বিজ্ঞাপন

আয়ানের মৃত্যু: ৫ সদস্যদের নতুন তদন্ত কমিটি করে দিলেন হাইকোর্ট

February 20, 2024 | 1:51 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাজধানীর বাড্ডার সাতারকুলে ইউনাইটেড হাসপাতালে সুন্নতে খৎনা করার পর চিকিৎসাধীন শিশু আয়ানের মৃত্যুর কারণ তদন্তে নতুন করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিজ্ঞাপন

পাঁচ সদস্যের কমিটির সদস্যরা হলেন— শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এ বি এম মাকসুদুল আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শশাঙ্ক কুমার মণ্ডল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন, জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) সহকারী অধ্যাপক সাথী দস্তিদার ও ঢাকা শিশু হাসপাতালের অধ্যাপক আমিনুর রশীদ।

এই কমিটিকে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ বি এম শাহজাহান আকন্দ মাসুম। আর ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কুমার দেবুল দে। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন তুষার কান্তি রায়।

এর আগে, এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রতিবেদনকে এক ধরনের আইওয়াশ বলে মন্তব্য করেছিলেন হাইকোর্ট।

আর প্রতিবেদনের সুপারিশকে হাস্যকর উল্লেখ করেছিলেন উচ্চ আদালত। এমন প্রেক্ষাপটে নতুন করে তদন্ত কমিটি গঠন করে দিলেন হাইকোর্ট।

বিজ্ঞাপন

লাইফ সাপোর্ট থেকে ফিরল না আয়ান: খৎনা করাতে গিয়ে মৃত্যু’ শিরোনামে গত ৮ জানুয়ারি একটি দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন যুক্ত করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ বি এম শাহজাহান আকন্দ ৯ জানুয়ারি হাইকোর্টে রিট করেন। পরে শিশু আয়ানের বাবা রিটে পক্ষভুক্ত হন। নতুন করে রিটে পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়।

স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়।

এরপর গত ১৪ জানুয়ারি শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে রিটের শুনানি শেষ হয়।

এরপর গত ১৫ জানুয়ারি শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় সাত দিনের মধ্যে তদত্ত আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ।

বিজ্ঞাপন

এরপর স্বাস্থ্য অধিদফতর ১৫ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।

গত ৩১ ডিসেম্বর সুন্নতে খৎনা করানোর জন্য আয়ানকে সাঁতারকুল বাড্ডার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান অভিভাবকরা। খৎনা শেষ হওয়ার পর আয়ানের জ্ঞান না ফেরায় তাকে সেখান থেকে পাঠানো হয় গুলশান-২ এর ইউনাইটেড হাসপাতালে। সেখানে পিআইসিইউতে (শিশু নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। এর সাতদিন পর গত ৮ জানুয়ারি লাইফ সাপোর্টে থাকা শিশু আয়ানকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন