Monday 30 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাংলাদেশের পেছনে থেকে বিশ্বকাপ মঞ্চে যারা


২৭ জুন ২০১৮ ১৪:১৩

।। জাহিদ-ই-হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: বিশ্বাস করতে হয়তো কষ্টই হবে। একসময় ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের পেছনে থাকা কিছু দল এখন বিশ্বকাপ মঞ্চে পা রেখেছে। বাংলাদেশ নিয়ে তুলনামূলক সহজভাবেই বলা যায়- ঠিক উল্টো পথেই এগুচ্ছে দেশের ফুটবল। র‌্যাঙ্কিংয়ে অবনমন হতে হতে এখন নিবু নিবু লাল-সবুজ ঝাণ্ডা।

আলোর দিশা দেখিয়ে দেশের ফুটবল এখন অনুজ্জ্বল। অন্যদিকে, অনুজ্জ্বল তারাগুলো আপন আলোয় দীপ্তি দিয়ে যাচ্ছে ফুটবল আকাশে। জায়গা করে নিচ্ছে ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ বিশ্বকাপে।

এমনই তিনটি দেশের গল্প থাকছে সারাবাংলার পাতায়।

গল্পটা শুরু ১৯৯৩ সালে। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে তখন বাংলাদেশের সেরা অবস্থান ১১৬ এবং সেপ্টেম্বরে ১১৯। দেশের সর্বোচ্চ র‌্যাঙ্কিং। ওই সালেই ফিফা দেশগুলোর র‌্যাঙ্কিং পদ্ধতি চালু করেছে। সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ স্থান করে নেয় ১১৯।

এই সেপ্টেম্বরেই ইউক্রেনের অবস্থান ছিল ১৩১, স্লোভানিয়ার ১২৮ আর পানামা ১২৫। এই তিন দলই বিশ্বকাপ মঞ্চে নিজেদের তুলে নিয়ে গেছে। এই তিন দলই আবার র‌্যাঙ্কিংয়ে ছিল বাংলাদেশের পেছনে। এরপর থেকেই দেশগুলোর ক্রমোন্নতি আর বাংলাদেশের অবনতির গল্প লেখা শুরু।

বাংলাদেশ

বাংলাদেশের হতাশা বাড়ছেই

একদিকে মধ্যইউরোপের দেশ স্লোভেনিয়া, কনকাকাফ অঞ্চলের দেশ পানামা আর পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেন উন্নতি করে গেছে। নিজেদের পতাকা উড়িয়েছে বিশ্বকাপের মঞ্চে। ১৯৯৩ থেকে ২০১৮ সাল, এই ২৫ বছরে দলগুলো তরতর করে এগিয়েছে নিজেদের ফুটবল উন্নতির মাধ্যমে। আর বাংলাদেশ নামতে নামতে এখন ১৯৪-এ। কিছুদিন আগে একটুর জন্য ‘দ্বিশতক হাকানো’ হয়নি দেশের।

বিজ্ঞাপন

এবার বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো অংশ নিয়ে পানামার প্রথম গোল উদযাপন পুরো বিশ্ব দেখেছে। তার আগে স্লোভানিয়া দুটি বিশ্বকাপ খেলে ফেলেছে। একটি ২০০২ আরেকটি ২০১০ সালে। এর মাঝেই বিশ্বকাপ মঞ্চে সবাইকে চমকে দিয়েছিল ইউক্রেন। বিশ্বমঞ্চে সুযোগ পেয়েই কোয়ার্টার ফাইনালে খেলে ফেলেছিল পূর্ব ইউরোপের দেশটি।

বাংলাদেশের র‌্যাঙ্কিং গ্রাফটা ছিল নিম্নমূখী। সেই ২০০৩ সালে সাফ শিরোপা ছাড়া কোনও কিছুই নেই বলার মতোন। মাঝে দশোর্ধ্ব কোচের হাতবদল হয়েছে। লাভ হয়নি তাতেও। ২০০৮-এ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতির আসনে কাজী সালাউদ্দীন আসার পর মাঝে তিন বছরে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা এগিয়ে যাওয়ার গল্প শুরু করতে গিয়েছে খেই হারিয়ে ফেলেছে অবশেষে। এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার মতো অবস্থা।

আবার ১৯৯৩ সালে ক্রোয়েশিয়া ছিল বাংলাদেশের দুই ধাপ উপরে। সে দল পাঁচবার বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে ফেলেছে। ১৯৯৮ বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে চমক দেখিয়ে তৃতীয় হয়েছিল দেশটি।

দেশের এমন অধ্বঃপতনের পেছনে ফুটবল অবকাঠামোকেই দুষছেন জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক জাহিদ হাসান এমিলি, ‘বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ ফুটবলে উন্নতি করছে কারণ তাদের ফুটবল অবকাঠামো অনেক ভালো। বয়সভিত্তিক প্রচুর লিগ হয়। ফুটবলার নষ্ট হয়না। তাদের পরিচর্যা করা হয় ছোটবেলা থেকেই। ক্লাবগুলোর একাডেমি ও ফুটবল ফেডারেশনের একাডেমি অনেক শক্তিশালী। সেখান থেকে তো উন্নতি করবেই। যা আমাদের দেশে নেই বললেই চলে। জেলা পর্যায়ের ফুটবলে উন্নতি নেই। নেই দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনাও।’

এই ভঙ্গুর অবস্থার উন্নতি হবে কবে? সে প্রশ্নের জবাব জানা ফুটবল কর্মকর্তাদের। তবে, বিশ্লেষকদের আশঙ্কা- বিড়ালের গলায় ঘণ্টা দিবে কে?

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেএইচ

ক্রোয়েশিয়া পানামা বাংলাদেশ রাশিয়া বিশ্বকাপ ২০১৮ স্লোভানিয়া

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর