বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম মহানগর আ.লীগের সম্মেলনের ইঙ্গিত নাছিরের

October 4, 2020 | 9:18 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন করার ইঙ্গিত দিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। ২০০৬ সালে নগর আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল। ২০১৩ সালে কেন্দ্র থেকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে দেওয়া হয়। সেই কমিটির মেয়াদও শেষ হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

দলকে তৃণমূল পর্যায়ে গতিশীল করতে ওয়ার্ড ও ইউনিট পর্যায়ে সভা-সমাবেশ শুরু করেছে নগর আওয়ামী লীগ। রোববার (৪ অক্টোবর) নগরীর জালালাবাদ সাংগঠনিক ওয়ার্ডের তিনটি ইউনিট কমিটির পৃথক সভায় আ জ ম নাছির উদ্দীন এই ইঙ্গিত দেন।

সভায় নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের দলীয় আদর্শের প্রতি অনুগত থাকতে হবে। শৃঙ্খলা ও ঐক্য সুপ্রতিষ্ঠিত করতে হবে। তাহলে কোনো শক্তি আওয়ামী লীগকে রুখতে পারবে না। কারণ আওয়ামী লীগের ক্ষমতার উৎস জনগণ। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা বিষয়গুলো মাথায় রেখে গণমানুষের পাশে থাকলে তারাই একদিন নেতৃত্বের পুরোভাগে আসতে পারবে।’

সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘যেসব কমিটির সম্মেলন হয়নি, কেন্দ্রীয় সম্মেলনের আগেই সেগুলো গোছানোর নির্দেশনা এসেছে। থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট পর্যায়ের কমিটিগুলোর সম্মেলন কোথাও কোথাও এক যুগেরও আগে হয়েছে। সেগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় আছে। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগও মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় আছে। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী যে সম্মেলনগুলো এখন পর্যন্ত হয়নি তা যেকোনোভাবেই করে ফেলতে হবে। এছাড়াও মৃত্যুজনিত কারণে মহানগর, থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট পর্যায়ে অনেক পদ শূন্য হয়ে আছে। সেই পদগুলো সতকর্তার সঙ্গে যোগ্য ব্যক্তিদের দ্বারা পূর্ণ করা হবে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্পষ্ট ঘোষণা অনুযায়ী সংগঠনের কোনো স্তরেই অপরাধী এবং নীতি-নৈতিকতা বিবর্জিত কোনো ব্যক্তির স্থান হবে না। এ ধরনের ব্যক্তি ইতোমধ্যে যারা দলে ঢুকে গেছেন তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। যত বড় নেতাই হোন না কেন, কেউ যদি অপরাধী ও সমাজবিরোধীদের সাথে ওঠাবসা বা কোনো ধরনের সম্পর্ক রাখে তাকেও কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।’

মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও স্থগিত হওয়া চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের মধ্যে আমরা যারা নেতা, তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকতে পারে, মতভিন্নতাও থাকতে পারে। কিন্তু কর্মীদের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই। তারা মনে-প্রাণে দলীয় ঐক্য সুসংহত দেখতে চান। আমি মনে করি, এই সচেতন কর্মীরাই দলের মূল শক্তি। চসিকের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা এর আগেও মেয়র হয়েছেন। কিন্তু কখনও তাদের নৌকা প্রতীক ছিল না। এবারই প্রথম মেয়র নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। তাই মেয়র পদে আমি ব্যক্তি বড় কথা নয়, নৌকা প্রতীকই সবচেয়ে বড়। নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে প্রত্যেক নেতাকর্মীর দায়বদ্ধতা আছে।’

জালালাবাদ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের এ-ইউনিটের সভাপতি মো. ইব্রাহীম, বি-ইউনিটের সভাপতি নুরুল আলম নুরু, সি-ইউনিটের সভাপতি লোকমান হাকিম কুতুবীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পৃথক সভায় বক্তৃতা করেন নগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ হোসেন, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, কার্যনির্বাহী সদস্য গাজী শফিউল আজিম, সাইফুদ্দীন খালেদ বাহার, হাজী জাফর আলম চৌধুরী, হাজী বেলাল আহমদ প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন