বিজ্ঞাপন

দক্ষ জনবল তৈরিতে ৬ জেলায় হবে বিটাকের নতুন ৬ কেন্দ্র 

June 20, 2021 | 10:00 am

জোসনা জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দক্ষ জনবল তৈরিতে দেশের ছয় জেলায় হচ্ছে বাংলাদেশ শিল্প ও কারিগরি সহায়তা কেন্দ্রের (বিটাক) ছয়টি নতুন কেন্দ্র। উদ্যোগটি বাস্তবায়িত হলে প্রতিটি কেন্দ্রে ১১টি ট্রেডের মাধ্যমে বছরে ২ হাজার ৪৮ জন করে মোট ১২ হাজার ২৮৮ জন নারী-পুরুষকে কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হবে। ফলে তারা দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিজ্ঞাপন

এজন্য ‘গোপালগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, বরিশাল, রংপুর, জামালপুর এবং যশোর জেলায় বিটাকের ৬টি কেন্দ্র স্থাপন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। এটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ১ হাজার ১৩৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা। গত ৭ জুন অনুষ্ঠিত হয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা। ওই সভায় কার্যবিবরণী সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের সদস্য (সচিব) শরিফা খান সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য এনইসি-একনেক ও সমন্বয় অনুবিভাগের তৈরি করা ফরম্যাট অনুসরণের সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে চাহিদার ভিত্তিতে প্রকল্পের প্রশিক্ষণ কোর্সগুলোর করতে বলা হয়েছে। এছাড়া প্রকল্পের আওতায় নির্মিত কেন্দ্রগুলো যেন সুবিধাবঞ্চিত এলাকায় নির্ধারণ করা হয় সেজন্য প্রস্তাবিত স্থানগুলো পুর্নবিবেচনার সুপারিশ দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রকল্পের আওতায় বৈদেশিক প্রশিক্ষণের প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু সেটি বাদ দিতে বলা হয়েছে। এর সঙ্গে অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে শুধু প্রকল্পের নিয়মিত জনবলের জন্য প্রশিক্ষণের সংস্থান রাখার সুপারিশ দেওয়া হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

পিইসি সভার কার্যবিবরণীতে বলা হয়েছে, সভায় বিটাকের মহাপরিচালক বলেন, ‘বিটাক শিল্প কারখানাগুলোতে প্রয়েজনীয় কারিগরি সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন পেশায় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল সরবরাহ করে আসছে। প্রস্তাবিত প্রকল্পটির মাধ্যমে দেশের ছয়টি জেলায় বিটাকের কেন্দ্র স্থাপন করা হলে ম্যানুফ্যাকচারিং ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে  সারাদেশে দক্ষ জনবল তৈরি করে শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। যা জিডিপিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে এবং এসডিজির লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হবে।’

সভায় বিটাকের পরিচালক ড. মো.জালাল উদ্দিন বলেন, ‘গোপালগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, বরিশাল, রংপুর, জামালপুর ও যশোরে ছয়টি কেন্দ্রের জন্য ডিসি অফিসের প্রত্যয়নপত্র গ্রহণ করে জমির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে।’ তখন সভার সভাপতি পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য শরিফা খান বলেন, ‘জামালপুর জেলায় বর্তমানে সরকারের কয়েকটি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে। সেক্ষেত্রে জামালপুরের পরিবর্তে ময়মনসিংহ বিভাগের অন্য কোনো জেলায় বিটাকের কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।’ এ প্রসঙ্গে অর্থ বিভাগের উপসচিব নুরুদ্দিন আল ফারুক বলেন, ‘রংপুরের কেন্দ্রটি রংপুর সদর উপজেলায় না করে রংপুর বিভাগের সুবিধাবঞ্চিত পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও অথবা কুড়িগ্রাম জেলায় তৈরি করা যেতে পারে।’

পিইসি সভায় কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের যুগ্ম প্রধান মো. নজিব বলেন, ‘আবাসিক ভবন ও অনাবাসিক ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে গণপূর্ত অধিদফতরের নির্ধারিত কেবল স্ট্যান্ডার্ড ভবন নির্মাণের (পূর্ত) ব্যয় প্রাক্কলন করতে হবে। আসবাবপত্র, অফিস সরঞ্জামাদি ও অন্যান্য সামগ্রীর ব্যয় প্রাক্কলন অনেক বেশি মনে হয়। কিসের ভিত্তিতে এসব ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে তা ডিপিপিতে (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) উল্লেখ করা আবশ্যক। এক্ষেত্রে প্রকল্পের সবধরনের ব্যয় যৌক্তিকভাবে নির্ধারণের জন্য একটি ব্যয় যুক্তযুক্তকরণ কমিটি গঠন করা যেতে পারে।’

বিজ্ঞাপন

এ সময় সভার সভাপতি এতে একমত পোষণ করেন। এজন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে শিল্প ও শক্তি বিভাগ, আইএমইডি, বিটাক এবং গণপুর্ত অধিদফতরের প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি ব্যয় যুক্তযুক্তকরণ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

পিইসি সভায় আরও বলা হয়, প্রকল্পের আওতায় আর্থিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ করা হয়নি। অথচ সরকারের পরিপত্র অনুযায়ী এটি করা বাধ্যতামূল। তাই আর্থিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ ডিপিপিতে অবশ্যই যুক্ত করতে হবে। এছাড়া প্রকল্পের যানবাহন ও জনবল বিষয়ে অর্থ বিভাগের জনবল কমিটির মতামত ডিপিপিতে সংযুক্ত করতে হবে।

সারাবাংলা/জেজে/পিটিএম

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন