বিজ্ঞাপন

নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে নিরপেক্ষ সরকারের দাবি গণফোরামের

July 28, 2022 | 6:09 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠ অংশগ্রহনমূলক করতে নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থার প্রবর্তন করার দাবি জানিয়েছে গণফোরাম। একইসঙ্গে নির্বাচনীকালীন সময়ে আইন ও বিধি লংঘনের জন্য নির্বাচন কমিশন যাতে নির্বাচন স্থগিত, বাতিল এবং আইন ও বিধি লঙ্ঘনকারীদের আটক করে শাস্তি প্রদান করতে পারে। সেজন্য নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য নির্বাচন কমিশনকে বিচারিক ক্ষমতা প্রদান করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) রাজধাানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত ইসির সংলাপে অংশ নিয়ে গণফোরাম থেকে এসব দাবি জানানো হয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল এর সভাপতিত্বে এতে ইসি কমিশনার মো. আলমগীর, রাশেদা সুলতান, আনিছুর রহমান ও বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান ও ইসি সচিব হুমায়ন কবির খোন্দকার উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি মোকাব্বির খান এমপির নেতৃত্বে দলটির ১০ সদস্যার একটি প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করেন। প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন দলের দলের সাধারণ সম্পাদক আ ও ম শফিক উল্লাহ, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোশতাক আহমেদ, অ্যাডভোকেট সুরাইয়া, হারুনুর রশীদ তালুকদার প্রমুখ।

গণফোরামের লিখিত বক্তব্যে দলের সাধারণ সম্পাদক আ ও ম শফিক উল্লাহ, বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা নির্বাচনের আগে ও পরে একটি নির্দিষ্ট সময়কালে নির্বাচন কমিশনের অধীন থাকবে।  এই সময়কালে তাদের কৃত কোনো অপরাধ ও কর্তব্যে অবহেলার জন্য নির্বাচন কমিশন তাৎক্ষনিকভাবে যে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা ও নির্বাচন বিধি প্রণয়ণের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বাধীন থাকবে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘বিগত ২০১৪ সালে এবং ২০১৮ ইং সালে বাংলাদেশে যে দুটি নির্বাচন হয়েছে তাতে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ এবং অধিকাংশ রাজনৈতিক দল স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করার পরিবেশ পায়নি। তাই বিশ্ববাসীর কাছেও নির্বাচন দুটি গ্রহণযোগ্য হয়নি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্তমান কমিশনের জন্য একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ। গণফোরাম প্রত্যাশা করে বর্তমান কমিশন এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে পূর্বাবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে সচেষ্ট হবে, এবং সকল রাজনৈতিক দল ও গণমানুষের আস্থা অর্জনে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণে সক্ষম হবে।’

গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং তাদের আজ্ঞাবহ মাত্র তিনটি দল ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক দল আগামী সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করতে চায় না। আমরা ইভিএম এর পক্ষে নই, তার কারণ ইভিএম সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা একেবারেই নগণ্য, যে কয়টি নির্বাচন ইভিএম-এ হয়েছে সেগুলো জনগণের প্রত্যাশা পূরণে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। ইভিএম এর যে সকল যান্ত্রিক ত্রুটি এবং ফলাফল নিয়ন্ত্রণের যে মেকানিজম সেগুলো আমরা বিস্তারিতভাবে কমিশনকে অবহিত করেছি। আমরা আশাকরি নির্বাচন কমিশন খুব দ্রুত এ বিষয়ে তাদের অবস্থান প্রতিটি রাজনৈতিক দলসহ জাতির সামনে পরিষ্কার করে তুলে ধরবে।’

তিনি বলেন, ‘বাঘকে খাঁচায় বন্দি রেখে তার ক্ষমতার বাহাদুরি দেখানো হাস্যকর। নির্বাচন কমিশনের অগাধ ক্ষমতা থাকলেও সেটি প্রয়োগ করার সুযোগ না থাকলে বা সীমিত হলে সেই ক্ষমতা মূল্যহীন।’

বিজ্ঞাপন

গণফোরামের প্রস্তাবনায় বলা হয়, প্রবাসীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি এবং ভোট প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের সময় নির্বাচনী এলাকা ভিত্তিতে সর্বদলীয় পর্যবেক্ষণ দল গঠন করবে। জাতীয় ক্ষেত্রে নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের মূল্যায়ন নির্বাচনের ৬ মাস পূর্বে তালিকাভুক্ত করতে হবে এবং এই পর্যবেক্ষকদের তালিকা নির্বাচন তফসিল ঘোষণার সাথে সাথে প্রতিদ্বন্দী রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের সরবরাহ করতে হবে। এ সব পর্যক্ষেক কোনোক্রমেই ভোটকক্ষ বা বুথে যাবেন না।

এতে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দলের বিষয়ও ন্যূনতম পক্ষে ভোট গ্রহণের একমাস আগে প্রকাশ করতে হবে এবং তাদের কার্যপরিধিও নির্দিষ্ট থাকবে।ভোট গ্রহণের জন্য প্রতি বুথে স্বচ্ছ ভোট বাক্সের ব্যবস্থা করতে হবে এবং তার নাম্বারিং থাকতে হবে।

সারাবাংলা/জিএস/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন