শ্রীলংকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ নির্ধারিণী ম্যাচে বাংলাদেশের বোলিংটা হলো দুর্দান্ত। শুরুতে শেখ মাহেদি দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। মোস্তাফিজুর রহমান, রিশাদ হোসেনরা তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন। যাতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো শ্রীলংকা ১৩২ রানের বেশি তুলতে পারেনি।
তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতেছে শ্রীলংকা, দ্বিতীয়টি বাংলাদেশ। আর্থাৎ আজ তৃতীয় ম্যাচটা জিতবে যে দল সিরিজ তাদের। এমন ম্যাচে লংকানদের ১৩২ রানে আটকে রাখতে পারাটা বাংলাদেশের জন্য দারুণ বটে। আধুনিক টি-টোয়েন্টিতে এই রান পেরুনো খুব কঠিন সমীকরণ নয়।
বুধবার (১৬ জুলাই) কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে প্রথম ওভাবে প্রথম ধাক্কাটা দিয়েছেন শরিফুল ইসলাম। ফর্মে থাকা কুশল মেন্ডিসকে সীমানায় ক্যাচ বানান শরিফুল ইসলাম। দ্বিতীয় ওভারে আক্রমণে ডাকা হয় শেখ মাহেদিকে। আক্রমণে এসে নিজের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে কুশল পেরেরাকে ফেরান মাহেদি।
মাহেদির দারুণ টার্ন বল বুঝতে না পেরে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছেন পেরেরা। নিজের পরের ওভারে দিনেশ চান্ডিমালকে ফেরান মাহেদি। মাহেদির বলে বিগ শট গেলে বল আকাশে তুলে দেন অনেকদিন পর টি-টোয়েন্টি দলে সুযোগ পাওয়া চান্ডিমাল। ইনিংসের অষ্টম ওভারে অধিনায়ক চারিথ আশালাঙ্কাকে রীতিমতো বোকা বানিয়ে বোল্ড করেছেন মাহেদি। মাহেদির দারুণ টার্ন বল বুঝতেই পারেননি আশালাঙ্কা। ৪৯ রানে চতুর্থ উইকেট হারিয়ে ফেলে শ্রীলংকা।
এরপর বাংলাদেশের সামনে সবচেয়ে বড় কাটা হয়ে থাকা পাথুম নিশাঙ্কাকেও ফিরিয়েছেন শেখ মাহেদি। নিজের শেষ ওভারে কট অ্যান্ড বোল্ড করে নিশাঙ্কাকে ফেরান মাহেদি। নিশাঙ্কা শ্রীলংকার পক্ষে ৩৯ বলে ৪টি চারে ৪৬ রান করেছেন।
এরপর কামিন্ডু মেন্ডিস ও দাশুন শানাকা মিলে শ্রীলংকাকে একশ ত্রিশের ওপারে নিয়েছেন। শরিফুল ইসলামের করা ইনিংসের শেষ ওভার থেকেই ২২ রান তোলা শানাকা শেষ পর্যন্ত ২৫ বলে ৪টি চার ২টি ছক্কায় ৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। এর আগে এক চার এক ছয়ে ১৫ বলে ২১ রান করে আউট হন কামিন্ডু মেন্ডিস।
বাংলাদেশের হয়ে শেখ মাহেদি ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান খরচায় নিয়েছেন ৪ উইকেট। মাহেদি একটা মেডেন ওভারও করেছেন। মোস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভারে ১৭ রান খরচায় নিয়েছেন ১ উইকেট। শামীম পাটোয়ারী ২ ওভারে ১০ রান খরচায় ১টি ও শরিফুল ৪ ওভারে ৫০ রান খরচায় নিয়েছেন ১ উইকেট।