বিজ্ঞাপন

প্রতিশ্রুতি আদায়ে অতিরিক্ত শিক্ষকদের লাগাতার কর্মসূচি

February 5, 2019 | 2:51 am

।।সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: চাকরি স্থায়ী করণের দাবিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ১২০০ অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষকরা (এসিটি) লাগাতর অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে।

অবস্থান কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সেকায়েপ প্রকল্পের অধীনে কাজ করা এ শিক্ষকরা জানিয়েছেন, চাকরি স্থায়ী করণের লিখিত প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।

সকাল থেকেই আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষকদের ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিতে দেখা গেছে। তাদের গায়ের সাদা টিশার্টেও ছিল বঙ্গবন্ধুর ছবি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসাসূচক বক্তব্যও এসেছে এই কর্মসূচি থেকে। দাবি আদায়েও দিনভর শিক্ষকদের বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ এসিটি এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কৌশিক চন্দ্র বর্মণ সারাবাংলাকে বলেন, শিক্ষার মানোন্নয়ন করতে আমাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। সব পক্ষ থেকে বলা হয়েছে আমরা সফল। প্রধানমন্ত্রী নিজে আমাদের স্থায়ী করণের পক্ষে মত দিয়েছেন। কিন্তু প্রকল্প শেষ হওয়ার পর ১৪ মাস পার হয়ে গেলেও স্থায়ী করণের লিখিত প্রজ্ঞাপন হয়নি।

২০১৭ সালের ডিসেম্বরে সমাপ্ত সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়লিটি অ্যান্ড অ্যাকসেস এনহান্সমেন্ট প্রজেক্টে (সেকায়েপ) নিয়োগ পাওয়া অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষকদের (এসিটি) চাকরি স্থায়ী করার আশ্বাস দেয়া হলেও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় পাঁচ হাজার দুই শ শিক্ষকের ভাগ্য অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। প্রকল্প শেষ হওয়ার পরও মৌখিক আশ্বাসে ক্লাস করে আসছেন তারা। চাকরি স্থায়ী করণের দাবিতে কয়েক দফা মানব বন্ধন করা হয়েছে শিক্ষকদের পক্ষ থেকে। আশ্বাস অনুযায়ী মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে নতুন প্রকল্প এসইডিপিতে সেকায়েপের বিভিন্ন কম্পোনেন্টের (পাঠাভ্যাস ও উপবৃত্তি) কার্যক্রম চালু হলেও, এসিটিদের চাকরি স্থায়ী করার কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

শিক্ষকরা বলেন, আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। অনেকের আর চাকুরির বয়সও নেই। আমরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাই।

বিজ্ঞাপন

সংগঠনটির আরেক সদস্য আতিকুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, আমাদের মডেল টিচার বলে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে, সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু লিখিত প্রজ্ঞাপন বা প্রতিশ্রুতি পাওয়া যাচ্ছে না। গতকাল (৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে আমরা রাজপথে আছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ আর প্রতিশ্রুতি গত রাতে রাস্তা থেকে সরে যাই। আজ আবার সকাল থেকেই আছি। প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

সারাবাংলা/ইএইচটি/এমএ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন