বিজ্ঞাপন

অধ্যক্ষ সিরাজকে বেত দিয়ে মেরেছিলেন নুসরাতের মা

July 15, 2019 | 8:42 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

ফেনী: ফেনীর আলোচিত মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন সোনাগাজী মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. হোসাইন, সোনাগাজী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. ইয়াছিন ও অ্যাম্বুলেন্স চালক নুরুল করিম।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৫ জুলাই) এই মামলার ১৩তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ হয়।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) আরও ৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ঠিক করা হয়েছে। তারা হচ্ছে সোনাগাজী ফাজিল মাদরাসার পরীক্ষার কেন্দ্র সচিব মাওলানা নুরুল আফসার ফারুকী, ওই মাদরাসার ছাত্রী তানজিনা বেগম সাথী ও বিবি জাহেদা বেগম তামান্না। এ নিয়ে পর্যন্ত ১৮ জনের সাক্ষ্য ও জেরা শেষ হয়েছে।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী এম. শাহজাহান সাজু বলেন, ‘সাক্ষীর জবানবন্দীতে মাদরাসার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হোসাইন বলেছেন, অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার স্বভাব চরিত্র খারাপ ছিল। ছাত্রীরা সিরাজের ব্যাপারে বিভিন্ন সময় বিচার দিত। ২৭ মার্চ নুসরাতের মা বিচার দিয়েছেন সেটিও মো. হোসাইন জানতেন।

বিজ্ঞাপন

সোনাগাজী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. ইয়াছিন তার জবানবন্দিতে বলেছেন, ২৭ মার্চ তিনি নুসরাতের মায়ের সাথে ছিলেন। নুসরাতের মা শিরিন আখতার ওই দিন সিরাজ উদ দৌলাকে বেত দিয়ে মারধর করে। পরে নুসরাত অধ্যক্ষের রুমে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। নুসরাতের ভাই সিরাজকে মারধর করার চেষ্টা করছিল। অ্যাম্বুলেন্স চালক নুরুল করিম তার জবানবন্দিতে বলেছেন, ৬ এপ্রিল ঢাকা নেওয়ার সময় নুসরাত বলেছে, কীভাবে তাকে নিচ থেকে ওপরে নিয়ে গেছে সে কথাগুলো তিনি শুনেছেন। আদালতকে তিনি সে বিষয়টি জানিয়েছেন’।

উল্লেখ্য, এ বছরের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের দায়ে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৬ এপ্রিল ওই মাদরাসা কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে টানা পাঁচদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ১০ এপ্রিল মারা যান নুসরাত জাহান রাফি।

সারাবাংলা/পিটিএম

বিজ্ঞাপন

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন