সীমান্তে উচ্ছ্বাস, মিয়ানমারকে হারিয়েছে বাংলাদেশ
৪ এপ্রিল ২০১৯ ১৩:৫৬
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের মধ্যে সৃষ্ট দূরত্ব কাটিয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পক বজাই রাখতে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি এবং বিজিপি’র মধ্যে প্রীতি ভলিবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ম্যাচে ২-১ সেটে মিয়ানমারকে হারায় বাংলাদেশ।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি এবং বিজিপি’র মধ্যে বরাবরই সু-সর্ম্পক থাকলেও রোহিঙ্গা ইস্যুতে তা কিছুটা অবনতির দিকে যায়। তাই আস্থা ও সর্ম্পক সুদৃঢ় রাখতে নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুম সীমান্তে ফ্রেন্ডশিপ ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় প্রথমবারের মতো দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে প্রীতি ভলিবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়।
আর্ন্তজাতিক নিয়মে হওয়া এই ম্যাচে ২-১ সেটে মিয়ানমারকে পরাজিত করে বাংলাদেশ। দুই দেশের প্রীতি ম্যাচকে স্বাগত জানিয়েছে উৎসাহী জনতা। তারা বলছেন, কিছু দিন পর পর সম্পন্ন হওয়া পতাকা বৈঠক এবং খেলাধুলার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব বাড়ছে এবং উন্নত হবে সীমান্তের নিরাপত্তা।
সাইফুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক যুবক জানান, ‘দুই দেশের সীমান্ত বাহিনীর সু-সর্ম্পকের কারণে আজকের এই ম্যাচ উপভোগ করতে পারছি। এই ধরনের ম্যাচ আমরা আরো প্রত্যাশা করছি যেন দুই দেশের মধ্যে ভালো সর্ম্পক থাকে।’ রফিকুল ইসলাম নামে আরেক দর্শক জানান, শুধু ভলিবল নয়। দুই দেশের মধ্যে অন্যান্য খেলাধুলার আয়োজন করা হোক। যাতে করে ভালো সর্ম্পক তৈরি হয়।
আরেক স্থানীয় লিয়াকত মিয়া জানান, রোহিঙ্গা ইস্যুতে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী’র মধ্যে সর্ম্পকের ভাটা পড়েছিল। তা দিন দিন কাটিয়ে উঠছে পতাকা বৈঠক সহ এই ধরনের খেলাধুলার মাধ্যমে। এটা যেন অব্যাহত থাকে।
এই প্রতিযোগিতার প্রধান অতিথি কর্ণেল মুরাদ (ভারপ্রাপ্ত রিজিয়ন কমান্ডার-কক্সবাজার) জানান, দুই দেশের সীমান্তরক্ষী’র এই প্রীতি ম্যাচের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে সর্ম্পক দৃঢ় হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস এ ধরনের খেলাধুলার মাধ্যমে সর্ম্পক আরো সুদৃঢ় হবে।
নিজেদের মধ্যে সর্ম্পক সুদৃঢ় রাখার ব্যাপারে সাংবাদিকদের একই কথা বললেন, মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী থেকে প্রতিনিধিত্ব করা মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের সেক্টর কমান্ডর (১) সি মিন্ট ওও।
ম্যাচ শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরষ্কার বিতরণীর মাধ্যমে সমাপ্ত হয় দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রীতি ভলিবল ম্যাচ। পরে ঘুমধুম সীমান্তে ফ্রেন্ডশিপ ব্রিজ হয়ে নিজ দেশে ফিরে যায় মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। দুই দেশের সর্ম্পক বৃদ্ধিতে পতাকা বৈঠক এবং এই ধরনের খেলাধুলা আরো প্রত্যাশা করছেন সচেতন মহল।
সারাবাংলা/এমআরপি