বিজ্ঞাপন

জাপা-আ.লীগে হেভিওয়েট প্রার্থীর ভিড়, বিএনপিতেও কম নয়

November 4, 2023 | 11:07 pm

কাজী মোহাম্মদ মোস্তফা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

ময়মনসিংহ: আওয়ামী রাজনীতির প্রবাদ পুরুষ ও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ভাষাসৈনিক রফিক উদ্দিন ভুইয়া, পাঁচ বারের এমপি এম শামসুল হক (একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাষাসৈনিক), সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান (একুশে পদকপ্রাপ্ত) এবং সাবেক ফার্স্টলেডি বেগম রওশন এরশাদ’র জন্মভূমি ও রাজনীতির চারণক্ষেত্র ময়মনসিংহ। এই সকল রাজনীতিক কালে কালে বাংলাদেশ ও বাঙালির ইতিহাসকে উচ্চকিত করে গেছেন। এই অঞ্চলের রাজনীতি আবর্তিত হতো উল্লিখিত সব নেতাদের ঘিরে। মূলত নির্বাচনের মাধ্যমে নির্ধারিত হতো তাদের জনপ্রিয়তা। বাংলাদেশের রাজনীতিতে সেই নির্বাচন এখন কড়া নাড়ছে।

বিজ্ঞাপন

আর মাত্র কয়েক মাস পরেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ইতোমধ্যেই নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। যদিও রাজপথের প্রধান বিরোধীদল বিএনপি সরাসরি নির্বাচন ইস্যুতে কথা বলছে না। তাদের দাবি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন। সেই দাবিতে তারা রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তবে আন্দোলনের পাশাপাশি তারা নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিচ্ছে বলে জানা গেছে। বর্তমানে সারাদেশে বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় থেমে নেই সবচেয়ে বেশি সংসদীয় আসনের জেলা ময়মনসিংহের সম্ভাব্য প্রার্থীরাও। মিছিল-মিটিং, উঠান বৈঠকসহ নিজেকে যোগ্য প্রমাণে উঠে-পড়ে লেগেছেন তারা।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ময়মনসিংহের ১১টি আসনে আওয়মী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাসদসহ অন্যান্য দলের প্রায় পৌনে দুইশ’ মনোনয়ন প্রত্যাশী মাঠে রয়েছেন। ময়মনসিংহকে বলা হয়ে থাকে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। স্বাধীনতার পর থেকে এখানকার বেশিরভাগ সংসদীয় আসন আওয়ামী লীগের দখলে ছিল। ১১টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বেশি আসনে জয়লাভ করেছে। এর পরের অবস্থানে রয়েছে বিএনপি এবং তার পর জাতীয় পার্টি। কয়েকবছর ধরে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটে রয়েছে জাতীয় পার্টি। সেজন্য তাদের দুয়েকটি আসন ছেড়ে দিতে হয়। এবারও জাতীয় পার্টির সঙ্গে জোট বাঁধলে অন্তত দু’টি আসন ছেড়ে দিতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে নয়টি আসনে জয়ের জন্য আওয়ামী লীগকে নির্বাচনের মাঠে নামতে হবে। আর রাজপথের প্রধান বিরোধীদল নির্বাচনে এলে ভোটের হিসাব-নিকাশ কিছুটা হলেও পাল্টে যাবে। কারণ, তারাও কয়েকটি আসন পুনরুদ্ধারে ভোটের মাঠে নামবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আসনভিত্তিক পরিক্রমায় এবার সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে সারাবাংলার আয়োজনে থাকছে ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনের চিত্র।

আরও পড়ুন:

বিজ্ঞাপন

জেলার সবচেয়ে গুরুত্ব ও মর্যাদাপূর্ণ আসন ময়মনসিংহ-৪ (সদর)। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ড ও ১৩টি ইউনিয়ন নিয়ে আসনটি গঠিত। বর্তমানে এই আসনের এমপি জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা এবং জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ। তিনি জাতীয় পার্টি থেকে তিনবার এমপি নির্বাচিত হলেও এলাকাবাসীর কাছে অপরিচিত মুখ। ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে ময়মনসিংহ সদর আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল মালেক। ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী জয়নাল আবেদীন জায়েদী সংসদ সদস্য হন। আর ১৯৮৬ সালে আসনটি আওয়ামীলীগের দখলে আসে। ওই সময় এই আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে এমপি হন জাতীয় পার্টির বেগম মমতা ওয়াহাব। ১৯৯১ সালে বিএনপির এ কে এম ফজলুল হক এমপি নির্বাচিত হন; তিনি ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনেও জয়ী হন। তবে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে এমপি হন জাতীয় পার্টির বেগম রওশন এরশাদ। ২০০১ সালে নির্বাচনে আসনটি ফের বিএনপির দখলে চলে যায়। এ সময় বিএনপির দেলোয়ার হোসেন খান দুলু এমপি নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অধ্যক্ষ মতিউর রহমান এমপি নির্বাচিত হন। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে মর্যাদাপূর্ণ এই আসন থেকে পর পর দুইবার এমপি নির্বাচিত হন মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির বেগম রওশন এরশাদ।

তবে রওশন এরশাদ তার সময় কালের প্রায় পুরোটাই শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় এলাকায় তেমন সময় দিতে পারেননি। এলাকার জনগণের সঙ্গে তার কোনো ধরনের সরাসরি যোগাযোগ নেই বললেই চলে। তাই উপ-দলীয় কোন্দলে লিপ্ত জাতীয় পার্টির জেলা ও মহানগর নেতারা রওশন এরশাদের পক্ষে এলাকার দেখভাল করে থাকেন। সরকারের উন্নয়ন বরাদ্দ বিলি-বণ্টনও হয়েছে সেভাবে। কালে-ভদ্রে হেলিকপ্টারে করে ময়মনসিংহ সার্কিট হাউজে এসে স্থানীয় প্রশাসন আর দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করলেও সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ হয়নি রওশন এরশাদের। এই আসনের বেশিরভাগ সাধারণ মানুষ ভুলতে বসেছেন কে তাদের স্থানীয় এমপি! আর তাই আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন নিয়ে নানা টানাপোড়েনে ভুগছে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি। সেক্ষেত্রে কিছুটা হলেও সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে বিএনপি।

বিজ্ঞাপন

এই আসনের অনেক ভোটার ও স্থানীয় নেতাদের অভিযোগ, টানা দুই বারের এমপি ও জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা প্রত্যাশিত উন্নয়ন করতে পারেননি। ভোটারসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ বিপদে-আপদে দেখাও পাননি স্থানীয় এই এমপির। এ রকম পরিস্থিতিতে সুবিধাজনক স্থান শুধুই বিএনপি’র। দলে কোন্দল ও মনোনয়ন নিয়ে প্রতিযোগিতা থাকলেও প্রার্থী বাছাইয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারলে আগামী নির্বাচনে বিএনপি এই আসনে ভালো ফল করতে পারে এমনটিই দাবি দলটির স্থানীয় নেতাদের।

এদিকে, আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থিতায় বেগম রওশন এরশাদই প্রার্থী থাকছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে জোটগত নির্বাচন না হলে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইবেন একাধিক নেতা। দলটির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, স্বাচিপের কেন্দ্রীয় সাবেক মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, সাবেক ধর্মমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের পুত্র ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান শান্ত।

মোহিত-উর রহমান শান্ত এলাকাবাসীকে নানা সহায়তা দিয়ে পাশে থাকছেন। আওয়ামী লীগের নানা কর্মসূচিতেও তার সক্রিয় উপস্থিতি দলের নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত রাখছে। তবে মহাজোট থেকে জাতীয় পার্টির রওশন এরশাদ প্রার্থী হলে বিজয় নিশ্চিত বলে মনে করছেন জাপা নেতারা। তবে জোটগত নির্বাচন না হলে কঠিন চ্যালেঞ্জে পড়তে হবে আওয়ামী লীগকে। দলের নানা কোন্দল এই চ্যালেঞ্জকে আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে মনে করছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।

ময়মনসিংহ মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক ও দলটির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আহাম্মেদ সরাবাংলাকে বলেন, ‘বেগম রওশন এরশাদ এমপির মেয়াদে ময়মনসিংহকে বিভাগ ঘোষণা ও ময়মনসিংহ পৌরসভাকে সিটি করপোরেশনে উন্নীতকরণ, ময়মনসিংহে শিক্ষা বোর্ড স্থাপন, গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার ৮০ শতাংশ উন্নয়ন এবং ৯৫ শতাংশ শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়নসহ অনেক কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি এলাকায় আসতে না পারলেও জাতীয় সংসদে বসে এখানকার উন্নয়নের জন্য সবকিছুই করছেন।’

বিজ্ঞাপন

মনোনয়ন নিয়ে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম সারাবাংলাকে বলেন, ‘সারাজীবন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছি। দলের দুর্দিনে দলের জন্য কাজ করেছি। আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে ছিলাম। দলের প্রতিটি কর্মসূচি বাস্তবায়নে সক্রিয় থেকেছি। এর আগেও দলের মনোনয়ন চেয়েছি। আগামী নির্বাচনে আশা করছি দল আমাকে মূল্যায়ন করবে।’

এই আসনে মনোনয় চান আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু। সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে এই আসনে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। তবে আমি দলের ঐক্যের পক্ষে। কোনো বিভাজন কিংবা আলাদা বলয় তৈরিতে বিশ্বাসী নই। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আওয়ামী লীগ যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষেই কাজ করব আমি। আশা করছি, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ স্থানীয় জনমত বিবেচনায় আমাকে মূল্যায়ন করবে। তবে দলের সিদ্ধান্ত-ই চূড়ান্ত।’

ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে উঠে আসা আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী মোহিত উর রহমান শান্ত সারাবাংলাকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমার বাবা সাবেক ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের নীতি নৈতিকতা ও আদর্শের পথ ধরেই দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে যা যা দরকার সবকিছুই করছি। এই আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে আমি ছাড়া অনেকেই বহিরাগত। তাই নেত্রী আমাকেই মূল্যায়ন করবেন বলে বিশ্বাস করি।’

এদিকে, বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হচ্ছেন সাবেক এমপি ও সাবেক মেয়র দেলোয়ার হোসেন খান দুলু, ময়মনসিংহ মহানগর আহ্বায়ক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক ও সাবেক ছাত্রনেতা আবু ওয়াহাব আকন্দ, ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী ও ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সাবেক দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল হান্নান খান।

মনোনয়ন প্রত্যাশী ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন আমি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত। আগামী নির্বাচনে আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হলে এই আসনে বিএনপির বিজয় সুনিশ্চিত।’ ২০১৮ সালের নির্বাচনে এই আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক ছাত্রনেতা আবু ওয়াহাব আকন্দ। আগামী নির্বাচনে তার মনোনয়ন মোটামুটি নিশ্চিত দাবি করে তিনি সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ‘বিএনপির বিগত দিনের আন্দোলন-লড়াই-সংগ্রামে রাজপথে থেকে প্রতিটি কর্মসূচি সফল করেছি। একাধিক মামলার আসামি হয়ে জেল-জুলুমের শিকার হয়েছি। দলকে ঐক্যবদ্ধ করে শক্তিশালী করেছি। আশা করি, আগামী নির্বাচনেও বিএনপি আমাকে যথাযথ মূল্যায়ন করবে।’

বিএনপির আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক এমপি ও সাবেক মেয়র দেলোয়ার হোসেন খান দুলু সারাবাংলাকে বলেন, ‘রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়নের কারণে দূরে থাকলেও এলাকাবাসীর সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠ ও আত্মিক যোগাযোগ রয়েছে। দলে পদ-পদবি না থাকলেও জনগণের কাতারে থেকে মানুষের সেবা করতে চাই।’

উল্লেখ্য, এই আসনে মোট ভোটার ৬ লাখ ৯১ হাজার ৭২৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৩ লাখ ৪৯ হাজার ১৫১ জন এবং নারী ভোটার ৩ লাখ ৪২ হাজার ৫৬২ জন। ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১ লাখ ৭২ হাজার ৩২৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির এ কে এম মোশারফ হোসেন। তিনি পান ৮৫ হাজার ২৪৫ ভোট। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির বেগম রওশন এরশাদ। এ ছাড়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফের জাপার রওশন এরশাদ ২ লাখ ৪৪ হাজার ৭৭৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আবু ওয়াহাব আকন্দ পান ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫৩ ভোট।

সারাবাংলা/কেএমএম/পিটিএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন