এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ের শুরুটা হয়েছিল উড়ন্ত। টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামা পাকিস্তান বিনা উইকেটে ৮৪ রান তোলে। একটা সময় ১ উইকেটে ১১৩ রান ছিল পাকিস্তানের। তখন রানটের দশ ছুইছুই। সেই পাকিস্তান কিনা গুটিয়ে গেল ১৪৬ রানেই!
ইনিংসে শেষে ধারাভাষ্যে বলা হচ্ছিল, ভূতুড়ে পারফরম্যান্স দেখালেন পাকিস্তানের ব্যাটিং বিভাগ। আসলেই তাই, দুর্দান্ত সূচনার পর পাকিস্তান যেভাবে গুটিয়ে গেল সেটা রীতিমতো ভূতুড়েই। প্রথম তিন ব্যাটার ছাড়া পাকিস্তানের হয়ে দুই অঙ্কের কোটা পেরুতে পারেননি আর কোনো ব্যাটার। পাকিস্তানের ১৪৬ রানের ১০৩ রানই করেছেন দুই ওপেনার শাহিবজাদা ফারহান ও ফখর জামান।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুবাইতে এশিয়া কাপের ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে ভারত-পাকিস্তান। টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই আক্রমাণাত্মক খেলেছেন পাকিস্তান ওপেনার শাহিবজাদা ফারহান।
পাকিস্তানের অপর ওপেনার ফখর জামান ক্রিজে উইকেট ধরে রাখার কাজটা করেছেন। আর অন্য প্রান্ত থেকে শাহিবজাদা রীতিমতো ব্যাটে ঝড় তুলেছিলেন।
জাসপ্রিত বুমরাহ, কুলদ্বীব যাদবদের নিয়ে গড়া ভারতের বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে মাত্র ৩৩ বলে ফিফটি তুলে নেন ফারহান। দাপুটে রান তুলতে থাকা পাকিস্তানি ওপেনার শেষ পর্যন্ত ফিরেছেন ৫৭ রান করে। ৩৮ বলে ৫টি চার ৩টি ছয়ে এই রান করেছেন ফারহান।
এরপর সায়েব আইয়ূবকে নিয়ে এগুচ্ছিলেন ফখর জামান। পাকিস্তানের দলীয় ১১৩ রানের মাথায় ১১ বলে ১৪ রান করে ফেরেন সায়েব। তারপর যেন মড়ক লাগল পাকিস্তান ইনিংসে!
সেট ব্যাটার ফখর জামানসহ অন্য ব্যাটাররা যেন আসা-যাওয়ার মিশনে নেমে পড়লেন! ১ উইকেটে ১১৩ রানের পাকিস্তান তারপর যেন ব্যাটিংটাই ভুলে গেল।
টপাটপ উইকেট হারিয়ে ইনিংসের পাঁচ বল আগে ১৪৬ রানে গুটিয়ে গেছে পাকিস্তান। ফখর জামান ৩৫ বলে ২টি করে চার ছয়ে ৪৬ রান করেন। সায়েম আইয়ূব ১৪ রান করেছেন।
ভারতের হয়ে ৩০ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন কুলদ্বীপ যাদব। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন জাসপ্রিত বুমরাহ, অক্ষার প্যাটেল ও বরুণ চক্রবর্তী।