বিজ্ঞাপন

জাবিতে সিনেট অধিবেশন প্রতিহতের ঘোষণা

June 26, 2018 | 7:16 pm

।। ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) অনুষ্ঠিতব্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৭তম বার্ষিক সিনেট অধিবেশন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষকদের একাংশ। ওইদিন সকাল আটটা থেকে পুরাতন রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে উপস্থিত থেকে সিনেট অধিবেশন প্রতিহত করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। তবে সেই প্রতিহত কীভাবে করা হবে তা স্পষ্ট করা হয়নি।

মঙ্গলবার (২৬ জুন) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদের ডিন অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’-এর সভাপতি অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার বলেন, ‘১৯৭৩-এর অধ্যাদেশ অনুসারে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সিনেট অধিবেশন থেকে ৩ জন সিন্ডিকেট সদস্য ও অর্থ কমিটির একজন সদস্য সিনেট সদস্যদের মধ্য থেকে নির্বাচিত করার ব্যাপারে আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য আমরা দাবি জানিয়েছিলাম। একই দাবি করে সিনেটের শিক্ষক ও রেজিস্ট্যার্ড গ্রাজুয়েট প্রতিনিধিদের কয়েকজন সদস্য নিয়ম অনুযায়ী ১৫ দিন আগেই উপাচার্য বরাবর লিখিত আবেদন করেন। কিন্তু উপাচার্য এই বিষয়টি আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভূক্ত করেননি। এমন অবস্থায় যতদিন পর্যন্ত এই বিষয়টি সিনেটের আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভূক্ত করা না হবে ততদিন আমরা সম্মিলিতভাবে সিনেট ও সিন্ডিকেট সভা প্রতিহত করবো।’

বিজ্ঞাপন

সংগঠনটির সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ বলেন, দীর্ঘ ১৯ বছর পর সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচন হয়েছে। এতে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কোনো দাবি না মেনে উপাচার্য ১৯৭৩-এর অধ্যাদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছেন। যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

তিনি আরো বলেন, গত ১৭ এপ্রিল শিক্ষকদের উপর হামলার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু আজ পর্যন্ত তার কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। এ ছাড়া আমরা দেখতে পাচ্ছি উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ পাওয়ার পর একের পর এক ‘অধ্যাদেশবিরোধী’ কর্মকাণ্ড করেই যাচ্ছেন। সবশেষ নিজ ক্ষমতাবলে তিনি দুজন সিন্ডিকেট সদস্যকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

এ সময় সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিনেটে রেজিস্টার্ড গ্রাজুয়েট প্রতিনিধি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর কবির, নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক মো. সানোয়ার হোসেন, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খন্দকার হাসান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরবিএ/এমআই

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন