সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধে সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে জেনারেশন জি বা জেন-জির বিক্ষোভে উত্তপ্ত নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছে দেশটির বিভিন্ন স্থানে। এখন পর্যন্ত ১৯ জন নিহত হবার খবর পাওয়া গেছে। এদিকে, এই বিক্ষোভের জেরে আগামীকাল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকা বাংলাদেশ-নেপাল আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল দলের ম্যানেজার আমের খান। নেপালের পক্ষ থেকে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে ম্যাচ খেলার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশ তাতে রাজি হয়নি বলে জানিয়েছেন আমের খান।
দুটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশ ফুটবল দল কদিন ধরেই নেপালে। একটা প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েও গেছে। আগামীকাল রাজধানী কাঠমান্ডুতেই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল দ্বিতীয় ম্যাচ। বিক্ষোভের কারণে এই ম্যাচের আগে অনুশীলন করতে পারেনি বাংলাদেশ। গতকাল এবং আজ দলীয় অনুশীলন বাতিল করতে হয়েছে। এবার ম্যাচ বাতিলের ঘোষণাই এলো।
নেপাল থেকে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার আমের খান বলেন, ‘গ্যালারিশূন্য স্টেডিয়ামেও ঝুঁকি থেকে যায়। কারণ যেখানে জনগণ পার্লামেন্টে প্রবেশ করেছে, সেখানে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করবে না এমন নিশ্চয়তা নেই।’
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) খেলোয়াড়দের যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কাজ করছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ দলের ফ্লাইট ছিল আগামী পরশু (বুধবার)। ফ্লাইট এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে বলেছেন আমের খান। তিনি বলেন, ‘ফেডারেশন টিকিটের বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। যত দ্রুত সম্ভব আমাদের এই স্থান ত্যাগ করা প্রয়োজন।’
জানা গেছে বিক্ষোভ সহিংস রূপ ধারণ করলে স্থানীয় প্রশাসন দেশটির বিভিন্ন শহরে কারফিউ জারি করে। বিকেল থেকে কাঠমান্ডু, পোখারা, বুটওয়াল, ভৈরহাওয়া এবং ইতাহারিসহ একাধিক শহরে কারফিউ চলছে।
পুলিশ জানায়, কারফিউ জারির পরও কাঠমান্ডুর নিউ বানেশ্বরে ফেডারেল পার্লামেন্ট ভবনের সামনে বিক্ষোভ থামেনি। ভ্যালি পুলিশের মুখপাত্র খানাল বলেন, ‘কিছু এলাকায় এখনো বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ চলছে।’
পুলিশের তথ্যমতে, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত একশ’র বেশি মানুষ আহত হয়েছেন, যারা কাঠমান্ডুর তিনটি পৃথক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আরও ৪৫ জন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।