আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের বাকি সময়ে বাকি ব্যাটাররাও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। তবে এক পারভেজ হোসেন ইমন আজ একাই টানলেন বাংলাদেশকে। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন বাংলাদেশের তরুণ ওপেনার। যাতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে রানের পাহাড় গড়েছে বাংলাদেশ।
নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রান তুলেছে বাংলাদেশ। তার মধ্যে ইমন একাই করেছেন ১০০ রান। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি এটা। এর আগে বাংলাদেশের হয়ে এই ফরম্যাটে একমাত্র সেঞ্চুরিটা ছিল তামিম ইকবালের। ২০১৬ সালের বিশ্বকাপে ওমানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন তামিম।
তামিম সেঞ্চুরি করেছিলেন ৬০ বলে। আর ইমন আজ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন ৫৩ বলে। সে হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ইমন এখন দেশের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক। অবশ্য টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ স্কোর এখনও তামিমেরই। ওমানের বিপক্ষে ১০৩ রান করে নটআউট ছিলেন তামিম। আজ ইমন সেটা পেরুনোর সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হয়েছেন ১০০ রানে আউট হয়ে।
তবে তা নিয়ে আফসোস থাকার কথা নয় তরুণ ওপেনারের। সৌম্য সরকার নাকি ইমন, ওপেনিং পজিশন নিয়ে এমন দ্বীধার মধ্যে শেষ পর্যন্ত আজ ইমনকে বেছে নিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। তাতেই যেন ভাগ্য খুলল তরুণ ওপেনারের। ক্রিজে গিয়েই চালিয়ে খেলতে শুরু করেছিলেন।
অপর প্রান্ত থেকে নিয়মিত উইকেট যাচ্ছিল। বড় স্কোর গড়তে পারেননি দলের অন্য কেউ। তবে তাতে ইমনের ব্যাট থামেনি। অপর ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ১০ বলে ৯ রান করে ফিরেছেন দলীয় ১৩ রানের মাথায়। এরপর অধিনায়ক লিটন দাসের সঙ্গে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন ইমন।
নতুন অধিনায়কত্ব পাওয়া লিটন আজও ব্যর্থ। অফ ফর্মে থাকা টপ অর্ডার আজ ফিরেছেন ৯ বলে ১১ রান করে। এরপর তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে ৫৮ রানের একটা জুটি গড়েন ইমন। বাংলাদেশ দলের বলার মতো জুটি এই একটাই। অবশ্য ৩২ বলে ৫৮ রানের এই জুটিতে ইমন একাই তুলেছেন ১৭ বলে ৩২ রান।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পরেছে বাংলাদেশের। কিন্তু ইমন থামেননি। ব্যক্তিগত রান যখন আশির ঘরে তখন একবার ক্যাচ দিয়েছিলেন। তবে বোলারের নো বলের কল্যাণে বেঁচে গেছেন। এরপর সেঞ্চুরি করে তবেই থেমেছেন তরুণ ব্যাটার। ৫৩ বলে সেঞ্চুরি করে পরের বলেই ফেরার আগে চার হাঁকিয়েছেন ৫টি, আর ছক্কা ৯টি।
১৫ বলে ২০ রান করা তাওহিদ হৃদয় বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার। সংযুক্ত আরব আমিরাতের হয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ জাওয়াদুল্লাহ।