সিরিজ নির্ধারনি ম্যাচে আগে বোলিং করতে নেমে শুরুতেই উইকেট পেয়েছিল বাংলাদেশ। একশও আগে বাংলাদেশ তুলে নিয়েছিল আরও দুই উইকেট। তবে এরপর শক্ত একটা জুটি গড়ে শ্রীলংকা। তাতে লংকানরা আড়াইশ পেরিয়ে গেছে অবশ্য তবে শেষ দিকে দ্রুত কয়েকটা উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশ স্বাগতিকদের লাগাম টেনে ধরেছে ভালোভাবেই।
শেষ দিকে মাত্র ১০ রানের শ্রীলংকার ৩ উইকেট তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। তাতে শেষ দিকে ঝড় তোলার ইচ্ছা পূরণ হয়নি শ্রীলংকার।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) পাল্লেকেলেতে সিরিজ নির্ধারনী ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-শ্রীলংকা। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি জিতেছে শ্রীলংকা, দ্বিতীয়টি বাংলাদেশ। অর্থাৎ আজ সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটি যারা জিতবে সিরিজ তাদের।
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলংকা। বোলিংয়ে নেমে শুরুতেই উইকেট পেয়েছে বাংলাদেশ। তানজিম হাসান সাকিবের দারুণ এক ইনসুইং বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন নিশান মাদুষ্কা।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে শক্ত একটা জুটি গড়েন লংকান দুই টপ অর্ডার ব্যাটার কুশল মেন্ডিস ও পাথুম নিশাঙ্কা। সেই জুটিটা ভেঙেছেন তরুণ স্পিনার তানভীর ইসলাম। রানের তোলার গতি দ্রুত করতে গিয়ে তানভীরকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়েছিলেন নিশাঙ্কা। কিন্তু টপ এ্যাজ হয়ে বল চলে যায় পারভেজ হোসেন ইমনের হাতে। ৪৭ বলে ৪টি চারে ৩৫ রান করে ফিরেছেন নিশাঙ্কা।
এরপর কামিন্ডু মেন্ডিসকে নিয়ে এগুচ্ছিলেন কুশল মেন্ডিস। কিন্তু কামিন্ডুকে বেশিদূর এগুতে দেননি মেহেদি হাসান মিরাজ। ৩ চারে ১৬ রান করা কামিন্ডুকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন মিরাজ। এরপর কুশল মেন্ডিসকে নিয়ে দারুণ একটা জুটি গড়েন অধিনায়ক চারিথ আশালাঙ্কা।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১১৭ কলে ১২৪ রান তোলেন দুজন। এই দুজন যেভাবে খেলছিলেন মনে হচ্ছিল তিনশ বুঝি ছাড়িয়েই যাবে শ্রীলংকা। কারণ হাতে উইকেট ছিল পর্যাপ্ত আবার সেট ব্যাটারও ক্রিজে। যা শেষ ১০ ওভারে ঝড় তোলার জন্য উপযুক্ত পরিস্থিতি। কিন্তু শেষ দশ ওভারে টপাটপ উইকেট তুলে নিয়ে লংকানদের লাগাম টেনে ধরেন বাংলাদেশি ব্যাটাররা।
দলীয় ২২৪ রানের মাথায় ৬৮ বলে ৫৮ রান করা চারিথ আশালাঙ্কাকে ফেরান তাসকিন আহমেদ। দলীয় ২৪৯ রানের মাথায় মেহেদি হাসান মিরাজের ওভারে হিট উইকেট হন জানিথ লিয়ানগে। সেই থেকে মাত্র ১০ রানের ব্যবধানে সেঞ্চুরিয়ার কুশল মেন্ডিস ও ওয়েলাগেকেও ফিরিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। কুশল মেন্ডিস ১১৪ বলে ১৮টি চারের সাহায্যে ১২৪ রান করেছেন।