ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে হার, আরব আমিরাতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে ২০৫ রান করেও সেটা ডিফেন্ড করতে না পারা। এমন দুই হারের পর বাংলাদেশের ক্রিকেট তলানিতে ঠেকেছে, এমনটাই মনে করছেন দেশের ক্রিকেটের দর্শক-সমর্থকেরা। আমিরাতের কাছে গত রাতের পরাজয় তাদের কাছে এসেছে অবিশ্বাস্য হয়ে। দুই উইকেটের হারে কোচ ফিল সিমন্স হতাশ হলেও খুঁজে নিয়েছেন কিছু বাস্তব সম্মত ব্যাখা।
শারজাতে প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ২০৫ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে শেষ দুই ওভারের নাটকীয়তায় এক বল হাতে রেখে দুই উইকেটে ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে আরব আমিরাত। যদিও সিমন্সের দাবি, দুই দলই এই ম্যাচে সমানে সমানে লড়েছে।
ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের বাংলাদেশের প্রধান কোচ বলেন, ‘খেলা দু’দলেরই ছিল। ওরা সত্যিই দারুণ ব্যাট করেছে, আমরাও মন্দ করিনি। কিন্তু সমস্যা হয়েছে ফিল্ডিংয়ে। ক্যাচ হাতছাড়া করেছি, রান আউটের সুযোগ নষ্ট করেছি। এ রকম ভুল করলে ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে যায়।’
ম্যাচ জেতার জন্য পর্যাপ্ত রান উঠলেও ফিল্ডিংয়ের পাশাপাশি গত ম্যাচের ব্যাটিং অর্ডার নিয়েও সমালোচনা হচ্ছে। যদিও এখনই ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে নাড়াচাড়া করতে রাজি নন সিমন্স, ‘এটা (ব্যাটিং অর্ডার) নিয়ে আজ নয়, আগামীকাল ভাবব। ম্যাচ হেরেই তো উঠেছি ড্রেসিংরুমে। এখনই ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে চটজলদি মন্তব্য করা সম্ভব না।’
বড় সংগ্রহ নিয়ে সহযোগী দেশের বিপক্ষে এমন হারের পর কথা উঠছে ক্রিকেটারের মানসিকতা ও মানসিক প্রস্তুতি নিয়েও। কারণ এই সিরিজের পরই পাকিস্তান সফরে যাবে বাংলাদেশ। এ নিয়ে সিমন্সের ভাষ্য, ‘ এখানে কয়েকটি ম্যাচ খেলেই আমরা ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। পাকিস্তানে আমরা কী করতে চাই, সেটা নিশ্চিত করার চেষ্টায় আছি,’
প্রথমে দুই ম্যাচ খেলার কথা থাকলেও বিসিবি ও ইসিবির সিদ্ধান্তে অতিরিক্ত আরেকটি টি-টোয়েন্টি খেলার সূচি দেয়া হয়েছে। দুই দল সমতায় থাকায় আগামী ২১ মে অনুষ্ঠেয় তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি রূপ নিয়েছে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে।