ম্যাচ উইনারের অভাব আর ওভার কনফিডেন্স ডুবালো জার্মানীকে
২৮ জুন ২০১৮ ০১:০৮
জাহিদ হাসান এমিলি।।
জার্মানী বাদ পড়ে গেছে। বলতে হবে এই বিশ্বকাপের এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় অঘটন গ্রুপ পর্ব থেকে জার্মানীর বিদায়। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা চারবার। কিন্তু কখনই পরের টুর্নামেন্টে গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ে নি। তাছাড়া এ বিশ্বকাপে কাগজে-কলমে ফেভারিট হিসেবেই এসেছিলো জোয়াকিম লোর শিষ্যরা। প্রথম ম্যাচে হেরে মনোবল হারিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে ফিরেছে একেবারে শেষ মুহুর্তে। শেষ ম্যাচে তো জয়ের বিকল্প ছিল না।
দক্ষিণ কোরিয়া নিঃসন্দেহে ভালো পারফর্মেন্স করেছে গত দুই ম্যাচের তুলনায়। জার্মানী জয়ের নেশায় বুদ হয়ে রক্ষণভাগে নিজেদের হারিয়ে ফেলেছিল। যার ফায়দা তুলেছে কোরিয়া। যদিও এই ম্যাচে জয় ছাড়া কিছুই পাওয়ার ছিলনা। তারপরেও ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয়া ‘নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো’ অবস্থা কোরিয়ার।
চারবারের চ্যাম্পিয়নরা এবার এসেছিল কনফেডারেশন কাপ জিতে। তরুণ একটা দল নিয়ে কাপ জেতার পর লো’র আত্মবিশ্বাস ছিল তুঙ্গে। তবে জার্মানীর সবচেয়ে বড় দুর্বলতা মনে হয়েছে ম্যাচ উইনারের অভাবকেই। মুলার আর ওয়ের্নারের উপর ভরসা করে এ দলকে নিয়ে এসেছিল চ্যাম্পিয়নরা।
আমার কাছে মনে হয়েছে কোচের ওভার কন্ফিডেন্স আর তরুণ নির্ভর টিম নিয়ে বিদায় নিতে হয়েছে জার্মানীকে। এ দলে বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই কনফেডারেশন জয়ী দলের ফুটবলার। কোচের সেখানেই আসলে আত্মবিশ্বাস জন্মে গিয়েছিল হয়তো যে বিশ্বকাপের মতো মঞ্চেও ভালো করবে। আসলেই সেখানেই ধরা খেয়েছে ইউরোপের পরাশক্তিরা।বলতে গেলে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। শেষ পর্যন্ত গ্রুপের সবার নিচে থেকে বিদায় নেয়ার লজ্জ্বা পেতে হয়েছে।
আজকের ম্যাচেও সেই বিষয়টাই লক্ষ্য করা গেছে। গতবার ক্লোজা ও পোডলক্সির মতো বিশ্বমানের ম্যাচ উইনার ছিল। এবার মুলারের উপর নির্ভর করে এসেছে জার্মানী। তাছাড়া আমার কাছে মনে হয়েছে দলের নাম্বার নাইনের ব্যর্থতা। মারিও গোমেজকে নামানো হয়েছিল এই পজিশনে। দলের জন্য কোনওকিছুই করতে পারে নি সে। পুরো দলকে বলতে গেলে টনি ক্রুস আর ন্যয়ার টেনে নিয়ে গেছে একা।তারাও আজকে ব্যর্থ সেই অর্থে। শেষের গোলটা একেবারে ন্যয়ারের শিশুশুলভ ভুলে খেয়েছে।
বাংলাদেশ ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক