ঘরোয়া ক্রিকেটে অনেকদিন যাবতই নিয়মিত পারফর্ম করে যাচ্ছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার নুরুল হাসান সোহান। বিপিএল, ডিপিএলের মতো টুর্নামেন্টগুলোতে ম্যাচ জেতানো পারফর্ম করছেন। ‘এ’ দলের হয়ে বিভিন্ন সিরিজে নিয়মিত পারফর্মার তিনি। সোহানের উইকেটকিপিং এবং নেতৃত্বও প্রসংশিত। সম্প্রতি তার নেতৃত্বে গ্লোবাল সুপার লিগের ফাইনাল খেলেছে রংপুর রাইডার্স। গত আসরে রংপুরকে চ্যাম্পিয়নই করেছিলেন সোহান। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্ম করলেও অনেকদিন হলো জাতীয় দল থেকে ডাক আসছে না সোহানের।
জাতীয় দলের হয়ে সোহান সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে। মিরপুরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছেন সে বছরের সেপ্টম্বরে। আর সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন আরও আগে। ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, পাকিস্তানের বিপক্ষে।
তবে পারফর্ম করেও সোহানের জাতীয় দলে ডাক না পাওয়ার বড় কারণ দলে প্রতিদ্বন্দ্বীতা। জাতীয় দলে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে এই মুহূর্তে লিটন দাস ও জাকের আলী অনিক খেলছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার হিসেবে। টেস্ট দলে তাদের সঙ্গে যোগ দেন মুশফিকুর রহিমও। সবাই ভালো পারফর্মও করছেন। লিটন তো টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কই। ফলে অন্য একজন উইকেটরক্ষক ব্যাটারকে এই মুহূর্তে দলে নেওয়া কঠিন। তাছাড়া সোহান যেমন মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করেন তেমনি মুশফিক ও জাকের আলি মিডল অর্ডারেই ব্যাট করেন। লিটন দাস ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টিতে টপ অর্ডারে ব্যাটিং করলেও টেস্টে তিনিও সেই মিডল অর্ডারেই ব্যাটিং করেন।
সোহানও নিশ্চয় জানেন এসব সমীকরণ। ফলে জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার বিষয় নিয়ে অতো বেশি মন খারাপ নেই তার। বলেছেন, তার কাজ শুরু পারফর্ম করে যাওয়া। সুযোগ পেলে সেটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করবেন।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোহান গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমার কাজ একটা জায়গা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। সেটা হলো শুধু ক্রিকেট খেলা। আমি নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। হয়ত কোনো সময় ভালো করব, কোনো সময় ব্যর্থ হব। সফলতা-ব্যর্থতা তো জীবনেরই অংশ। জাতীয় দলে জায়গা পাওয়া বা না পাওয়া আমার হাতে কিছু নাই। আমি এসব নিয়ে চিন্তাও করতে চাই না। অবশ্যই যেখানে সুযোগ পাব, নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।’
‘আমি যেটা চাইব সবসময়ই সেটা হবে এমন কিছু নয়। টিম ম্যানেজমেন্টের যদি মনে হয়, সেটা তাদের ব্যাপার। আমার দিক থেকে, আমি যখনই সুযোগ পাব, নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।’- যোগ করেছেন সোহান।
ঘরোয়া ক্রিকেটে সোহান বারবারই দারুণ অধিনায়ক। অধিনায়কত্ব নিয়ে বলেছেন, ‘অধিনায়কত্ব অবশ্যই একটা চ্যালেঞ্জের জায়গা। সতীর্থদের সহায়তা থাকলে অধিনায়কের জন্য কাজটা সহজ হয়ে যায়। ভালো দল পেলে অধিনায়কের খুব বেশি কিছু করার থাকে না। কারণ ক্রিকেট একটা দলীয় খেলা। সবাই দল হিসেবে খেলার চিন্তা করলে অধিনায়কও সাপোর্ট পায়।’