বিজ্ঞাপন

‘ড. কামাল হোসেন জুডিশিয়াল ক্যু’র ষড়যন্ত্র করেছিলেন’

August 8, 2018 | 9:15 pm

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনাকে সরাতে ড. কামাল হোসেন জুডিশিয়াল ক্যু করার ষড়যন্ত্র করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।

বুধবার (৮ আগস্ট) সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ আয়োজিত ‘১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন উন্নত হয়েই যাচ্ছে, এটা ঠেকাতে প্রথমে ষড়যন্ত্র হলো জুডিশিয়াল ক্যু করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে শেখ হাসিনাকে সরানো যায় কিনা।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন প্রথমে শ্রীলংকায় রাজা পাকসে তার প্রধান বিচারপতিকে নামিয়ে দিয়েছিলেন। তখন রাজা পাকসেকে নেমে যেতে হয়েছে। তারপরে পাকিস্তানে নওয়াজ শরীফকে নামিয়ে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। তারপরে নেপাল ও আমাদের এখানে সাবেক প্রধান বিচারপতি সিনহা সাহেবকে (সুরেন্দ্র কুমার সিনহা) নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করেছে, তাদের সবার নাম কিন্তু আমরা জানি।’

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা তো চিনবেনই। ড. কামাল হোসেনকে আপনারা চেনেন না? তাইলে আর কী! আমি জানি, আমাকে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের সিটিং জাজেসরা (বিচারপতি) বলেছেন, তারা এক অনুষ্ঠানে তাকে (ড. কামাল হোসেন) ডাকতে গিয়েছিলেন, তখন ড.কামাল হোসেন তাদের বকাঝকা করেছে কেন তারা প্রতিবাদ করেননি? কেন সিনহাকে সরানো হয়েছে?’

তিনি বলেন, ‘এই ষড়যন্ত্র যখন বিফলে গেছে। তারপর কোটা সংস্কারের আন্দোলন। কোটা আন্দোলনের কথা যে মূর্হতে প্রধানমন্ত্রী শুনেছেন, তিনি বলেছেন ঠিক আছে। কোটার ব্যাপারে যদি এ রকম কিছু হয়ে থাকে, তাহলে আমি নিশ্চয় দেখব। দরকার হলে কোটা সম্পূর্ণ বাতিল করে দেবো। তারপর তো আন্দোলনের কোনো প্রয়োজন হয় না।’

বিজ্ঞাপন

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এই আন্দোলনের ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে এই কামাল হোসেন, এই ইউনুছ, এই খালেদা জিয়ার যারা সহযোগী, তারা কিন্তু নাক গলানো শুরু করেছে। তারপরে সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে, ছাত্ররা রাস্তায় নেমেছে। তাদের যৌক্তিক দাবি কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মেনেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ঠিক আছে সব ঠিক করে দেবো। তারাও ফিরে যেতে চেয়েছে এবং তারা ফিরে গেছে। এর মধ্যেও একটা ষড়যন্ত্র করে সরকারকে ফেলে দিতে হবে!’

আনিসুল হক বলেন, ‘এগুলো কিসের আলামত? এগুলো হচ্ছে- ওনারা কোনো একটা পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চান। বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে যেভাবে পরিচিত করা হয়েছে, আবারও সেখান থেকে বাংলাদেশকে ফেলে দিতে হবে, পাকিস্তানের নিচে নামাতে হবে।’

‘আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ চাই না, সেফ বাংলাদেশ চাই’- ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে আইনমন্ত্রী বলেন, উনাদের সেফ বাংলাদেশের নমুনা হলো হত্যার বিচার হবে না, আর ক্যান্টনমেন্টে প্রত্যেক শুক্রবার হত্যাযজ্ঞ চলবে। এটা হচ্ছে ওনাদের সেফ বাংলাদেশ।

বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু, সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদার, আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম, সিনিয়র আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান, নূরুল ইসলাম সুজন, জেড আই খান পান্না, ব্যারিস্টার ফজলে নুর তাপসসহ অন্যরা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেডকে/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন