ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল)-এর সর্বশেষ আসরে একটি বিতর্কিত স্ট্যাম্পিং আউট থেকে শুরু হওয়া আলোচনার শেষ প্রান্তে এসে এবার বড় শাস্তির মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন অভিযুক্ত মিনহাজুল আবেদীন সাব্বির।
শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের এই ব্যাটার ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে—এমনটাই জানিয়েছে বিসিবির অ্যান্টি-করাপশন ইউনিট (এসিইউ)। তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সাব্বির সন্দেহভাজন এক বুকির সঙ্গে যোগাযোগ রাখলেও তা বিসিবিকে রিপোর্ট করেননি, যা বোর্ডের অ্যান্টি-করাপশন কোডের একাধিক ধারা লঙ্ঘনের শামিল।
এর ফলে এসিইউ মিনহাজুল সাব্বিরের বিরুদ্ধে কমপক্ষে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা আরোপের সুপারিশ করেছে।
বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিল ডিপিএলের গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ও শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের মধ্যকার ম্যাচে। ম্যাচ জয়ের জন্য মাত্র ৬ রান প্রয়োজন ছিল শাইনপুকুরের। তখন মিনহাজুল সাব্বিরের অস্বাভাবিকভাবে স্ট্যাম্পিং হওয়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিস্তর সমালোচনা শুরু হয়।
টিভি ফুটেজে দেখা যায়—উইকেটরক্ষক স্টাম্প ভাঙার আগেই ব্যাট লাইনে নিয়ে গিয়ে আবার বের করে নেন সাব্বির, যা দেখে অনেকেই এর পেছনে ইচ্ছাকৃত ফিক্সিংয়ের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বিসিবিও বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখে তদন্তের ঘোষণা দেয়।
তদন্ত শেষে এসিইউর রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে—সাব্বির শুধু ম্যাচে সন্দেহজনক আচরণই করেননি, বরং দুর্নীতিতে জড়িত ছিলেন এবং তিনি তা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানাননি।
বিসিবির পক্ষ থেকে শুরু থেকেই বলা হয়ে আসছে, ক্রিকেটে নৈতিকতা ও স্বচ্ছতার ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি মেনে চলে বোর্ড। এই ধরনের ঘটনা শুধু খেলাকে কলুষিত করে না বরং পুরো ক্রিকেট সংস্কৃতির জন্যই হুমকি।