বিজ্ঞাপন

‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিসা দিলে পর্যবেক্ষকে আপত্তি নেই ইসির’

August 6, 2023 | 6:33 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেশি-বিদেশি কোনো পর্যবেক্ষক নিয়ে চাপ নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিসা দিলে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কোনো আপত্তি নেই বলেও জানিয়েছে তিনি। রোববার (৬ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে এ সব কথা জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকের বিষয় নিয়ে কোনো চাপ আছে কি না? জানতে চাইলে ইসি আলমগীর বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো চাপ নেই। আর চাপই থাকবে কেন। আমরা প্রথম থেকেই বলছি, বিদেশি পর্যবেক্ষক যত খুশি আসতে পারে। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো লিমিটেশন নেই। বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আমাদের কাছে আবেদন করলে সেটা আমরা পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিই। তারা আবার এটা পর্যালোচনা করে দেখে যে, আবেদনকারীরা আসলেই পর্যবেক্ষক কি না, অতীতে পর্যবেক্ষণে সম্পৃক্ত ছিল কি না। অনেক সময় তারা মানবপাচারের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারে, অথবা অন্যায় কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারে। তারা এগুলো দেখে। এরপর ভিসা দেওয়া হলে আমাদের তরফ থেকে আপত্তি থাকে না।’

তিনি বলেন, ‘এবারও ব্যালটেই ভোট হবে। ব্যালটে নির্বাচনে যাতে কোনোরকম অপব্যবহার না হয় সেজন্য আমাদের কিছু কৌশল আছে। সেগুলো আমরা প্রয়োগের চেষ্টা করব। তার মধ্যে একটা, নির্বাচনের দিন সকালে ব্যালট পেপার পাঠানো। তবে যদি যোগাযোগ ব্যবস্থার দিক থেকে বাজে অবস্থা না থাকে বা উন্নত না হয়, সেক্ষেত্রে একটু আগে পাঠাই। যোগাযোগ যেখানে ভালো, ভোট চারটায় পাঠালে ভোট শুরু হওয়ার আগেই পৌঁছাতে পারবে।’

ইসি আলমগীর বলেন, ‘যতগুলো নির্বাচন ব্যালটে করেছি, সেখানে ব্যালেট এভাবেই সকালে পাঠানো হয়েছে। আমরা জাতীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রেও এই ধরনের সিদ্ধান্ত হয়তো নিতে পারি। যেগুলোতে সকালে ব্যালট পেপার পাঠানো সম্ভব সেগুলোকে চিহ্নিত করা এবং যেখানে পাঠানো সম্ভব নয়, সেখানে আমরা বিশেষ ব্যবস্থায় রাতে পাঠাব। পথে যেন মিসইউজ বা ছিনতাই না হয় সেটাও খেয়াল রাখব।’

বিজ্ঞাপন

ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও হয়নি তেমন। ফরমাল আলোচনাও হয়নি। চিন্তা-ভাবনা নেই। কারণ, আপনারা জানেন যে, ৩০০ আসনে যখন ভোট হয় তখন চার লাখ কেন্দ্র থাকে। সেখানে হয়তো বেশকিছু ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র থাকবে। এতগুলো কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে তা দেখা কঠিন। আমরা সেক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে বিশেষ ব্যবস্থা নেব। মানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বেশি সদস্য নিয়োগ করব। তবে সবগুলো দল যদি অংশ নেয় সেখানে এমনিতেই একটা ভারসাম্য থাকে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চেয়ে বরং তারাই শৃঙ্খলা রক্ষায় একটা ভূমিকা নেয়। কারণ, তারা জানে যে, নির্বাচনে যদি পরিস্থিতির অবনতি হয়, বা খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তাহলে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’

সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন