সবার ওপরে থেকেই দ্বিতীয় রাউন্ডে ব্রাজিল

সারাবাংলা ডেস্ক।। 

পরের পর্বে যাওয়ার জন্য এক পয়েন্ট দরকার ছিল ব্রাজিলের। কিন্তু পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা জানান দিল, তারা শুধু নকআউট পর্বে নয়, আরও অনেকদূর যাওয়ার জন্যই এসেছে। সার্বিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই পা রাখল দ্বিতীয় রাউন্ডে, সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ মেক্সিকো। ব্রাজিলের হয়ে গোল করেছেন পলিনহো ও থিয়াগো সিলভা।

৩৬ মিনিটে সেই কাঙ্খিত গোলের দেখা পেয়ে গেল ব্রাজিল। গোলের উৎস এবারও টুর্নামেন্টে ব্রাজিলের সেরা খেলোয়াড় কুতিনিয়ো। তাঁর দুর্দান্ত পাসটা অরক্ষিত অবস্থা থেকে দারুন এক দৌড়ে ধরে ফেলেন বার্সেলোনা সতীর্থ পলিনহো। গোলরক্ষক সামনে এগিয়ে আসলেও পলিনহো সেটা মাথার ওপর দিয়ে পাঠিয়ে দেন জালে। প্রথমার্ধ শেষে ১-০ গোলে এগিয়ে ব্রাজিল।

প্রথমার্ধে সুযোগ পেয়েছিলেন নেইমারও, গ্যাব্রিয়েল জেসুসের সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান করে ঢুকে পড়েছিলেন বক্সে। কিন্তু তাঁর শট দারুণভাবে ঠেকিয়ে দিয়েছেন সার্বিয়ার গোলরক্ষক স্টকোভিচ। নেইমারের পাস একবার খুঁজে নিয়েছিল হেসুসকে, কিন্তু গোলরক্ষককে একা পেয়েও শেষ পর্যন্ত গোল করতে পারেননি।

৫৬ মিনিটে এক প্রতি আক্রমণ থেকে আরেকটি সুযোগ পেয়েছিল ব্রাজিল। কুতিন্যোর দুর্দান্ত থ্রু খুঁজে নেয় নেইমারকে, কিন্তু তাঁর শট ঠেকিয়ে দেন স্টকোভিচ।

এরপর ব্রাজিলকে বেশ চেপে ধরে সার্বিয়া। এলিসন একটা বল ক্লিয়ার ক্লরতে গিওয়ে ৫৯ মিনিটে বল দিয়েছিলেন মিত্রোভিচের কাছে। কিন্তু সার্বিয়ান স্ট্রাইকারের হেড থিয়াগো সিলভার গায়ে লাগে, ফিরতি বলটা সৌভাগ্যক্রমে ধরে ফেলেন এলিসন। মিনিট দুয়েক পর মিলিনকোভিচ সাভিচের হেড একটুর জন্য চলে যায় পোস্টের বাইরে দিয়ে।৬৫ মিনিটে আবারও মিত্রোভিচের হেড, এবার সরাসরি বলটা ধরে ফেলেন এলিসন।

৬৮ মিনিটে দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায় ব্রাজিল। নেইমারের কর্নার থেকে দারুণ হেডে বল জালে জড়িয়ে দেন থিয়াগো সিলভা। ৩৩ বছর বয়সে ব্রাজিলের হয়ে গোল পেলেন সিলভা, ব্রাজিলের হয়ে বিশ্বকাপে এর চেয়ে বেশি বয়সে গোল করেছেন শুধু বেবেতো।

শেষের দিকে নেইমার ব্যবধান বাড়ানোর অন্তত দুইটি পরিষ্কার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু দুবারই তাঁর সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ান সার্বিয়া গোলরক্ষক। টুর্নামেন্টে নিজের দ্বিতীয় গোলের জন্য অপেক্ষা আরেকটু বাড়ল নেইমারের।

গ্রুপের অন্য ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছে কোস্টারিকা। রানার আপ হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে পা রেখেছে সুইজারল্যান্ড, সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ সুইডেন।