বিজ্ঞাপন

মাদক নির্মূলে সীমান্তে হচ্ছে বর্ডার লিয়াজোঁ অফিস

June 26, 2018 | 7:02 pm

।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: সীমান্তে মাদকবিরোধী তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করতে বর্ডার লিয়াজোঁ অফিস তৈরিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, ভারত ও মিয়ানমার সীমান্তে উভয় দেশের সহযোগিতা থাকবে এই অভিযানে।

মঙ্গলবার (২৬ জুন) জাতীয় সংসদে নেত্রকোনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান।

স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদক সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পাঁচটি ফলপ্রসূ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও নারকোটিক্স কনট্রোল ব্যুরো বৈঠক করেছে। পাশাপাশি ইয়াবা পাচার রোধে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে এ পর্যন্ত তিনটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিটি বৈঠকে বাংলাদেশ মিয়ানমার ও ভারতের মাদক বিক্রেতা এবং মাদক তৈরির গোপন কারখানার তালিকা তাদের কাছে হস্তান্তর করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

“চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত ২৭ হাজার ৩৪০ মামলায় ৩৫ হাজার ১১২ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে ৩ কোটি ২৮ লাখ ২৫ হাজার ৬১১ পিস ইয়াবা। এছাড়া চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে মে ও জুনে ১৫ হাজার ৩৩৩ মামলায় ২০ হাজার ৭৬৭ আসামিকে গ্রেফতার এবং ২৬ লাখ ৫৯ হাজার ৮০৭ পিস ইয়াবা জব্দ এবং এক হাজার ২৮৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।”

মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারকে ইয়াবা উৎপাদন ও সরবরাহ বন্ধ এবং সীমান্তে অবস্থিত ইয়াবা তৈরির কারখানা সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে আমরা ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছি। দেশব্যাপী ইয়াবা ব্যবসায়ীদের তালিকা হালনাগাদ করে সর্বাত্মক অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। মাদকের গডফাদার ও পৃষ্ঠপোষকদের আইনের আওতায় আনতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ এ খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। বর্তমান সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। এ নীতি বাস্তবায়নে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, পুলিশ, বিজিবি র‌্যাবসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নিরলসভাবে কাজ করছে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরকে শক্তিশালী করতে ঢেলে সাজানো হয়েছে। ইতোমধ্যে জনবল ১ হাজার ৭০৬ জন থেকে ৮ হাজার ৫০৫ জনে উন্নীত করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সংসদ সদস্য দিলারা বেগমের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ৬৮টি কারাগার রয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১৩টি কারাগার নব নির্মাণ ও সংস্কার করে চালু করা হয়েছে। এছাড়া ৮টি নতুন কারাগারের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। যা ৩০ জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। নতুনভাবে আরও ছয়টি কারাগার সংস্কারের কাজ শুরু করা হয়েছে।

সারাবাংলা/এইচএ/এটি

** দ্রুত খবর জানতে ও পেতে সারাবাংলার ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন: Sarabangla/Facebook

বিজ্ঞাপন

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন