ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতেছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। এর আগে ২০১৯-২০ মৌসুমে ফাইনালে উঠলেও বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে সন্তুষ্ট থাকতে হয় রানার আপ হয়ে। এবার সেই বায়ার্নের ঘরের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনাতেই ইন্টারকে হারিয়ে জিতল আরাধ্য চ্যাম্পিয়নস লিগ।
কিন্তু শিরোপা জেতার উদযাপনকালে ফ্রান্সে নিহত হয়েছেন ২ জন, আহত হয়েছে ১৯২ জন। এছাড়া পাঁচ শতাধিক পিএসজি সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ (রবিবার) এসব তথ্য জানিয়েছে ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রিটেইলউ এক্স-এ দেয়া এক পোস্টে লেখেন, ‘পিএসজির আসল ভক্তরা তাদের দলের পারফরম্যান্সটা উপভোগ করেছেন। কিন্তু একদল বর্বর প্যারিসের রাস্তায় দখল নিয়ে একের পর এক অপরাধ করেই যাচ্ছে। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীকে তাদের দমন করার জন্য বলেছি। পুলিশ অফিসারদের প্রতি আমার পুরো সমর্থন আছে, যারা আজ (শনিবার) সন্ধ্যা থেকে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছেন।
শনিবার রাতে পিএসজির হোম গ্রাউন্ড পার্ক দেস প্রিন্সেসে একটি ফ্যান জোন বানানো হয় সমর্থকদের জায়ান্ট স্ক্রিনে ফাইনাল দেখার সুযোগ করে দেয়ার জন্য। সেই ফ্যান জোনে উপস্থিত হন ৪৮ হাজার সমর্থক। শিরোপা নিশ্চিত হওয়ার পর স্টেডিয়ামের বাইরে ও প্যারিসের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয় পিএসজি সমর্থকদের আনন্দ-উল্লাস। বের হয় প্যারেড। এক পর্যায়ে সেই আনন্দ রূপ নেয় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে।
সেই প্যারেডটি আর্ক দ্য ট্রায়াম্প এলাকায় পৌঁছানোর পর সমর্থকদের বড় একটি অংশ চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির তৈরি করে। তাদের থামাতে এক পর্যায়ে জলকামান থেকে পানিও ছিটায় পুলিশ। কিন্তু তাতেও পুলিশের দেয়া ব্যারিকেড টপকে যান উগ্র সমর্থকদের একটা বড় অংশ। তখন ২৯৪ জনকে আটক করে পুলিশ। বিভিন্ন জায়গা মিলিয়ে আটককৃতের সংখ্যা পাঁচশ ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে, অ্যাসোসিয়েট প্রেস, গার্ডিয়ানের মতো বড় সংবাদমাধ্যমগুলো।
এছাড়া প্যারিসে স্টেডিয়াম সংলগ্ন বেশ কয়েকটি জায়গায় অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে। সেই আগুন নেভাতে কাজ করেছে ফ্রান্সের ফায়ার ব্রিগ্রেডের বেশ কয়েকটি ইউনিট।
অ্যাসোসিয়েট প্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, উগ্র সমর্থকদের একাংশ প্যারিসের চ্যাম্পস-ইলিসেস এভিনিউয়ের কিছু দোকানে হামলার পর লুটপাটও চালিয়েছেন। তখন দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়ার অভিযোগও এসেছে তাদের বিরুদ্ধে।