সমীকরণ ছিল পাকিস্তানকে হারাতে পারলেই এশিয়া কাপের ফাইনাল নিশ্চিত বাংলাদেশের। এমন সমীকরণ নিয়ে মাঠে নেমে বোলাররা তাদের কাজটা করে রাখলেন দুর্দান্তভাবেই। ১৩৫ রানেই পাকিস্তানকে আটকে রেখেছিল বাংলাদেশের বোলিং বিভাগ। আধুনিক টি-টোয়েন্টিতে এটা মোটেও কঠিন লক্ষ্য নয়। কিন্তু এরপর বাংলাদেশের ব্যাটিং হলো রীতিমতে হতাশার।
শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১২৪ রানেই গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। যাতে শেষ পর্যন্ত ১১ রানে ম্যাচ হেরেছে লাল-সবুজের দল। এই হারে এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের। অপর দিকে দ্বিতীয় দল হিসেবে এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠে গেল পাকিস্তান।
আগেই টুর্নামেন্টের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ভারত। অর্থাৎ এশিয়া কাপের ফাইনালে হতে যাচ্ছে আরেকটা ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ।
বৃহস্পতিবার (২৬) দুবাইয়ে ১৩৫ রানের জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই ভুগেছে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই ফিরেছেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। তিনে নামা তাওহিদ হৃদয় ১০ বলে ৫ রান করে ফিরলে বিপদ বাড়ে বাংলাদেশের। খানিক বাদে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সাইফ হাসানও ফিরলে আর ঘুরে দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশ।
মিডল অর্ডারে আজও ব্যর্থ জাকের আলী অনিক। একাদশে ডাক পাওয়া নুরুল হাসান সোহানও সুবিধা করতে পারেননি। ২১ বলে ১৬ রান করে আউট হয়েছেন। জাকের আলী আউট হয়েছেন ৯ বলে ৫ রান করে।
শামীম হোসেন পাটোয়ারী ক্রিজে পরে ছিলেন অনেকক্ষণ। ২৫ বলে ৩০ রান করা শামীম সপ্তম ব্যাটার হিসেবে ফিরলে বাংলাদেশের জয়ের আশে সেখানেই মিলিয়ে গেছে।
ইনিংসের শেষ বলে গুটিয়ে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের রান ছিল ১২৪। শেষ দিকে ১১ বলে ১৬ রানে অপরাজিত ছিলেন রিশাদ হোসেন। পাকিস্তানের হয়ে শাহিন আফ্রিদি ১৭ রানে ও হারিস রউফ ৩৩ রানে তিনটি উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে দাপুটে বোলিং করেছে বাংলাদেশ। রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমানরা বোলিংয়ে ছিলেন দুর্দান্ত। ৮ উইকেটে ২০ ওভারে ১৩৫ রানে থেমেছে পাকিস্তান। সর্বোচ্চ ৩১ রান করেছেন মোহাম্মদ নাওয়াজ।
বাংলাদেশের হয়ে ২৮ রানে তিন উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। দুইটা করে উইকেট নিয়েছেন রিশাদ হোসেন ও শেখ মাহেদি।