দীর্ঘ দিন যাবত জাতীয় দলের বাহিরে সাকিব আল হাসান। তবে তাকে নিয়ে আলোচনা থেমে নেই। বাংলাদেশ দল নতুন কোনো সিরিজ বা টুর্নামেন্ট খেলতে গেলেই আলোচনায় সাকিবের নাম। সাকিবের দীর্ঘদিন যাবত জাতীয় দলের বাহিরে থাকার কারণ ক্রিকেটীয় যতটা তার চেয়ে বেশি অ-ক্রিকেটীয়। গত শনিবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু বলেছিলেন, সাকিবের জন্য সব সময় জাতীয় দলের দরজা খোলা। আজ বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বললেন, সাকিবের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
৩৮ বছর বয়সী সাকিব জাতীয় দলের হয়ে সর্বশেষ খেলেছেন গত অক্টোবরে, ভারতের বিপক্ষে কানপুর টেস্টে। তারপর বাংলাদেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট খেলে এই ফরম্যাট থেকে অবসরের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। সাকিবের সেই ইচ্ছা পুরণ হয়নি।
সাকিব ইতোমধ্যে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়ে নিয়েছেন। গত ফেব্রুয়ারি-মার্চে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলে ওয়ানডে দল থেকেও অবসর নিতে চান এমনটি বলেছিলেন। সে হিসেবে কার্যত ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে সাকিব এখনো অবসর নেননি। এই ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ক্রিকেট লিগ খেলছেন সাকিব।
এদিকে, বাংলাদেশ দল অনেকদিন যাবতই মাঠের ক্রিকেটে ভুগছে। চলতি শ্রীলংকা সিরিজেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। দলে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের অভাব নজরে পরছে ভালোভাবেই। যাতে সাকিবকে দলে ফেরানোর কথা উঠছে বারবার।
বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের কাছে উঠেছিল আজ। জবাবে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘সাকিব তো এভেইলেবল ক্রিকেটার। এখনও বাংলাদেশ দল থেকে সব সংস্করণে অবসর নেয়নি। তার সঙ্গে কথা বলব। তার সঙ্গে কথা বলার পর আমরা সিদ্ধান্ত নেব। এর আগেও আমি বহুবার বলেছি, এটা পুরোপুরি নির্ভর করছে বাংলাদেশ দলের নির্বাচকদের ওপর।’
সাকিবের সঙ্গে এর আগে কথা হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নে আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমার সঙ্গে বেশ কিছু দিন ধরে যোগাযোগ হয়নি। (বিসিবি সভাপতির) দায়িত্ব নেওয়ার পর হয়নি।’