সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতে কাছে ট্রাইব্রেকারে হেরে রানার আপ হয়েছে বাংলাদেশ। অল্পের জন্য হাত ফসকান শিরোপার আক্ষেপ নিয়েই গতকাল (মঙ্গলবার) দেশে ফিরেছেন নাজমুল হুদা-মোর্শেদ আলীরা। বিমানবন্দর থেকে পুরো দল গিয়েছে বাফুফে ভবনে। সেখানেই তাদের অভ্যর্থনা জানান বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালসহ বাকি কর্মকর্তারা।
পূর্ব ঘোষিত পুরস্কারের কোনো ঘোষণা না থাকলেওব বাফুফের ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান নাসের শাহরিয়ার জাহেদী ব্যক্তিগত উদ্যোগে রানার আপ স্কোয়াডের ২৩ সদস্যকে ৫০ হাজার টাকা করে পুরস্কার দেয়া হয়েছে। এর সাথে তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রেডিয়ান্টের পক্ষে থেকে গিফট হ্যাম্পারও দেয়া হয়েছে কোচিং স্টাফ ও ফুটবলারদের।
রানার আপ হয়েও বাফুফে থেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে অর্থ পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশের যুবারা। কিন্তু টানা দ্বিতীয়বার সাফ জেতা নারী ফুটবলাররা এখনও বুঝে পাননি বাফুফে থেকে দেড় কোটি টাকার পুরস্কার। গত ০৯ নভেম্বর বাফুফের নতুন কমিটির প্রথম সভায় এই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ছয় পাস পেরিয়ে গেলেও সেই পুরস্কার এখনও সাফজয়ী নারী ফুটবলারদের হাতে তুলে দেয়নি বাফুফে। এরপর বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির তিনটি সভা হলেও সাবিনা-মনিকাদের সেই পুরস্কার নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি।
টানা দ্বিতীয় সাফ জিতে আসার পর যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এক কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী-সহ আরও কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পুরো দলকেও আর্থিক পুরস্কার দিয়েছে। কিন্ত তাবিথ আউয়ালের ফেডারেশন এখনও তাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি পুরণ করতে পারেনি।