যে কারণে টি-টোয়েন্টি দলে টিকে গেলেন শান্ত
৪ মে ২০২৫ ১৮:৫০
আজ (রবিবার) সকালেই বিসিবির মিডিয়া বিভাগ থেকে জানানো হয়, বিকাল চারটায় ঘোষণা করা হবে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তান সফরের দল। গতকাল থেকে জোর গুঞ্জন ছিল দল থেকে বাদ পড়তে যাচ্ছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। যদিও ১৬ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণার পর নিশ্চিত হওয়া গেছে, অধিনায়কত্ব হারালেও দলে টিকে যাচ্ছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু জানান, অভিজ্ঞতার বিচারে শান্তকে দলে রেখেছেন তারা।
টি-টোয়েন্টিতে সাম্প্রতিক ফর্মের জন্যই এমন গুঞ্জন ওঠে ক্রিকেট পাড়ায়। শেষ ১০ টি-টোয়েন্টি ইনিংসে নেই কোনো ফিফটি। এমনকি বিপিএলের সর্বশেষ আসরেও খেলেছেন মাত্র পাঁচ ম্যাচ। সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৬ মার্চ সিলেটে শ্রীলংকার বিপক্ষে ফিফটি করা শান্তকে দলে রাখা নিয়ে লিপু বলেন, তার অভিজ্ঞতাকেই প্রাধান্য দিয়েছেন তারা।
লিপু বলেন, ‘শান্ত আমাদের সাবেক অধিনায়ক ছিলেন। আপনি দলটার দিকে তাকিয়ে দেখুন। আপনার অভিজ্ঞতাও দরকার। ওপরে আমাদের সৌম্য আছেন। ৯০-এর কাছাকাছি ম্যাচ খেলেছেন। লিটন দাস আছেন। এরপর আপনি তাকান, তাহলে দেখবেন যে বিস্তর ফারাক হয়েছে। শান্তর ৫০ হয়নি। ৪০-এর আশেপাশে ম্যাচ। তাই কিছু অভিজ্ঞ খেলোয়াড় দলের সঙ্গে আপনার নিতে হবে।’
তুলনামূলক তরুণ এই দলে শান্তকে অভিজ্ঞদের কাতারেই রাখছেন প্রধান নির্বাচক লিপু। তবে ৪৯টি ম্যাচ খেলার পরেও হাজার পেরোয়নি শান্তর রান। ফিফটি আছে চারটি, ১০৮.৩৫ স্ট্রাইকরেটে রান করেছেন ৯৬০। তবুও অভিজ্ঞতার বিচারে দলে শান্তর ওপর ভরসা রাখছে বিসিবির নির্বাচক প্যানেল।
এর সাথে আরব আমিরাতের বিপক্ষে আসন্ন এই সিরিজ থেকে টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্বের পালাবদলও ঘটতে যাচ্ছে। ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব থাকছে লিটন দাসের কাঁধে। তার ডেপুটি হিসেবে দায়িত্ব থাকছে শেখ মাহেদী হাসানের ওপর।
আজ সংবাদ সম্মেলনে দল ঘোষণার আগে বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম লিটনকে দীর্ঘ মেয়াদে অধিনায়কত্ব দেয়ার নেপথ্যে তাদের ভাবনার কথা জানিয়ে বলেন, ‘লিটনের যে ব্যাপারটি হলো আমরা সবাই জানি যে খেলাটা সে কত ভালো বোঝে। যারা টেকনিক্যালি খুব সাউন্ড তারাও লিটনের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশংসা করে। কিন্তু ও যদি নিজের খেলাটা গুছিয়ে নিতে পারে, ওর পারফরম্যান্সটা ঠিক করে নিতে পারে। তাহলে দলের জন্য সে খুব বড় দায়িত্ব পালন করতে পারবে।
বাংলাদেশ সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছিল ২০২৪ সালের শেষদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে। সেই সফরের কোনো ফরম্যাটেই চোটের কারণে খেলতে পারেননি নিয়মিত অধিনায়ক শান্ত। ওয়ানডে আর টেস্ট সিরিজে নেতৃত্বে ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আর টি-টোয়েন্টিতে দায়িত্ব পালন করেন লিটন। মিরাজের অধিনায়কত্বে টেস্ট সিরিজ ১-১ সমতায় ও ওয়ানডে ২-১ ব্যবধানে হারলেও টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে জেতে বাংলাদেশ।
সেই সিরিজের পর থেকেই জাতীয় দলের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে আলোচনায় ছিল লিটনের। শান্তও আর টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্বে থাকতে চাইছিলেন না। যদিও এখনও ওয়ানডে আর টেস্ট দলের নেতৃত্বে বহাল আছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। তার নেতৃত্বে ২৪ ম্যাচ খেলে ১০টিতে জিতেছে বাংলাদেশ, হেরেছে ১৩ ম্যাচে, আর একটি ম্যাচ হয়েছে পরিত্যক্ত।
সারাবাংলা/জেটি