যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ভারত-পাকিস্তান দুই দেশই। এর আগে দুই প্রতিবেশির সংঘাতের প্রভাবে স্থগিত হয়ে যায় আইপিএল ও পিএসএল। দুই দেশের লিগে খেলতে যাওয়া বিদেশি ক্রিকেটাররাও নিরাপত্তার স্বার্থে ভারত ও পাকিস্তান ছেড়েছেন। এদের মধ্যে পিএসএল খেলতে গিয়ে গতকাল দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার রিশাদ হোসেন ও নাহিদ রানা। পিএসএল আবার কবে মাঠে গড়াবে এখনও আসেনি কোনো ঘোষণা। তবে আইপিএল আবার মাঠে গড়াতে পারে চলতি মাসের ১৫ তারিখ।
ইএসপিএনক্রিকইনফো জানাচ্ছে, ভারত সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে আগামী ১৫ মে আইপিএল আবার শুরু করার জন্য ইতোমধ্যে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো বিদেশি খেলোয়াড় ও কোচিং প্যানেলের সদস্যদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
বিসিসিআই সহ-সভাপতি রাজিব শুক্লা পিটিআইকে বলেন, ‘যুদ্ধ বন্ধ হয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিসিসিআই কর্মকর্তা, আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবেন। আমাদের দেখতে হবে টুর্নামেন্টটা শেষ করার আদর্শ সময় কোনটা হয়।’
এর আগে গতকাল (শনিবার) এক বিবৃতিতে বিসিসিআই জানায়, চলতি মে মাসেই বেঙ্গালুরু, চেন্নাই ও হায়দরাবাদের তিন স্টেডিয়ামে বাকি ১৬টি ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা তাদের। ১২টি গ্রুপ পর্বের ম্যাচ ও বাকি চারটি প্লে অফ। অবশ্য এখনও আনুষ্ঠানিভাবে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে চূড়ান্ত অনুমতি পাওয়ার বাকি আইপিএলের।
স্থগিত হওয়ার ঘোষণার পর অনেক ক্রিকেটারই ভারত ছেড়েছেন। অবশ্য ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো বিদেশি ক্রিকেটারদের ফিরে আসা নিয়ে আশাবাদী। অবশ্য আইপিএলের বাকি অংশ মাঠে গড়াতে ২৫-মে পেরিয়ে গেলে তাদের পাওয়া নিয়ে আছে শংকা। কারণ জুন থেকেই শুরু হয়ে যাবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্র। ভারত যাবে ইংল্যান্ড সফরে। আর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে আগামী ১১ জুন লর্ডসে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
এখন পর্যন্ত ৫৭টি ম্যাচ সম্পন্ন হয়েছে আইপিএলে। পাঞ্জাব কিংস-দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যকার ৫৮-তম ম্যাচটি নিরাপত্তা ইস্যুতে পরিত্যক্ত হয়েছে গত ৮ মে।