‘তিতেকে কাজ চালিয়ে যেতে হবে’
৭ জুলাই ২০১৮ ১৫:৫৪
।। স্পোর্টস ডেস্ক ।।
হেক্সা জয়ের মিশনে এসে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে ব্রাজিলের। গত বিশ্বকাপের কোচ লুইস ফেলিপ স্কলারির পর কার্লোস দুঙ্গার বিদায়, এরপর হেক্সা জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন কোচ তিতে। রাশিয়া বিশ্বকাপে ব্রাজিল কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেয়ায় আশা ভেঙে গেলেও কোচ তিতে দলের সঙ্গে থেকে যাবেন বলে প্রত্যাশা করছেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার রোনালডো।
দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন রোনালডো বলেছেন, ব্রাজিলে আমরা সেমিফাইনালে হেরেছিলাম, আর এখানে হারতে হলো কোয়ার্টারে, এতে কোনো লজ্জা নেই। কিন্তু আমরা সেলেসাওদের কাছে বরাবরের মতো এবারও অনেক প্রত্যাশা করেছিলাম। সবসময়ই আরও বেশি কিছু চাই আমরা। ছেলেরা কিন্তু খুব খারাপ খেলেনি, কিন্তু ফলাফলটা হয়েছে হতাশাজনক। ব্রাজিল জাতীয় দলের কাছে এই ফলাফল খুবই বাজে।
রাশিয়া বিশ্বকাপের আগে পুরো বাছাইপর্বে তিতের অধীনে ব্রাজিল ম্যাচ হেরেছিল একটি। পরাজয় বলতে কেবল ওই একটিই। সবার ওপরে থেকে দক্ষিণ আমেরিকার দলগুলোর মধ্যে ১৮ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৪১ পয়েন্ট পেয়ে সরাসরি রাশিয়ার টিকিট কাটে তিতের শিষ্যরা।
২০০২ সালে ব্রাজিলকে সর্বশেষ বিশ্বকাপ এনে দেয়া রোনালডো আরও যোগ করেন, এখন সময় ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা করার। আমি বিশ্বাস করি তিতে অবশ্যই থেকে যাবেন। তিনি চমৎকার কাজ করছেন। তাকে এই কাজ চালিয়ে যেতে হবে। তিতের কোচ হিসেবে থেকে যাওয়া উচিত। সে একজন অসাধারণ মানুষ, দলের সাথে কাজও করছে দুর্দান্ত। তাকে এই কাজ চালিয়ে যেতে হবে।
নিজেদের মাটিতে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পরই স্কলারিকে সরিয়ে দেশটির সাবেক মিডফিল্ডার দুঙ্গাকে নতুন করে কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয় ব্রাজিল। তারও আগে ২০০৬ সালে থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত তিনি ব্রাজিল দলের দায়িত্বে ছিলেন। দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পেয়ে ব্রাজিলকে পাল্টে দিয়েছিলেন দুঙ্গা। তবে, ২০১৮ বিশ্বকাপের কোয়ালিফাইং রাউন্ডের এক-তৃতীয়াংশ যখন শেষ, ব্রাজিল তখন ছয় নম্বরে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে তাদের আসা হতো না। চাপের মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসা হয়নি দুঙ্গার। এরই মধ্যে ব্রাজিল বিদায় নেয় কোপা আমেরিকার আসর থেকে। এদিকে, শঙ্কা জাগে সব বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার রেকর্ড থেকে ছিটকে পড়তে পারে ব্রাজিল। সরিয়ে দেওয়া হয় দুঙ্গাকে, আনা হয় তিতেকে।
তারপর সবকিছুই ইতিহাস। তিতে দলে কিছু অদল-বদল করেন। প্রথমে তার সমালোচনা হলেও, পরে সিদ্ধান্ত সঠিক বলে প্রমাণিত হয়। বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই না করার যে শঙ্কা জেগেছিল, সেটা উড়িয়ে দিয়ে তিতের ব্রাজিল ঘুরে দাঁড়ায়। এরপরের গল্পটা সবারই জানা।
সারাবাংলা/এমআরপি