বিজ্ঞাপন

মৃত্যুবার্ষিকীতে কবি নজরুলের সমাধিতে শ্রদ্ধা

August 27, 2018 | 10:58 am

।। ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাবি: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। সোমবার (২৭ আগস্ট) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কবির সমাধিতে এই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

নজরুলের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় দেশ গঠনের আহ্বান জানান ফুল দিতে আসা প্রতিটি মানুষের। তবে শুধু দিবসকেন্দ্রিক শ্রদ্ধঞ্জলি নয় সমাজ ও রাষ্ট্রে নজরুলের চেতনা প্রতিষ্ঠার আহ্বান সকলের।

১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (তৎকালীন পিজি হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় কবি নজরুল ইসলামের। শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তাকে সমাহিত করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে।

বিজ্ঞাপন

তার ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকীর সকালে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, নজরুল ইনস্টিটিউট, বাংলা একাডেমি, শিল্পকলা একাডেমি, আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে কবির কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কবির মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বলেন, ‘আগস্টে গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে বিএনপি চেয়েছিল আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করতে। কিন্তু তাতে তারা সফল হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন সাম্যবাদী কবি। তিনি অসাম্প্রদায়িক ছিলেন। তার কবিতা আমাদের অসাম্প্রদায়িক হতে শিখিয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘বাংলাদেশে বিদ্যমান অন্যায় এবং অনাচারের প্রতিবাদ করে একটি সত্যিকার গণতান্ত্রিক স্বাধীন বাংলাদেশ হিসেবে এই দেশকে পুনরায় গড়ে তুলতে হবে।’

নজরুল গবেষণা ট্রাস্ট্রের সভাপতি ও বিশিষ্ট নজরুল গবেষক ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নজরুলের রচনাবলী বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ইংরেজি, চীনা, জাপানিজ, স্প্যানিশ, পর্তুগিজ, ফরাসি, জার্মান। আমাদের দেশে অনুবাদক পাওয়া খুব কঠিন। ভাষা চর্চা করার মতো লোক পাওয়া যায় না। যারাও করে তাদের সবারটা নেওয়া যায় না। আমি কোন সরকারি কর্মকর্তা নই। নজরুলকে ভালবাসি, তাই কাজ করি। আমি যতক্ষণ আছি, চেষ্টা করবে যাতে নজরুলকে সামগ্রিকভাবে, সুষ্ঠুভাবে তুলে ধরা হয়।’

নজরুল-রচনাবলী প্রকাশে সরকারি সহযোগিতা যথেষ্ট কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘শুধু সরকারি সহযোগিতা দিয়ে হবে না। সরকারের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা আছে। আমরা যদি যোগ্য লোক অফিসার হিসেবে না পাই, তবে কাকে দিয়ে কাজ করাব। যে পরিমাণ কর্মকর্তা দরকার, সেটাও আমরা পাই না। এসব সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়েও শুধু কবিকে ভালবাসি বলে তার অমর সৃষ্টি যেন নিঃসৃত না হয়ে না যায় চেষ্টাই আমরা করি।এবং এ ব্যাপারে আপনাদের সহযোগিতা চাই।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ সামাদ বলেন, ‘বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামের মৃত্যুদিনে আমরা তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। বিট্রিশ আন্দোলন থেকে শুরু করে সকল আন্দোলনে বিপ্লবী মানুষের কণ্ঠস্বর ছিলেন তিনি। তার শ্যামা সংগীত, গজল, বিদ্রোহী গান সবই আমাদের যুগ-যুগান্তরে বহন করে নিয়ে যেতে হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ভক্ত ছিলেন। আমরা যারা রক্ত দিয়ে শ্রম দিয়ে দেশ অর্জন করেছি সেই দেশে নজরুলের অসাম্প্রদায়িক চেতনা আমরা বহন করে নিয়ে যেতে চাই।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/কেকে/এমও

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন