বিজ্ঞাপন

ধর্ষণ অভিযোগ থানায় ‘মীমাংসা’র চেষ্টা, মামলা নিতে নির্দেশ আদালতের

March 21, 2024 | 10:01 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

রাঙ্গামাটি: রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ ‘মীমাংসার চেষ্টা’ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে ওই কিশোরীর চিকিৎসার ছাড়পত্র নিয়ে থানায় মামলা করতে গেলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামলা নিতে ‘অনীহা’ প্রকাশ করেন বলেও অভিযোগ তুলেছেন বাদী।

বিজ্ঞাপন

ঘটনাটি পরে গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। বাদী ধর্ষণের শিকার মেয়েটির বাবা রাঙ্গামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আবেদন করলে আদালত মামলার আবেদন এজাহার হিসেবে গ্রহণ করেছেন। একইসঙ্গে লংগদু থানাকে জিআর মামলা হিসেবে তালিকাভুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী ও জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের প্যানেল আইনজীবী অ্যাডভোকেট শফিউল আলম মিঞা বলেন, ‘ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করেছিলেন। শুনানির পর আদালত মামলার আবেদনটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করেছেন এবং থানাকে জিআর মামলা হিসেবে এন্ট্রি করার নির্দেশ দিয়েছেন।’

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকালে রাঙ্গামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারিক এ ই এম ইসমাইল হোসেনের আদালতে ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর (১৪) বাবা মামলার আবেদন করেন। এতে মো. জাহিরুল ইসলাম (২৭) ছাড়াও অজ্ঞাত আরেকজনকে আসামি করা হয়েছে। জহিরুল উপজেলার বগাচত্বর ইউনিয়নের রাঙ্গীপাড়ার মো. রাজ্জাক আলীর ছেলে।

বিজ্ঞাপন

মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৩ মার্চ সন্ধ্যার দিকে রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার কাগইজ্জ্যা ছড়া ঝরনা থেকে পানি আনতে গিয়েছিল ওই কিশোরী। এ সময় জাহিরুল পেছন থেকে গিয়ে মেয়েটির হাত-মুখ বেঁধে ঝরনার পূর্ব দিকের তামাক ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে অজ্ঞাত এক লোক জহিরুলের নাম ধরে ডাক দিলে তিনি পালিয়ে যান।

এজাহারে বলা হয়েছে, পরদিন (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় ওই কিশোরী পরিবারকে ঘটনাটি জানালে তার বাবা স্থানীয় মেম্বারকে জানিয়ে লংগদু থানায় মামলা করতে যান। কিন্তু থানা থেকে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। মীমাংসা না করে মামলা করতে গেলে মামলা নিতে অনীহাও প্রকাশ করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। পরে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসে যোগাযোগ করলে সেখান থেকে সরকারি খরচে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

জানতে চাইলে লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ বলেন, ‘পুলিশ সদর দফতর থেকে নির্দেশনা রয়েছে এসব বিষয়ে কোনো তথ্য না জানানোর জন্য।’ ধর্ষণের অভিযোগ মীমাংসা ও মামলা গ্রহণে অনীহা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই। এ ধরনের কোনো বিষয় আমার জানা নেই। আমি আপনার থেকেই শুনেছি।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন