Thursday 16 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

উরুগুয়েকে হারিয়ে শেষ চারে ফ্রান্স


৬ জুলাই ২০১৮ ১৯:৫৯ | আপডেট: ৭ জুলাই ২০১৮ ১২:৪৩

।। স্পোর্টস ডেস্ক।।

কাগজে কলমে এই বিশ্বকাপের সবচেয়ে শক্তিশালী দল তারা। সেই শক্তির প্রমাণ আরও একবার দিয়েছে ফ্রান্স, উরুগুয়েকে ২-০ গোলে হারিয়ে ষষ্ঠ বারের মতো চলে গেছে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। ফ্রান্সের হয়ে গোল করেছেন রাফায়েল ভারানে ও আঁতোয়া গ্রিজমান। শেষ চারে ফ্রান্সের প্রতিপক্ষ বেলজিয়াম।

মূলত গোলরক্ষক দুজনেই ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন। ফ্রান্সের গোলরক্ষক উগো লরিস যখন দুর্দান্ত সেভে ম্যাচে রেখেছেন দলকে, তখন উরুগুয়ের ফার্নান্দো মুসলেরার স্কুলবালকের মতো ভুলে গোল খেয়েছে উরুগুয়ে। এডিনসন কাভানির অভাবটাও ভালোমতো টের পেয়েছে উরুগুয়ে, পুরো ম্যাচে বলতে গেলে সেভাবে কোনো সুযোগই পায়নি সুয়ারেজরা।

১৫ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপে পেয়ে যান ম্যাচের প্রথম বড় সুযোগ। অলিভিয়ের জিরুর হেডটা বক্সে পেয়ে গিয়েছিলেন ফাঁকায়। কিন্তু অনেক সময় থাকার পরও সেটি পোস্টে রাখতে পারেননি। এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ হারায় ফ্রান্স।

৩৫ মিনিটে উরুগুয়ে পেয়ে যায় ভালো একটা সুযোগ। মাতিয়াস ভেসিনোর বক্সের ভেতর থেকে নেওয়া ডান পায়ের দুর্বল শট সরাসরি চলে যায় ফ্রান্স গোলরক্ষক উগো লরিসের হাতে।

৩৮ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন উরুগুয়ের রদ্রিগো বেন্টাকার। টুর্নামেন্টে এটি তাঁর দ্বিতীয় হলুদ কার্ড, যার মানে সেমিফাইনালে দল উঠতে খেলতে পারবেন না।

৪০ মিনিটে গোলের দেখা পেয়ে যায় ফ্রান্স। আঁতোয়া গ্রিজমানের ফ্রিকিক থেকে দারুণ এক হেডে বল জালে জড়িয়ে দেন রাফায়েল ভারান। ফ্রান্স এগিয়ে যায় ১-০ গোলে।

৪৩ মিনিটে সমতা ফেরানোর সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে যায় উরুগুয়ে। এবারও ফ্রিকিক থেকে মার্টিন কাসেরেসের হেড জালে ঢুকেই যাচ্ছিল। কিন্তু লরিস প্রায় উড়ে ডান হাতের অবিশ্বাস্য এক সেভে ফিরিয়ে দেন। ফিরতি বল থেকেও গোল করতে পারতেন গডিন, কিন্তু তাঁর শট চলে যায় পোস্টের ওপর দিয়ে। প্রথমার্ধটা শেষ হয়েছে ফ্রান্স ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই।

বিজ্ঞাপন

বিরতির পর ৫৫ মিনিটে বক্সের ভেতর বল পেয়েছিলেন বেন্টাকার। কিন্তু তাঁর বাঁ পায়ের শট চলে গেছে বেশ বাইরে দিয়ে।

কিন্তু ৬১ মিনিটে গ্রিজমান আবার এগিয়ে দেন ফ্রান্সকে। বস্কের একটু বাইরে থেকে বাঁ পায়ে দুর্বল একটা শট নিয়েছিলেন। কিন্তু বলটা হাতে ধরেও কীভাবে যেন সেটা রাখতে পারেননি মুসলেরা, বল তাঁর হাত ফসকে চলে গেছে জালে।

৬৮ মিনিটে বেশ উত্তেজনা ছড়ায় ম্যাচে। এমবাপে বক্সের ভেতর পড়ে গেলে সেটা নিয়ে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে মাঠে। শেষ পর্যন্ত হলুদ কার্ড দেখতে হয়েছে এমবাপে ও রদ্রিগেজকে। ৭৩ মিনিটে ফ্রান্সের তোলিসো পেয়েছিলেন ভালো একটা সুযোগ, কিন্তু তাঁর শট পোস্টে রাখতে পারেননি। খানিক পরেই অবশ্য এনজোনজি জায়গা নিয়েছেন তাঁর।

উরুগুয়ে এরপর ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু সেভাবে চাপ দিতে পারেনি। বরং ৮৮ মিনিটে গ্রিজমানের ফ্রিকিক একটুর জন্য চলে গেছে পোস্টের ওপর দিয়ে।

ম্যাচে নামার আগে উরুগুয়ের জন্য বড় ধাক্কা ইনজুরির কারণে নেই দলের সেরা স্ট্রাইকার এডিনসন কাভানি। পর্তুগালের বিপক্ষে শেষ ষোলোতে জোড়া গোল করার পর হ্যামস্ট্রিং সমস্যায় মাঠ ছেড়েছিলেন কাভানি। তার জায়গায় দলে সুযোগ পেয়েছেন ক্রিশ্চিয়ান স্টুয়ানি। লুইস সুয়ারেজের সঙ্গে জুটি বাধেন তিনি। উরুগুয়ে বলতে গেলে নিরেট রক্ষণ নিয়েই এ পর্যন্ত এসেছে। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচেই জমাট ছিল রক্ষণ, তবে সবচেয়ে বড় পরীক্ষা দিতে হয়েছে পর্তুগালের বিপক্ষে। ওই ম্যাচে একটি গোল হজম করলেও পুরো ম্যাচে রোনালদোকে গোলে তেমন কোনো শট করারই সুযোগ দেননি উরুগুইয়ানরা। বলতে গেলে বোতলবন্দিই করে রেখেছিল প্রতিপক্ষের স্ট্রাইকারদের।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে, দারুণ ছন্দ ধরে শেষ আটে উঠে ফ্রান্স। দুটি হলুদ কার্ড দেখায় এই ম্যাচে নামতে পারেননি ব্লেইসেস মাতুইদি। তার জায়গায় এসেছেন তোলিসো। শুরুর একাদশে নামেন অ্যান্তোনিও গ্রিজম্যান, বেঞ্জামিন পাভার্ড, রাফায়েল ভারানে, স্যামুয়েল উমতিতি, পল পগবা, কাইলিয়ান এমবাপে, অলিভার জিরুদ, এনগোলা কান্তে আর লুকাস হার্নান্দেজের মতো তারকারা। এর আগে বিশ্বকাপে দুই দলের যে তিন বার দেখা হয়েছে, এর মধ্যে দুই বার ড্র হয়েছে। আর একবার জিতেছিল উরুগুয়ে।

সারাবাংলা/এএম/ এমআরপি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর