April 11, 2018 | 7:11 pm
।। শুভজিৎ পুততুণ্ড।।
কলকাতা থেকে : ভারতের পার্লামেন্টে বাজেট অধিবেশন চলছে। কিন্তু বিক্ষোভের মুখে পার্লামেন্টের অধিবেশন বারবার ব্যাহত হচ্ছে। এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপি প্রেসিডেন্ট অমিত শাহসহ অন্যান্য নেতা সারাদিন অনশন করবেন।
বিজেপি মুখপাত্র জি. ভি. এল. নরসীমা রাও বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী অনশনে বসবে। তবে তিনি তার অফিসিয়াল দায়িত্ব ঠিকই পালন করবেন।
বিরোধীদের পার্লামেন্ট কার্যক্রম ব্যাহত করার প্রতিবাদে বিজেপি যে দিনভর অনশনের ঘোষণা দিয়েছে সেটির অংশ হিসেবেই প্রধানমন্ত্রী অনশনে বসবেন। গত সপ্তাহে বিজেপি অনশন কর্মসূচির কথা ঘোষণা করে।
বিজেপি প্রেসিডেন্ট অমিত শাহ কর্ণাটকের হুবলিতে অনশন পালন করবেন। বিজেপি প্রধান সেখানে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারণা চালাচ্ছেন। আর দলের এমপিরা তাদের নির্বাচনী এলাকায় অনশন করবেন।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিআরএস লেজিসলেটিভ রিসার্চ জানিয়েছে, চলতি অধিবেশন ২০০০ সালের পর থেকে সবচেয়ে কম কার্যকর ছিল।
এদিকে এই অচলাবস্থার জন্য বিজেপি ও প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস একে অপরকে দায়ী করেছে।
এর আগে সোমবার কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধী মহাত্মা গান্ধীর সমাধিসৌধে কংগ্রেসের অনশনে নেতৃত্ব দেন।
উল্লেখ্য, ভারতে কাবেরী পানি বণ্টন থেকে শুরু করে অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা, পাঞ্জাব ন্যাশানাল ব্যাংক জালিয়াতি সব একাধিক কারণে সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বে নজিরবিহীনভাবে অচলাবস্থা তৈরি হয় সংসদের দুই কক্ষেই। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর বিক্ষোভ প্রতিবাদের জেরে গত ৫ মার্চ থেকে শুরু হওয়া সংসদে দ্বিতীয় পর্বে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থ বিল পাশ হওয়া বাদ দিলে তেমন কোনো সংসদীয় কাজকর্ম হয়নি।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার রাজঘাটে সাম্প্রদাতিক সম্প্রীতি গড়ার লক্ষ্যে অনশন কর্মসূচি পালন করে কংগ্রেস। যেখানে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।
সারাবাংলা/একে