শ্রীলংকার বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে ২৪৮ রান তুলেছে বাংলাদেশ। আগে বাটিং করতে নেমে আগের ম্যাচে দারুণ এক ইনিংস খেলা তানজিদ হাসান তামিম ফিরেছেন শুরুতেই। মাঝের ওভারগুলোতেও নিয়মিত উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে আড়াইশর আগে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ।
অবশ্য এই রানকে কম বলার সুযোগও নেই। কারণ সিরিজের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকাকে ২৪৪ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। পরে ৭৭ রানে ম্যাচ হারে সফরকারীরা।
শনিবার (৫ জুলাই) কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং শুরু করতে নামা বাংলাদেশ শুরুতেই উইকেট হারিয়েছে। আগের ম্যাচে দারুণ একটা ইনিংস খেলা তরুণ ওপেনার তামিম আজ ১১ বলে ৭ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন।
তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্তও সুবিধা করতে পারেননি। ১৯ বলে ২টি চারে ১৪ রান করে ফিরেছেন। তবে আরেক তরুণ ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন আজ দারুণ একটা ইনিংস খেলেছেন। পারভেজ হোসেন ইমন ও তাওহিদ হৃদয় মিলে বাংলাদেশকে বেশ ভালোই টানছিলেন।
তবে পারভেজ ইমন ও অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ পরপর ফিরলে চাপে পরে বাংলাদেশ। ওয়েনিন্দু হাসারাঙ্গার গুগলিতে পরাস্ত হয়ে সরাসরি বোল্ড হওয়ার আগে ৬৯ বলে ৬৭ রান করেছেন ইমন। তরুণ ওপেনারের ইনিংসে চার ৬টি, ছক্কা ৩টি। অধিনায়ক মিরাজ চামিরার বলে সীমানায় ধরা পরেছেন ১০ বলে ৯ রান করে।
এরপর শামীম পাটোয়ারী ও জাকের আলী অনিককে নিয়ে ছোট ছোট দুটি জুটি গড়েছেন তাওহিদ হৃদয়। লিটন দাসের জায়গায় সুযোগ পাওয়া শামীম সেট হয়ে ফিরেছেন ২৩ বলে ২২ রান করে। নিয়মিত উইকেট পরার কারণে জাকের আলী অনিক ক্রিজে পরে থাকতে চেয়েছেন। আসিথা ফার্নান্দোর বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে ফিরেছেন ৪০ বলে ২৪ রান করে।
এরপর দারুণ খেলতে থাকা তাওহিদ হৃদয় পেসার হাসান মাহমুদের ভুল কলে রান আউট হয়েছেন। ৬৯ বলে মাত্র ২টি চারের সাহায্যে ৫১ রান করে ফিরেছেন হৃদয়। নবম ব্যাটার হিসেবে হাসান মাহমুদ যখন ফিরলেন বাংলাদেশ তখন ২১৮। সেখান থেকে আড়াইশর কাছাকাছি নিয়ে গেছেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব।
শেষ ব্যাটার মোস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে দশম উইকেট জুটিতে ৩০ রান তুলেছেন সাকিব। তার মধ্যে সাকিব একাই করেছেন ২৯ রান। ২১ বলে ৩৩ রান করার পথে ২টি করে চার-ছয় মেরেছেন তানজিদ সাকিব। বাংলাদেশ ৪৫.৫ ওভারে গুটিয়ে গেছে ২৪৮ রানে।
শ্রীলংকার হয়ে আসিথা ফের্নান্দো ৪ উইকেট ও হাসারাঙ্গা ৩ উইকেট নিয়েছেন।