বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) দীর্ঘদিন ধরেই সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিয়ে গুঞ্জন ছিল। এবার সেই গুঞ্জনকে সত্যি করে আনুষ্ঠানিকভাবে বিসিবির আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিলেন দেশসেরা এই ওপেনার। প্রথম ধাপে তিনি বোর্ড পরিচালক পদে লড়তে চান, ভবিষ্যতে লক্ষ্য রাখছেন সভাপতির পদেও।
এক জাতীয় দৈনিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তামিম বলেন, ‘কেউ আগেভাগে বলতে পারে না যে তিনি সভাপতি হবেন। আমি নিজেও অনেক কিছু দেখি ও শুনি। কিন্তু মূল প্রশ্ন হলো আমি বিসিবি নির্বাচনে অংশ নেব কি না। যদি ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) কথা বলি, সেখানে সরাসরি সভাপতি পদে ভোট হয়। কিন্তু বিসিবি আলাদা। এখানে প্রথমে পরিচালক হতে হয়।’
গঠনতন্ত্র ও প্রক্রিয়া মেনে পরিচালক হওয়ার পর সভাপতি পদের দিকে নজর রয়েছে তামিমের, ‘যদি দু’জন সভাপতি প্রার্থী হন, তবে পরিচালকরা ভোট দিয়ে সভাপতি বেছে নেন। তাই যদি প্রশ্ন করেন নির্বাচনে অংশ নেব কি না, আমার বলার মতো যথেষ্ট কারণ আছে। এবার আমি পরিচালক পদে নির্বাচন করছি। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য কিছু করতে চাইলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসনে বসতে হবে। আমার বিশ্বাস– যদি আমি বোর্ডে আসি তবে আমার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকতে হবে। এখনই বলা বোকামি হবে যে আমি সভাপতি হতে চাই। যদি দেখি পর্যাপ্ত সমর্থন আছে, তখন বিবেচনা করব।’
বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পরিচালক পদে নির্বাচন করেই পরবর্তী ধাপে সভাপতির পদের জন্য লড়াই করার সুযোগ থাকে। বিসিবির ২৫ সদস্যের বোর্ডে তিনটি ক্যাটাগরি থেকে পরিচালক নির্বাচিত হন: ঢাকাভিত্তিক ক্লাব, আঞ্চলিক ও জেলা অ্যাসোসিয়েশন, এবং অন্যান্য প্রতিনিধি কোটা। এরপর এই পরিচালকদের ভোটেই সভাপতি নির্বাচিত হন।
বিসিবিতে আসার প্রস্তুতি অনেক আগেই শুরু করেছেন তামিম। রাজধানীর দুটি ক্লাবে বিনিয়োগ করেছেন তিনি, যেখান থেকে কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
তামিম বলেন, ‘সবাই বলে ক্রিকেটে রাজনীতি থাকা উচিত নয়। কিন্তু বাস্তবে যা হচ্ছে তা হলো—পারস্পরিক আক্রমণ, গুজব, বিভেদ। অথচ আলোচনার মূল বিষয় হওয়া উচিত, কে আসলে দেশের ক্রিকেটের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত।’
উল্লেখ্য, বিসিবির সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ২০২১ সালের ৬ অক্টোবর। সে অনুযায়ী আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যে নতুন নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। নির্বাচনের কমপক্ষে ৩০ দিন আগে বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্বাচনী নোটিশ দিতে হয়, যার পর নির্বাচনী কমিশন ভোটার তালিকা, সময়সূচি ও প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবে।