গত এপ্রিল মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ব্যাটে-বলে অনবদ্য পারফরম্যান্সে সিরিজ সেরা হয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ১-১ সমতায় নিষ্পত্তি হওয়া সিরিজে বল হাতে নিয়েছেন ১৫ উইকেট, এক সেঞ্চুরিতে ১১৬ রান করেছেন এই ডানহাতি অলরাউন্ডার। এই পারফরম্যান্স দিয়েই প্রথমবার জিতেছেন আইসিসির ‘প্লেয়ার অফ দ্য মান্থ’-এর পুরস্কার। এপ্রিলের সেরা ক্রিকেটার হয়েছেন তিনি। পেছনে ফেলেছেন জিম্বাবুয়ের ব্লেসিং মুজারাবানি ও নিউজিল্যান্ডের বেন সিয়ার্সকে।
আইসিসি এই পুরস্কার চালু করেছে ২০২১ সাল থেকে। সে বছরের মে মাসে প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে মাস সেরা নির্বাচিত হন মুশফিকুর রহিম। একই বছরের জুলাইয়ে সাকিব আল হাসান হন প্লেয়ার অফ দ্য মান্থ। ২০২৩ সালের মার্চেও অবশ্য সাকিব মাস সেরা হন দারুণ পারফরম্যান্সে। আর একমাত্র নারী ক্রিকেটার হিসেবে এই অর্জন আছে বাঁহাতি স্পিনার নাহিদা আক্তারের। সব মিলিয়ে চতুর্থ ও তৃতীয় পুরুষ বাংলাদেশি হিসেবে প্লেয়ার অফ দ্য মান্থ হলেন মিরাজ।
প্রথমবার মাস সেরা ক্রিকেটার হয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত মিরাজ। আইসিসিকে এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘আইসিসি প্লেয়ার অফ দ্য মান্থ হওয়া দারুণ সম্মানের। যেকোনো ক্রিকেটারের জন্য বিশাল ব্যাপার, কারণ পুরো ক্রিকেট বিশ্বের ভোট পেতে হয়। এই পুরস্কারগুলো মনে করিয়ে দেয় আমার পুরো যাত্রাটাকে। ২০১৬ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেরা ক্রিকেটার হয়েছিলাম। এই পুরস্কারটাও আমার কাছে তেমনই স্পেশাল।’
এপ্রিল মাসের সেরা ক্রিকেটার হওয়াটা সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা হবে বলে মনে করেন মিরাজ। তিনি বলেন, ‘আমি সত্যিই অনেক আনন্দিত। আশা করছি বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের হয়ে অবদান রাখতে পারব। ক্রিকেটার হিসেবে আমরা স্বপ্ন দেখি, সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটানোর, তাদের আনন্দ দেয়ার। আইসিসি থেকে এমন স্বীকৃতি পাওয়া দেশের হয়ে খেলতে আরও বেশি করে অনুপ্রাণিত করবে। সতীর্থ, কোচ, সমর্থক-সবাইকেই ধন্যবাদ জানাতে চাই, এই পুরস্কারটা তাদেরও প্রাপ্য।’
এপ্রিল মাসে সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ হারে তিন উইকেটের ব্যবধানে। দল হারলেও দুই ইনিংস মিলে দশ উইকেট নেন মিরাজ। তবুও হার ঠেকাতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টের জন্যই যেন তৈরি হয়ে ছিলেন মিরাজ। সাত নম্বরে নেমে টেইলএন্ডারদের সাথে করেছেন দারুণ এক সেঞ্চুরি। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে দলকে এনে দেন ২০০ রানের বেশি লিড। এরপর বল হাতে নেন পাঁচ উইকেট। মিরাজের ঘূর্ণিতেই ইনিংস ও ১৭৬ রানের ব্যবধানে ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা ফেরায় বাংলাদেশ।