জয় নিয়ে সুইডেন, হারলেও শেষ ষোলোতে মেক্সিকো
২৭ জুন ২০১৮ ২২:১৫
।। স্পোর্টস ডেস্ক ।।
গ্রুপ ‘এফ’র ম্যাচে মুখোমুখি হয় মেক্সিকো-সুইডেন। বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় ইয়েকাতেরিনবুর্গে মেক্সিকানদের বিপক্ষে মাঠে নামে সুইডিশরা। আর একই সময়ে কাজান স্টেডিয়ামে নেমেছিল জার্মানি-দক্ষিণ কোরিয়া। প্রথমার্ধে কোনো দলই গোলের দেখা পায়নি। দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়িয়ে মেক্সিকোকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে সুইডেন। আর যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে দুই গোল দিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে ২-০ গোলে হারিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। ফলে, ৬ পয়েন্ট নিয়ে শেষ ষোলোতে টিকিট কাটলো সুইডেন এবং মেক্সিকো। আর বিদায় নিলো দক্ষিণ কোরিয়া এবং জার্মানি।
আগেই গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার। অন্যদিকে, শেষ ষোলোতে যেতে লড়াই করে মেক্সিকো, জার্মানি আর সুইডেন। আগের দুটি খেলা শেষে মেক্সিকোর পয়েন্ট ছিল ৬, জার্মানি আর সুইডেনের সংগ্রহে ছিল ৩ পয়েন্ট। আর প্রথম দুটি ম্যাচেই হেরে যাওয়া কোরিয়ার পয়েন্ট ছিল শূন্য। তাই শেষ ষোলো নিশ্চিত করতে লড়াই করে বাকি তিনটি দল। ৬ পয়েন্ট করে নিয়ে সুইডেন-মেক্সিকো নকআউটে উঠলেও শেষ ম্যাচে জয় পাওয়া কোরিয়ার (৩ পয়েন্ট) বিপক্ষে হেরে তলানিতে থেকে বিদায় নিতে হলো জার্মানদের (৩ পয়েন্ট)।
ম্যাচের ৫০ মিনিটের মাথায় অগাস্টিনসনের গোলে লিড নেয় সুইডিশরা। ৬২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন গ্রানভিকসত (২-০)। আর ৭৪ মিনিটের মাথায় মেক্সিকান খেলোয়াড় আলভারেজের আত্মঘাতী গোলে ৩-০ গোলের লিড নেয় সুইডিশরা। এই স্কোরেই ম্যাচ শেষ করে নকআউট পর্বে উঠে সুইডেন।
১৫ বার বিশ্বকাপ খেলেও শিরোপা জেতা হয়নি মেক্সিকোর। গত চার বার তো তারা আটকে গেছে দ্বিতীয় রাউন্ডেই। তবে এবার গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে থেকে নিজেদের শেষ ম্যাচটি খেলতে নামে দেশটি। শেষ ষোলোতে যেতে সুইডেনের বিপক্ষে ম্যাচে অন্ততপক্ষে ড্র করতে হতো তাদের। তবে, হারলেও নকআউট পর্বে যেতে পেরেছে জার্মানির পরাজয়ের কারণে।
১৫ বার বিশ্বকাপে অংশ নেয়া মেক্সিকোর সেরা অর্জন ১৯৭০ ও ১৯৮৬ সালের কোয়ার্টার ফাইনাল। তবে এবার নিজেদের সামর্থ্য বুঝিয়ে দিয়েছে তারা। শক্তিশালী জার্মানিকে হারিয়ে প্রথম চমকটা এবার তারাই দিয়েছে। অন্যদিকে, এক ম্যাচ জয় আর এক ম্যাচ হেরে সুইডেনের পয়েন্ট ছিল ৩। তাই এই ম্যাচে মেক্সিকোর বিপক্ষে বড় জয় তুলে নিতে হতো তাদের। আরও সমীকরণের সামনে ছিল তারা। কোরিয়ার বিপক্ষে জার্মানি হারলে বা ড্র করলে, আর মেক্সিকো জয় তুলে নিতে পারলেই দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হতো সুইডিশদের। শেষ ম্যাচে কোরিয়া ২-০ গোলে হারিয়ে দেয় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে।
বিশ্বকাপে ইউরোপের সবচেয়ে পরিচিত মুখগুলোর একটি হচ্ছে সুইডেন। তবে সুইডেনের সেই শৌর্য এখন অতীত। ১৯৫৮ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল, এরপর ১৯৯৪ বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে। বিশ্বকাপে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার অভ্যাসটা তাদের ভালোই আছে, এবারও সেরকম কিছুই চেয়েছিল ১৯৫৮ সালে রানার্সআপ দলটি।
সারাবাংলা/এমআরপি