পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে দাপুটে বোলিং করেছে বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমানদের দাপটে পাকিস্তানকে ১১০ রানেই গুটিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।
পাওয়ার প্লেতে রান খরচ করলেও কার্যকারী উইকেট এনে দিয়েছেন তাসকিন আহমেদ, শেখ মাহেদী। মাঝের ওভারগুলোতে পাকদের রীতিমতো নাচিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। পাকিস্তানের তিন তিনজন ব্যাটার রান আউটও হয়েছেন। সব মিলিয়ে পাকিস্তানকে অল্পতেই আটকে রাখল বাংলাদেশ।
রোববার (২০ জুলাই) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। সিদ্ধান্তটা যে দুর্দান্ত কার্যকারী ছিল সেটা প্রমাণ হতে বেশি সময় লাগেনি। শুরুর দিকে একটু খরুচে হলেও দ্বিতীয় ওভারেই বাংলাদেশকে উইকেট এনে দেন তাসকিন আহমেদ।
৪ বলে ৬ রান করা সায়েম আইয়ূবকে ফেরান তাসকিন। পরের ওভারে মোহাম্মদ হারিসকে ফেরান শেখ মাহেদি। সেখানেই ধাক্কা খায় পাকিস্তান। খানিক বাদে মাত্র ৬ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে পাকিস্তানের ইনিংসের কোমড় ভেঙে দেয় বাংলাদেশ।
তানজিম হাসান সাকিব ফেরান অধিনায়ক সালমান আলী আগাকে। মোস্তাফিজুর রহমান ফেরান হাসান নাওয়াজকে। ৩ রান করা মোহাম্মদ নাওয়াজ রান আউট হলে ৪৬ রানের মাথায় পঞ্চম উইকেট হারায় পাকিস্তান। এরপর আর সফরকারীদের কোমড় সোজা করে দাঁড়াতে দেয়নি বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ।
ওপেনার ফখর জামান অনেকক্ষণ ক্রিজে ছিলেন। শেষ দিকে খুশদিল শাহ ও পেসার আব্বাস আফ্রিদি বলার মতো দুটা ইনিংস খেলেছেন। পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত একশ পেরুতে পেরেছে এই কারণেই। ওপেনার ফখর জামান রান আউট হওয়ার আগে ৩৪ বলে ৬টি চার ১টি ছয়ে ৪৪ রান করেছেন। খুশদিল শাহ ২৩ বলে ১৭ রান করে ফিরেছেন। আর আব্বাস আফ্রিদি ২৪ বলে ২২ রান করার পথে ছক্কা হাঁকিয়েছেন ৩টি। ১৯.৩ ওভারে ১১০ রানে গুটিয়ে গেছে পাকিস্তান।
বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন আহমেদ ৩.৩ ওভার বোলিং করে ২২ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছেন। মোস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভারে ২ উইকেট নেওয়ার পথে খরচ করেছেন মাত্র ৪ রান। শেখ মাহেদি ও তানজিম হাসান সাকিব একটি করে উইকেট নিয়েছেন।