টিম সুমন জাহিদের ৩১২ নম্বরের বাসায় যেত। সর্বশেষ গত ২৮ মে তার বাসা পরিদর্শন করে আসে পুলিশ। এছাড়া লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আরেকটি জিডি (নং-৫৯৬) করা হয়েছে। পুলিশ পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।

উল্লেখ্য, সুমন জাহিদ শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীনের ছেলে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত পলাতক চৌধুরী মাঈনুদ্দিন ও আশরাফুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) সকালে রাজধানীর খিলগাঁও বাগিচা এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় ছিল।

বিজ্ঞাপন

সুরতহালের জন্য সুমন জাহিদের লাশ ডিআরপি (রেলওয়ে পুলিশ) থানা, কমলাপুরে রাখা হয়ে। পরে সেখান থেকে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নেওয়া হয় ঢামেক হাসপাতালে।

ঘটনাস্থল থেকে লাশ সুমনের লাশ উদ্ধারকারী কমলাপুর জিআরপি থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘রেললাইনের বাইরের পাশের স্লিপারের ওপরে লম্বালম্বি লাশটি পড়ে ছিল। শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে দুই-তিন হাত দূরে ছিল। ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগে উৎসুক জনতা মাথাটা শরীরের কাছে এনে রাখে।’

তবে কোন ট্রেনে কাটা পড়ে তিনি মারা গেছেন বা কখন এ ঘটনা ঘটেছে তার কোনো প্রত্যক্ষদর্শী পাওয়া যায়নি বলেও জানান এএসআই আনোয়ার।

সারাবাংলা/ইউজে/এমও

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন-

মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের সাক্ষী সুমন জাহিদের লাশ উদ্ধার

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন