বিজ্ঞাপন

স্পিনারদের রাজত্ব যখন পেসারদের

April 3, 2018 | 4:03 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট 

বিজ্ঞাপন

প্রধান নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন নিজেই মনে করিয়ে দিলেন, শীর্ষ পাঁচ বোলারদের মধ্যে একজন ছাড়া সবাই-ই পেসার। মাশরাফি বিন মুর্তজাও বললেন, এবার তো প্রথম পাঁচ-ছয় বোলারের মধ্যে একজন ছাড়া সবাই-ই পেসার। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বাঁহাতি স্পিনার আসিফ হাসান প্রথম পাঁচে না থাকলে এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগকে পেসারময় লিগ বলেই দেওয়া যেত। তবে, অনেক বছর পর এবারের লিগে বিশেষ করে বাঁহাতি স্পিনারদের দাপট নেই, তা বলেই দেওয়া যায়।

পরিসংখ্যান অন্তত সে কথাই বলছে। মাশরাফি বিন মুর্তজা রেকর্ড গড়ে এবার লিগে সবার ওপরে, সেটা হয়তো এর মধ্যেই জানা হয়ে গেছে আপনার। এর মধ্যে লিগে ৩৮ উইকেট নিয়ে মোটামুটি সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক। ২৮ উইকেট নিয়ে এরপরেই আছেন তরুণ বাঁহাতি পেসার কাজী অনীক। ২৮ উইকেট আছে আরও দুজনের, আসিফ হাসান ও ঘরোয়া লিগের পরীক্ষিত প্রাইম দোলেশ্বরের অলরাউন্ডার ফরহাদ রেজার। তরুণ পেসার রবিউল হক ও মোহাম্মদ শহীদের উইকেট ২৭টি। প্রথম ছয়ে পেসারদেরই জয়-জয়কার।

গত পাঁচ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের রেকর্ড বলছে, শীর্ষ পাঁচে পেসারদের এতোটা দাপট কখনোই ছিল না। গত লিগে অবশ্য বোলারদের মধ্যে সেরা একজন পেসারই ছিলেন, গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের আবু হায়দার রনি নিয়েছিলেন ৩৫ উইকেট। তবে শীর্ষ পাঁচে পেসার ছিলেন শুধু একজনই, প্রাইম ব্যাংকের আল আমিন হোসেন। আরাফাত সানি ছিলেন দুইয়ে, তাইজুল ইসলাম ও ভারতের মনন শর্মা চার ও পাঁচে। শেষের তিনজনই আবার বাঁহাতি স্পিনার।

বিজ্ঞাপন

বাঁহাতি স্পিনারদের এই দাপট চলেছে ২০১৬ সালের লিগেও। সেবার ৩০ উইকেট নিয়ে সবার ওপরে ছিলেন শ্রীলঙ্কার বাঁহাতি স্পিনার চতুরঙ্গ ডি সিলভা। তবে সেবার শীর্ষ পাঁচে চতুরঙ্গ ছাড়া স্পিনার ছিলেন একজনই, আবাহনীর সাকলাইন সজীব। কামরুল ইসলাম রাব্বি, তাসকিন আহমেদ ও আল আমিন; পাঁচের ভেতর পেসার ছিলেন এই তিন জন।

তার আগের বছর আবার স্পিনার, বিশেষ করে বাঁহাতি স্পিনারদের রাজত্ব। ২০১৫ সালের লিগে শীর্ষ পাঁচে ছিলেন চার জন বাঁহাতি স্পিনার। ৩১ উইকেট নিয়ে সবার ওপরে ছিলেন ইলিয়াস সানি, তার পরেই আসিফ হাসান, এনামুল হক জুনিয়র ও নাজমুল ইসলাম, সবাই বাঁহাতি স্পিনার। পাঁচে ছিলেন সবেধন নীলমণি পেসার দেলোয়ার হোসেন।

২০১৪ সালেও স্পিনারদের পাল্লাই বেশি ভারি ছিল। ২৯ উইকেট নিয়ে আরাফাত সানি ছিলেন সবার ওপরে, সমান উইকেটে ছিল ফরহাদ রেজারও। শীর্ষ পাঁচে আরও দুজন বাঁহাতি স্পিনার এনামুল জুনিয়র ও তাইজুল। আর ফরহাদের সঙ্গে একমাত্র পেসার রুবেল হোসেন।

বিজ্ঞাপন

তবে বাঁহাতি স্পিনাররা শুরুর দিকে জায়গা না পেলেও সাফল্য একেবারে কম পাননি। দুই সানি-ইলিয়াস ও আরাফাত, সোহওয়ার্দী শুভ, মোশাররফ হোসেনের মতো জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া স্পিনাররাও এবারও অন্তত ২০ উইকেট করে পেয়েছেন সবাই। পেসারদের দাপট এবার বেশি থাকলেও অভিজ্ঞ স্পিনাররা যে ফুরিয়ে গেছেন, সেই সিদ্ধান্তেও এখনই চলে আসা যাচ্ছে না।

সারাবাংলা/এএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন