২০১৮ সালে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক খালেদ আহমেদের। তার অভিষেকের পর থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ খেলেছে ৪৩টি টেস্ট, যার মাত্র ১৬টিতে ছিলেন এই ডানহাতি পেসার। ঘরোয়া ক্রিকেটে সাদা বলের ম্যাচ নিয়মিত খেললেও জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন মাত্র দুটি ওয়ানডে। যদিও তার নামের পাশে ‘টেস্ট বোলার’ তকমা বসে গেছে, তবুও পর্যাপ্ত টেস্টে তিনি সুযোগ পাননি।
অবশ্য গেল কয়েক বছরে বাংলাদেশের ক্রিকেটে পেস বোলারদের যে বিপ্লব ঘটেছে, খালেদের ম্যাচ কম পাওয়ার পেছনে এর অবদানও আছে। কারণ রোটেশন করেই ফরম্যাট ভেদে খেলানো হচ্ছে মোস্তাফিজুর রহমান, শরীফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, খালেদ আহমেদ-সহ বাকি পেসারদের।
আজ (শুক্রবার) মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে দ্বিতীয় আনঅফিসিয়াল টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শেষে দলের প্রতিনিধি হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে আসেন ম্যাচে তিন উইকেট নেয়া খালেদ। সিলেটের প্রথম টেস্টে ৬ উইকেট নেয়া এই পেসার সেখানেই জানালেন, জাতীয় দল নিয়ে তার ভাবনা। হাসি মুখেই জানিয়েছেন, আরেকটা সুযোগের অপেক্ষায় আছেন তিনি।
নিজের ক্যারিয়ারের যাত্রা নিয়ে বলতে গিয়ে খালেদ বল ঠেলে দিলেন নির্বাচকদের কোর্টে। এই পেসার বলেন, ‘দেখেন, আমি সবকিছুর জন্য আলহামদুলিল্লাহ। সুযোগ আসবে, এমন না সুযোগ আসবে না। আমি কিন্তু এখানে ওয়ানডে খেলেছি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। আমি সুযোগের অপেক্ষায় আছি, সমস্যা নাই। আমি জানি আমার যে কাজ, আমি যে প্লেয়ার, আমার যে খেলা, সেটাই আমি খেলব। উপরওয়ালার ইচ্ছা, যদি সিলেক্টরদের পছন্দ হয়, তাহলে উনারা দেখবে।’
১৬ টেস্টের পাশাপাশি দুটি ওয়ানডেও খেলেছেন খালেদ। ২০২৩ বিশ্বকাপের আগে মিরপুরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তার অভিষেক। সেই সিরিজে দুই ম্যাচের পর আর ওয়ানডে দলে দেখা যায়নি তাকে। অবশ্য খালেদ নিজে বিশ্বাস করেন, সুযোগ পেলে আবারও ওয়ানডেতে ভালো করতে পারবেন তিনি। যদিও সর্বশেষ ডিপিএলে বেশ সাদামাটা পারফরম্যান্সই করেছেন তিনি। প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে ১০ ম্যাচে নিয়েছেন ৯ উইকেট।
সাদা বলের ক্রিকেটে ফেরা নিয়ে নির্বাচকদের বার্তা পেয়েছেন কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে খালেদ বলেন, ‘সেটা তো আমি জানি না। আমি যে অপরচুনিটি পাচ্ছি,‘এ’ টিমে, সাদা বলে খেলেছি, ডিপিএলে খেলেছি, বিপিএলে খেলেছি; আমার কাছে ফিল হয় আমি পারব। তো বাকিটা উনাদের ইচ্ছা।’
সংবাদ সম্মেলনে বারবারই খালেদের মুখ থেকে বেরিয়ে এসেছে ‘যদি নির্বাচকদের পছন্দ হয়’ ধরনের কথা। জৈষ্ঠ্য এক সাংবাদিক জানতে চান, নির্বাচকদের পছন্দের তালিকায় যেতে চাইলে কী কী শর্ত পূরণ করতে হবে বলে মনে করেন?
হাসি মুখের জবাবে খালেদ বলেন, ‘(নির্বাচকদের পছন্দ) আমি হেসে বলিনি, আমার চেহারাটাই এমন। আমি এটা বিশ্বাস করি, যখন আমার কপালে থাকবে আমি এমনি সুযোগ পাব। আমার কাজ হচ্ছে খেলা,ভালো জায়গায় বোলিং করছি, করতে থাকব। আর নিজেকে আনলাকি কখনো মনে হয় না, আনলাকি মনে করলে তো আর এতদিন ধরে খেলতাম না।’