বিজ্ঞাপন

অভিবাসী দিবস উদযাপন করেছে জাপানে বাংলাদেশ দূতাবাস

December 19, 2017 | 2:37 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট :

বিজ্ঞাপন

ঢাকা : আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উদযাপন করেছে জাপানের টোকির বাংলাদেশ দূতাবাস। এ উপলক্ষে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

জাপানে কীভাবে বাংলাদেশি অভিবাসীর সংখ্যা বৃদ্ধি করা যায়, অভিবাসীদের সমস্যা দূর করার উপায় এবং কীভাবে দেশে বৈধ পথে এবং সহজে আরো বেশি রেমিটেন্স পাঠানো যায় ইত্যাদি বিষয় অনুষ্ঠানে উঠে আসে।

দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব (প্রেস) মুহা. শিপলু জামান টোকিও থেকে সারাবাংলাকে জানান, আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উদযাপন উপলক্ষে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দিবসটি উদ্দেশ্য করে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর বানী পাঠ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

সম্প্রতি প্রয়াত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক, চট্রগ্রামের সাবেক মেয়র এ. বি. এম. মহিউদ্দিন চৌধুরী এবং প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হক স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

অনুষ্ঠানের পরবর্তী অংশে, জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বক্তব্য দেন। জাপান প্রবাসী অভিবাসীরা তাঁদের ব্যস্ত সময়ের মধ্যেও অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ায় রাষ্ট্রদূত তাঁদের ধন্যবাদ জানান।

রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, বর্তমান বিশ্বের প্রেক্ষাপটে অভিবাসী দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘নিরাপদ অভিবাসন যেখানে, টেঁকসই উন্নয়ন সেখানে’ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে। মায়ানমারের বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাদের আশ্রয়  দিয়ে বাংলাদেশ এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

বিজ্ঞাপন

এ ছাড়া তিনি, অভিবাসীদের উন্নয়নে সরকরের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা চিত্র তুলে ধরে সকলকে দেশের কল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানান।

পরে জাপানে বাংলাদেশের অভিবাসীদের অবস্থান ও ক্রমধারা নিয়ে একটি উপস্থাপনা করেন দূতাবাসের শ্রম-কাউন্সিলর জাকির হোসেন। পাশাপাশি বাংলাদেশি অভিবাসীদের সম্ভাবনা ও সার্থকতা নিয়ে একটি ভিডিও ডকুমেন্টরি দেখানো হয়।

পরবর্তী অংশে, উপস্থিত অভিবাসীদের সাথে মুক্ত আলোচনা করা হয়। আলোচনায় জাপানে কীভাবে বাংলাদেশি অভিবাসীর সংখ্যা বাড়ানো যায়, অভিবাসীদের সমস্যা দূর করার উপায় এবং কীভাবে দেশে বৈধ পথে এবং সহজে আরো বেশি রেমিটেন্স পাঠানো যায় ইত্যাদি বিষয় উঠে আসে।

অভিবাসীরা জাপানে পড়তে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের আসার পথ সুগম করা এবং পড়া শেষে কাজ করার বিষয়ে দূতাবাসের সহযোগিতা চান। জবাবে রাষ্ট্রদূত সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং অনেক বছর ধরে অবস্থান করা অভিবাসীদেরও এ ব্যাপারে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

বিজ্ঞাপন

এ সময় দূতাবাসের সকল কর্মকর্তাগণ ও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/জেআইএল//

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন