।। স্পোর্টস ডেস্ক ।।
একটা ম্যাচ থেকে এর চেয়ে বেশি কিছু বোধ হয় আর চাইতে পারতেন না লিওনেল মেসি। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পর এর চেয়ে ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়ানোও বোধ হয় সম্ভব ছিল না। নাইজেরিয়ার সঙ্গে ২-১ গোলের জয়ে শেষ পর্যন্ত স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পেরেছেন। ম্যাচ শেষে বলেছেন, আর যাই হোক, প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেওয়া আর্জেন্টিনার প্রাপ্য ছিল না।
অথচ সেটাই হয়ে যাচ্ছিল আরেকটু হলে। প্রথমার্ধে মেসি যে গোলটা করেছেন, সেটা অনেক অনেক লেগে থাকবে চোখে। দ্বিতীয় গোলও পেয়ে যেতে পারতেন এরপর, কিন্তু একটুর জন্য পাননি তা। উলটো নাইজেরিয়াই সমতা ফিরিয়ে এনেছিল, আর্জেন্টিনা চলে যাচ্ছিল আরও খাদের কিনারে। শেষ মুহূর্তে মার্কোস রোহোর গোলে উদ্ধার পেয়েছে। মেসি প্রথম প্রতিক্রিয়াতেই ধন্যবাদ দিলেন স্রষ্টাকে, ‘আমি জানতাম ঈশ্বর আমাদের সঙ্গে আছেন। আমাদের ফেলে তিনি যেতে পারেন না।’
মেসি জোর দিয়েই বললেন, আর্জেন্টিনার পরের রাউন্ডে একটা সুযোগ প্রাপ্য ছিল,‘এভাবে পরের রাউন্ডে যাওয়াটা দারুণ একটা ব্যাপার। আর সত্যি বললে, প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নেব সেটা আমাদের প্রাপ্য ছিল না। আমরা জিতব, সেটা কমবেশি সবাজ জানত। কিন্তু সেটা যে এভাবে হবে তা ভাবিনি।’
কাল নিজেও কিছু ব্যক্তিগত মাইলফলক ছুঁয়েছেন মেসি। প্রথম খেলোয়াড় ২০ বছরের নিচে ও ৩০ বছর পেরিয়ে গোল পেয়েছেন বিশ্বকাপে। এমনকি পেলে, ম্যারাডোনারও এই কীর্তি নেই। এই বিশ্বকাপের শততম গোলও এসেছে তাঁর পা থেকেই। তবে নিজের এসব অর্জন নিয়ে খুব বেশি আপ্লুত নন মেসি। বরং দলকে জেতাতে পেরেছেন, সেটাই তার কাছে বড় ব্যাপার।
‘এই ম্যাচটা যে কারোরই হতে পারত। প্রথমার্ধে আমরা এগিয়ে যাই, দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য ওরা ফিরে আসে পেনাল্টি দিয়ে। এরপর আমরা অবশ্য ওদেরকে চেপে ধরেছিলাম, শেষ পর্যন্ত ভাগ্য ভালো আমরা গোল পেয়ে যাই।’
মেসি স্বীকার করেছেন, প্রথম দুই ম্যাচের ফল তাদের হতোদ্যম করে রেখেছিল, ‘শেষ কয়েকটা ম্যাচে আমরা যা খেলেছি, তাতে আমরা একটু দমিয়ে পড়েছিলাম। তবে আশা ছাড়িনি, শেষ পর্যন্ত খুশি যে আমরা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছি।’
সমর্থকদেরও জানালেন ধন্যবাদ, ‘আজকের ম্যাচে যারা খেলেছে তাদের সঙ্গে যারা সমর্থন দিয়ে গেছে তাদেরও আমি একটা ধন্যবাদ দিতে চাই। আর্জেন্টিনাই সবকিছুর ওপরে।’
সারাবাংলা/এএম/এসএন