বিজ্ঞাপন

মরুর দেশে জাহাজের খোঁজে

April 26, 2023 | 6:05 pm

আশিক মুস্তাফা

বাংলাদেশের বিজয় দিবসের দিনে আরেকটা বিজয় দেখতে কাতারের রাজধানী দোহার উদ্দেশ্যে উড়াল দিলাম। বলছি গত ১৬ ডিসেম্বরের কথা। ঠিক তার দু’দিন পর কাতার বিশ্বকাপের ফাইনাল। প্রিয় আর্জেন্টিনা খেলবে ফ্রান্সের সঙ্গে। হায়া কার্ড হাতে পেয়ে এমন ফাইনাল মিস করা যায়! হায়া কার্ড মানে কাতারে ঘোরার রাজকীয় সুযোগ-সুবিধা। এই কার্ড পেতে অনেকে রাজ্যের ঝক্কি-ঝামেলা পোহালেও আমি অনলাইনে আবেদন করেই পেয়ে গিয়েছি। তাও তিনদিনের মধ্যে। এই হায়া কার্ড ভিসা থেকে শুরু করে কাতারে ঘোরাফেরার টিকেট হিসেবেও কাজ করবে। মানে বাস-মেট্রোতে যতই ঘোরাঘুরি করি কোন টাকা লাগবে না। এক জায়গায় চাইলে একাধিকবারও যাওয়া যাবে এই কার্ড দিয়ে। এ যেন জাদুর কাঠি!

বিজ্ঞাপন

জাদুর কাঠি হাতে

জাদুর কাঠি হাতে ঢাকা বিমানবন্দরে পৌঁছাই ঠিক সন্ধ্যার আগে। হায়া কার্ড দেখে সবাই জায়গা ছেড়ে দেয়। পাসপোর্টে সিল নিয়ে বিমানে গিয়ে বসি। টারমারকে বসে আছে বিমান। আমার টিকেট ছিল ইউএস বাংলার। বিমানটি কখন আকাশে পাখির মতো উড়তে শুরু করল টেরই পেলাম না। যাত্রপথে ৬ ঘন্টার জার্নি। কখন যে মেঘের ওপর চলে গেল আর হারিয়ে গেল বাংলাদেশ; ভাবতে থাকলাম। বিমান উড়ছে, এয়ার হোস্টেস বলছেন, আমরা ৫০ হাজার ফুট উচ্চতায় ৭০০ মাইল গতিতে চলছি। মনে হচ্ছে বরিশালের লঞ্চে শুয়ে আছি! কখন এবং কেমন করে যে ৬ ঘন্টা চলে গেল বুঝতেই পারলাম না। একসময় ঠিকই মরুভূমির দেশ কাতারের মাটি ছোঁয় ইউএস বাংলার বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমানের চাকা।

বিজ্ঞাপন

দোহার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সে এক এলাহি কান্ড! বিমান উঠছে আর নামছে। কিন্তু ইমিগ্রেশনে কোন ভীড় নেই! একটু এগিয়ে যেতেই দেখি মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট বা এমআরপি স্ক্যানার মেশিন। আমার এমআরপি পাসপোর্ট। সেটি স্ক্যানারে দিতেই খুলে গেল দ্বার। মাত্র দুই থেকে তিন মিনিটে বিমান বন্দরের ইমিগ্রেশন পার হয়ে গেলাম। সামনে এগুতেই এক স্বেচ্ছাসেবক ওয়েলকাম জানিয়ে বলল, তুমি কী হায়া কার্ড হোল্ডার? বললাম নিশ্চয়ই! তারপর সে আমাকে নিয়ে একটা বুথের সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়ে বলল, তুমি চাইলে এখান থেকে ফ্রি-তে একটা সিম নিয়ে নিতে পারো। তাতে ২০২২ এমবি লোকাল ডাটা পাবে। এতে তোমার যোগাযোগে সুবিধা হবে। আমি হায়া কার্ড স্ক্যান করে একটা সিম নিয়ে যোগাযোগ করলাম সজীবের সঙ্গে। সজীব আমার বন্ধুর ছোট ভাই। কাতারে থাকে। আমাকে নিতে এসেছে এয়ারপোর্টে। আমার অবস্থানের কথা জানাতেই সে তিন মিনিটের মাথায় গাড়ি নিয়ে চলে এল। চেপে বসলাম গাড়িতে। চারদিকে আলোর ঝিকিমিকি। সে আলোর ভেতর দিয়ে চলছে গাড়ি। এতো সুন্দর রাস্তা। যেন আরেকটা বিমানে চড়ে বসলাম!

বিজ্ঞাপন

কাতার থেকে আফগানিস্তান

বলবে, এই নামলে কাতার, আফগান এলে কেমন করে? বলছি, গাড়ি চলছে হাওয়ায় ভর দিয়ে। রাস্তায় এবং রাস্তার উপর গতিসীমা লেখা আছে। যে যেই গতিতে চলতে চায় সেই লেন ধরে চলতে পারে। সজীব ১০০-তে চলছে। ঢাকায় ৬০ তোলার মত রাস্তা পাওয়া যেখানে দুষ্কর সেখানে ১০০-তে চলছে গাড়ি। আমার যেন ধড়ে প্রাণ নেই! সজীব বলে, বাসায় গিয়ে লম্বা একটা ঘুম দিলে জেট ল্যাগ কেটে যাবে। বললাম, ৬ ঘন্টার জার্নি, এতে জেট ল্যাগ আবার! তাছাড়া সঙ্গে আছে জাদুর কাঠি! তুমি বরং গাড়ির স্পিড কমিয়ে বেড়ানোতেই মন দাও। তারপর মাইলদশেক পেরিয়ে আমরা গেলাম আফগান ব্রাদার্স নামের এক রেস্টুরেন্টে। যেখানে পাওয়া যায় আফগানের খাবার। কাতারে বসে আফগানিস্তানের খাবার। ফ্রেশ হয়ে আমরা একটা কামরায় ঢুকে বসলাম। মখমলের পাপোস পাতা। তাতে আবার মহাজনের মতো হেলান দিয়ে বসা আরামবালিশ। বললাম, এখানে খাবে না ঘুমাবে? সজীব মুচকি হেসে বলে, আফগানরা তো এভাবে মাটিতে বসে আয়েশ করেই খায়। খাবার এল, প্রথমে ওয়েলকাম ড্রিংক। আমাদের হালিমের মতো। আরও পাতলা পানীয়। দুম্বা বা ভেড়ার মাংসের নির্যাস! তারপর ইয়াব্বড় একটা প্লেট। তাতে বাসমতি চালের মাটন বিরিয়ানি, আরেকটায় মাসালা দোসা ও বাকলাভা। দুজনের জন্য বড় একটা প্লেট। তাতে খাবার নিয়ে খেতে থাকলাম। অন্যরকম টেস্ট। নতুন শহর, নতুন অভিজ্ঞতা, নতুন আরও কত কি অপেক্ষা করছে কে জানে!

আলোর ঝলকানি ও চট্টগ্রামের মাঝি

বিজ্ঞাপন

খাবার শেষ না হতেই সজীবের ভাই রাজীবের ফোন। সে করনিছে অপেক্ষা করছে। করনিছ সাগরপাড়ের এক জায়গা। একটু পরেই সাগরপাড়ে শুরু হবে থ্রিডি লেজার লাইট শো। দোহা উপসাগর ঘিরে প্রায় ৭ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে বিস্তৃত এই শহরাঞ্চল কাতারের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্থানগুলোর একটি। সৈকতের এই করনিছে দোহার বার্ষিক ছুটির দিনগুলোতেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শেখ তামিমসহ রাজ পরিবারের সদস্যরা এখানে বসে তা উপভোগ করেন। এই যেমন- কাতার ন্যাশনাল ডে, ন্যাশনাল স্পোর্টস ডে-এর মতো বিশেষ দিনগুলো এখানে উদযাপন করা হয়। অবসর কাটানোর জন্য অনেকেই জায়গাটিকে বেছে নেন। ছুটির দিনের বিকেলগুলোতেও প্রচণ্ড ভিড় হয়। এখান থেকে শহরের চমৎকার ভিউ চোখে পড়ে। আবার সমুদ্র দেখার সাথে সাথে করনিছের সবুজ বাগানে ঘুরে বেড়াতেও অন্য রকম এক ভালো লাগা কাজ করে। বিশেষ করে গ্রীষ্মে সাগরের পাড় ধরে হাঁটলে এক ধরনের শীতল অনুভূতি হয় যা নিমিষেই শরীরের ক্লান্তি হরণ করে। সেই ক্লান্তি হরণ করতে গিয়ে যোগ দিলাম রাজীবের সঙ্গে। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে আতশ বাজির ঝলকানি আর লেজার শোর শোরগোল! লাখো মানুষ জড়ো হয়ে তা দেখছে আর মোবাইলে ধারণ করছে। অনেকে লাইভ করছে ফেসবুক ও ইউটিউবে। প্রায় ৩০ মিনিট পর থামলো লেজার শোতে ফুটবলের কারিকুরি! এরপর মানুষ কমতে থাকলো। আমরা নৌকায় উঠলাম। নৌকা চলছে দোহা উপসাগরে। আর আমার কাছে মনে হলো যেন সিন্দাবাদের মতো নৌকা ভাসিয়েছি সাগরে। সাত সমুদ্র তের নদী পেরিয়ে যাবে নৌকা! কাতারে স্থানীয় গানের সুরে নৌকা চলছে ঢেউয়ের তালে। হঠাৎ রাজীব বলে, বাংলা গান চললে আরও ভালো লাগতো। ওমা, একটু পরেই সাউন্ড বক্সে বেজে ওঠলো
‘মাঝি নাও ছাইড়া দে
ও মাঝি পাল উড়াইয়া দে…।’
আমরা মাঝির দিকে তাকাতেই তিনি ছোট্ট একটা হাসি দিয়ে বললেন, ‘আঁরার বাড়ি চিটাগং।’
মানে চট্টগ্রামে তার বাড়ি। এরপর মাঝির সঙ্গে রাজ্যের গল্প চলে, সাগরে ভেসে ভেসে!

মরুর আকাশে আধফোটা চাঁদ

রাজ্যের ক্লান্তি নিয়ে রুমে ফিরি। লম্বা একটা ঘুম দিয়ে আর্জেন্টিনার খেলার অপেক্ষায় থাকি। কেবল বিশ্বকাপকে ঘিরে গড়ে ওঠা লুসাইল সিটি আমাকে মোটেও টানে না যতোটা টানে লুসাইলের সবুজ টার্ফ। খুব দ্রুতই ১৮ ডিসেম্বর চলে এলেও খেলার দিন যেন সময়ই যেতে চাচ্ছিল না। স্থানীয় সময় ৬টায় খেলা শুরু হলেও আমরা রুম থেকে ১২টায় বেরিয়ে পড়ি। কেবল ফুটবল বিশ্বকাপের জন্য কাতার লুসাইল শহর তৈরি করে। ছবির মতো সুন্দর বলতে যা বোঝায়; শহরটি ঠিক তেমন-ই। শহরের মুন টাওয়ার এবং এর আশপাশ ঘুরে প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরে গাড়ি পার্ক করে লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামের পথে পা বাড়াই আমরা। খেলা শুরু হয় নির্দিষ্ট সময়ে। সামনে এসে দাঁড়ায় ঐশ্বরিক মানব মেসি। তারপরের ঘটনা তো সবারই জানা। খুব হৈ-হল্লায় ৭৯ মিনিট কাটালেও ৮৩ মিনিটে ঠিক করে নিয়েছি মাঠ থেকে বেরিয়ে কান্নাকাটি করবো! কিন্তু পাশে থাকা মাহমুদ নামের এক কাতারি তরুণ বলে, ‘শেষ দেখে যাও বন্ধু’। আমিও কি আসলে বের হতে চাচ্ছিলাম? টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে জিতে যায় আর্জেন্টিনা। আমার চোখে আনন্দের পানি। মনে পড়ে দূরের আকাশ থাকা আরেকজনের কথা। তিনিও কি দেখছেন লুসাইলের আনন্দ! বেঁচে থাকলে আজ তাকে নিশ্চয় কেউ গ্যালারিতে আটকে রাখতে পারতেন না। মাঠে এসে মেসির কপালে সেই ম্যারাডোনাই যে প্রথম চুমুটা এঁকে দিতেন। এসব ভাবতে ভাবতে আকাশে তাকাই! কাতার আসার পর থেকেই দেখছি আধফোটা চাঁদ আলোয় ভিজিয়ে রেখেছে মরুকে। রাতের ডানায় ভর দিয়ে দেখছিলাম মেসির হাতে ফুটবল বিশ্বকাপ। সেই সঙ্গে আর্জেন্টিনার নিজস্ব জ্যোতির্ময় আড়ালে- লুসাইলের স্মরণীয় এই রাতটাকে। যেই রঙিন রাতটি পৃথিবীর সব তুলে দিল মেসি ও আর্জেন্টিনার হাতে!

 

 

আকাশি-সাদা ও লাল-সবুজে ৮ স্টেডিয়াম

১৯ তারিখ থেকে মানুষ ফিরতে শুরু করেছে কাতার থেকে। এতে যেন আরেকটু গা-ঝাড়া দিয়ে ওঠি। ভাবি, মানুষ কমলে ঘুরতে পারবো আরামে। কিন্তু না, ঘটলো ঠিক তার উল্টোটা। রেস্টুরেন্টে যাই, মানুষ নেই। মেট্রো স্টেশনে যাই, হাহাকার। এক রাতের মধ্যেই মরুভূমির দেশ কাতার ফের মরুভূমি হয়ে গেল! গত দুদিন এত্তো এত্তো মানুষ দেখে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিলাম। আজ বড্ড অচেনা লাগছে কাতার। এর মধ্যে আমরা হাইওয়েতে গাড়ি ছোটালাম। ঠিক করলাম কাতার বিশ্বকাপের খেলা চলা আটটি স্টেডিয়াম ঘুরে দেখব ও ছবি তুলব। আমরা ছুটলাম উদ্বোধনী মাঠ আল বাইতের দিকে। এটি দেশটির উত্তর-পূর্ব উপকূলের আল খোর শহরে অবস্থিত। রাজধানী দোহা থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে। ৬০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামের সামনে প্রিয়দলের আকাশি-সাদা জার্সি গায়ে দিয়ে এবং লাল-সবুজের পতাকা গলায় জড়িয়ে ছবি তুলে পথ ধরলাম পার্পল আইসল্যান্ডের। মরুর বুকে গড়ে তোলা এক কৃত্রিম দ্বীপ ও বন। বনের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া পানিতে আমরা মাছ শিকার করে সন্ধ্যার আগে আমরা আল ওয়াকরা শহরের পথ ধরি। পরদিন দোহা থেকে ২০ কিলোমিটার পশ্চিমের পৌরসভা আল রাইয়ানে ৪০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার আহমেদ বিন আলি স্টেডিয়াম, খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম ও এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম দেখলাম। তার পরদিন দোহার ৯৭৪ স্টেডিয়াম ও আল থুমামা স্টেডিয়াম দেখে ঢাকায় ফেরার আগের দিন রাজধানী দোহা থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে কাতারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আল ওয়াকরার আল জানোব স্টেডিয়াম দেখে নিলাম। এই স্টেডিয়ামের পাশেই থাকতাম আমি। স্টেডিয়ামগুলোর কোনোটা তৈরি হয়েছে নৌকার আদলে, কোনোটা দেখতে টুপির মতো, আবার কোনোটায় ব্যবহার করা হয়েছে শিপিং কন্টেইনার। ফুটিয়ে তোলা হয়েছে কাতারের ইতিহাস ও ঐতিহ্য। এমন নান্দনিক সব স্টেডিয়ামেই বসেছিল কাতার বিশ্বকাপ ২০২২ এর জমজমাট আসর।

 

একটুখানি কাতার

ছোট্ট একটা দেশ কাতার, তেলের দেশ কাতার, মরুভূমির দেশ কাতার, মৎস্য সম্পদের দেশ কাতার। নিজেরা নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু দ্রব্য তৈরি করলেও বেশিরভাগই আসে দেশের বাইরে থেকে। কাতার শাসন করেন রাজা। রাজ পরিবারের লোকজনই রাজা হন এবং দেশ পরিচালনা করেন, এটাই দেশটির নিয়ম। কাতার পরিচালনার জন্য আমিরের ৪৫ সদস্যের পরামর্শক কাউন্সিল আছে। এ সদস্যরা নিজেদের মধ্যেই কাজ ভাগবাটোয়ারা করে নেন। আরব সাগরের তীরের এই দেশটির পাশ্ববর্তী দেশগুলা হচ্ছে বাহরাইন, সৌদি আরব, ওমান, সুদান, ইরান, কুয়েত ইত্যাদি। কাতারে অসংখ্য দর্শনীয় জায়গা আছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ইসলামিক আর্ট মিউজিয়াম, সৌক ওয়াকিফ, দা পার্ল, ন্যাশনাল মিউজিয়াম, মাতহাফ আরব মিউজিয়াম অফ মডার্ন আর্ট, অ্যাস্পায়ার পার্ক ও বানানা আইল্যান্ড। অবশ্য ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশ থেকে তেমন কেউ কাতার যায় না, বাংলাদেশ থেকে বেশিরভাগ মানুষ কাতার যান কাজের জন্য বা ব্যবসার জন্য। কাতারে অনেক বাঙালী কাজ করেন। অনেকের সঙ্গে দেখা হয়েছে। কথাও হয়েছে।

 

দেশী মানুষ পেয়ে ওখানকার বাঙালীরা খুব খুশি হন, কেউ কেউ উপহারও দিয়েছেন। কাতারে রাস্তার ডান দিক দিয়ে হাঁটতে হয়। গাড়ির স্টিয়ারিং হুইল বামপাশে। কোথাও কোন ড্রেন চোখে পড়েনি। চোখে পড়েনি ডাস্টবিনও। রাস্তায় হাজার হাজার গাড়ি চলাচল করে কিন্তু কোন হর্ণের শব্দ নেই। পথে কোন হকারও দেখিনি। দেখিনি পুলিশ বাহিনীও। খুব নিয়ম মেনে চলে সবাই। নিয়মের এই মরুভূমির দেশে মরুভূমির জাহাজখ্যাত উটে চড়েছি। খেয়েছি স্থানীয় সাল্টা, মাছবুস, আকবর জুজেহ। আদানি নামের বিশেষ এক ধরনের চা খেয়ে তো নিজের নামই ভুলে যেতে বসলাম যেন! মরুর দেশে ঘুরে বেড়ানোর আনন্দটা বাড়িয়ে দিয়েছিল আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়। তবে তোমরা যদি কাতার ঘুরতে যেতে চাও অবশ্যই নভেম্বর থেকে মার্চ মাসের মধ্যে যাবে। এই সময়টায় গেলে বেশি মজা করতে পারবে। জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসে কাতারে বেশ ঠান্ডা পড়তে পারে। তাই এ সময় কাতার ভ্রমণে গেলেও গরম কাপড় সঙ্গে নিতে ভুলবে না! আর উটের পিঠে চড়তে ভুলে যেও না!

সারাবাংলা/এসবিডিই

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন