Friday 17 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আজ আর্জেন্টিনা চাপে….পর্তুগালও


২৯ জুন ২০১৮ ২৩:২৫ | আপডেট: ৩০ জুন ২০১৮ ১০:১৯

জাহিদ হাসান এমিলি

নক আউট পর্বে আর্জেন্টিনার জন্য কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে। এ বিশ্বকাপে সবচেয়ে ভারসাম্য রাখা দলগুলোর একটি ফ্রান্স। প্রতিপক্ষ হিসেবে মেসিরা পাচ্ছে উমতিতি-দেম্বেলে-পগবা-এমবাপেদের। তরুণ নির্ভর ফ্রান্স দলটা যদিও গ্রুপ সেভাবে নিজেদের নামের বিচার করতে পারেনি। আলো ছড়াতে পারে নি সেই অর্থে। আর্জেন্টিনা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে বিশ্বকাপে এসে শেষ ম্যাচে নাইজেরিয়াকে সঙ্গে শ্বাসরুদ্ধকর জয়ে নক আউটে পা রেখেছে। তাই আলবেসিলেস্তেদের জন্যও ম্যাচ কঠিন হবে ভালো।

বিজ্ঞাপন

বলা যায় শেষ ষোলর সবচেয়ে হাইভোল্টেজ শো হতে যাচ্ছে ম্যাচটি। একদিকে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থাকা তরুণ ও গতি নির্ভর ফ্রান্স। অন্যদিকে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়া অভিজ্ঞ ও তরুণ মিশেলে আর্জেন্টিনা। ম্যাচটা দুই দলের জন্যে কঠিন হবে। মুখিয়ে আছি ম্যাচটা দেখার জন্য।

বিশ্বকাপে মোট দুবার দেখা হয়েছে এই দুই দলের। একবার ১৯৩০ সালে। আরেকবার ১৯৭৮ সালে। প্রথমবার আর্জেন্টিনা হেরেছে ফ্রান্স দলের কাছে এক গোলে। আর ৭৮‘এর বিশ্বকাপে ২-১ গোলে জিতেছিল আর্জেন্টিনা। এ দু’দল মুখোমুখি হয়েছে মাত্র ১১ বার। ফ্রান্স জিতেছে দুইবার, ড্র হয়েছে তিনবার ও আর্জেন্টিনা জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ৬ বার। এদিক থেকেও হয়তো আত্মবিশ্বাস পেতে পারে মেসিরা। সবশেষ বিশ্বকাপ জয়ের বাজি তাদের ঘরে।

আর দলের স্ট্র্যাটেজিতে দেখা গেছে, এ ম্যাচকে ঘিরে সম্ভাব্য সকল দিকই চিন্তা করছে দুই দল। যেমন আর্জেন্টিনা আজকে একটা খবরে দেখলাম পেনাল্টির অনুশীলন করানো হচ্ছে দুই গোল রক্ষককে। আর্মানি আর ক্যাবেলারো দুইজনই ব্যস্ত পেনাল্টি নিয়ে। এদিক থেকে ভাবলে বলা যায়, আর্জেন্টিনা হয়তো ড্রয়ের কথাও মাথায় রেখে প্রস্তুতি সেড়ে নিচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

আর আলবিসেলেস্তেদের স্কোয়াড লিক হয়েছে বলে গুঞ্জন ছড়াচ্ছে। সেই স্কোয়াডে লিওনেল মেসিকে ফল্স নাইনে খেলানোর চিন্তা করছে কোচ হোর্হে সাম্পাওলি। নাইজেরিয়ার বিপক্ষে যে দল নেমেছে তাতে আগুয়েরো ছাড়া সবাই আছে এই স্কোয়াডে। আর আগুয়েরোর জায়গা প্রথম একাদশে প্যাভন খেলবে বলে স্কোয়াডে দেখা যাচ্ছে।

আর্জেন্টিনাকে আটকানোর জন্য সকল প্রস্তুতিও সেড়ে নিতে চাইবে ফ্রান্সও। একদিক থেকে এগিয়ে থাকবে ফ্রান্স তা বলাই বাহুল্য। মেসির বার্সার সতীর্থ উমতিতি ও দেম্বেলে এই দলের ভরসা। উমতিতিও ঠিক ভালো করেই চেনে মেসিকে। একসঙ্গেই অনুশীলন করে তারা। সে হিসেবে মেসিকে আটকানো সকল জাল আঁটার চেষ্টা করবে ফ্রান্সও। তবে মেসি এমন খেলোয়াড় যে প্রতিবারই পরীক্ষায় থেকে রেজাল্ট বের করে নিয়ে আসার যোগ্যতা রাখে।

তাই এ ম্যাচটা স্বাভাবিকভাবেই মনে হচ্ছে নক আউট পর্বের সবচেয়ে হাইভোল্টেজ ম্যাচ হতে চলেছে। এদিকে উরুগুয়ে আর পর্তুগালের ম্যাচটি নি:সন্দেহে একটি হাইভোল্টেজ ম্যাচ হবে।

দুই দলই মোটামুটি দারুণ দুটি দল। দুই দলে বড় তারকারা আছে। রোনালদোর জন্য ম্যাচটা সহজ হবে না। রোনালদোর পারফর্মেন্স এই ম্যাচে খুব দরকার হবে। প্রতিবারই কারিজমা এসে চমক দেখাতে পারবেন না। পর্তুগাল দল হিসেবে রোনালদো কেন্দ্রীক হচ্ছে। তাই চাপটা সিআরসেভেনের উপরেই থাকবে মনে হচ্ছে।

এদিকে উরুগুয়েও কিন্তু বিশ্বমানের দু’জন ফিনিশার আছে। লুইস সুয়ারেজ ও এডিসন কাভানি। তারা দু’জনই সবশেষ ম্যাচে গোল পেয়েছে। দু’জনই আত্মবিশ্বাস পেয়েছে। তাছাড়া গডিনের মতো ডিফেন্ডার আছে এই দলে। কঠিন হবে পর্তুগালের জন্যও। উরুগুয়েকেই এগিয়ে রাখবো আমি।

তবে, এই দুই ম্যাচের উপর নজর থাকবে পুরো বিশ্বের। কারণ একদিকে মেসি আর আরেকদিকে রোনালদোরা জিতলে কোয়ার্টার ফাইনালে এ যুগের সেরা দুই খেলোয়াড়কে বিশ্বকাপে লড়াইয়ে নামতে দেখা যাবে। সেই প্রত্যাশা বহুদিনের।

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক

 

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর