এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হংকংয়ের মুখোমুখি হয়ে প্রত্যাশিত জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার শুরুটা ভালো করতে পারেননি। তবে তিনে নামা লিটন দাস দারুণ ব্যাটিং করেছেন। তাওহিদ হৃদয় একপ্রান্ত ধরে এগিয়েছেন। সব মিলিয়ে বড় জয়ই পেয়েছে বাংলাদেশ।
আগে ব্যাটিং করে ১৪৩ রান তুলেছিল হংকং। পরে ১৮ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে ১৪৩ রানের জবাব দিতে নেমে পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হাসান তামিমের ওপেনিং জুটি বাংলাদেশকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিতে পারেননি। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ১৪ বলে ১৯ রান করে সীমানায় ধরা পরেছেন ইমন।
তানজিদ হাসান তামিম উইকেটে ছিলেন বেশ কিছুক্ষণ। স্লোয়ার বলে টাইমিং করতে না পেরে আউট হয়েছেন পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে। বাংলাদেশের স্কোর তখন ৪৭/২। এরপর দ্রুত রান তোলার চিন্তা বাদ দিয়ে ইনিংস এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় এগিয়েছেন লিটন দাস ও তাওহিদ হৃদয়।
সেট হওয়ার পর লিটন অবশ্য একটু হাত খুলে খেলার চেষ্টা করেছেন। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৭০ বলে ৯৫ রান তুলেছেন দুজন। দারুণ একটা ফিফটি করার পর লিটন যখন ফিরেছেন বাংলাদেশ জয় থেকে মাত্র ২ রান দূরে। ৩৯ বল খেলে ৬টি চার ১টি ছয়ে ৫৯ রান করে বোল্ড হয়েছেন লিটন।
১৭.৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য ১৪৪ রান তুলে ফেলে বাংলাদেশ। তাওহিদ হৃদয় অপরাজিত ছিলেন ৩৬ বলে ৩৫ রান করে।
এর আগে হংকংকে ১৪৩ রানে আটকে দিয়েছে বাংলাদেশ। টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। হংকংকে দ্রুত আটকে দেওয়ার পরিকল্পনাই ছিল নিশ্চয় টাইগারদের। শুরুটাও বেশ ভালো হয়েছিল বাংলাদেশি বোলারদের। দ্বিতীয় ওভারে উইকেট এনে দেন তাসকিন আহমেদ। তানজিম হাসান সাকিব পঞ্চম ওভারের চতুর্থ বলে যখন বাবর হায়াতকে বোল্ড করলেন তখন হংকংয়ের স্কোর ৩০/২।
মাঝের ওভারগুলোতে এরপর দুটি শক্ত জুটি গড়েছে হংকং। বাংলাদেশি বোলাররা উইকেট এনে দিতে পারেননি মাঝের ওভারগুলোতে। তৃতীয় উইকেটে ৪১ বলে ৪১ রান তোলেন জিসান আলি ও নিজাকাত খান।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে মাত্র ৩৪ বলে ৪৬ রান তোলেন নিজাকাত খান ও অধিনায়ক ইয়াছিম মুর্তাজা। শেষ কয়েকটা ওভারে অবশ্য দারুণ কামব্যাক করেন বাংলাদেশি বোলাররা। ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে থেমেছে হংকং।
বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান ও তানজিদ হাসান সাকিব।