ক্লাবের সতীর্থ যখন জাতীয় দলের ‘শত্রু’
১০ জুলাই ২০১৮ ১৫:৫৭
স্পোর্টস ডেস্ক।।
ক্লাবে তারা সবাই বন্ধু। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, চেলসি, ম্যানচেস্টার সিটি, টটেনহামে সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে খেলেন এক সঙ্গে। কিন্তু জাতীয় দলের জার্সিতে আজ সবাই তারা শত্রু। ফ্রান্স-বেলজিয়াম ম্যাচে তাই সেই বন্ধুত্ব একপাশে রেখেই একে অন্যকে বধ করার ছক কষতে হবে লুকাকুদের।
এ নিয়ে দোটানায়ও পড়তে হচ্ছে খেলোয়াড়দের। অলিভিয়ের জিরুকে যেমন কাল প্রশ্ন করা হয়েছিল, ফ্রান্সের সতীর্থ উগো লরিস নাকি ক্লাব চেলসির সতীর্থ থিবো কোর্তোয়া, কোন গোলরক্ষক এগিয়ে। ফ্রান্সের স্ট্রাইকার হিসেবে এই মুহূর্তে লরিসের সতীর্থ জিরু, কিন্তু কিছুদিন পরেই আবার চেলসিতে অনুশীলন করবেন কোর্তোয়ার সঙ্গে। প্রশ্নটা করতে জিরু একটু থমকেই গেলেন। কূটনৈতিক ভঙ্গিতে শুরুতে এগিয়ে রাখতে চাইলেন দুজনকেই। কিন্তু পরে বললেন, এই মুহূর্তে এগিয়ে রাখছেন লরিসকে। সেজন্য মজা করে কোর্তোয়ার কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন!
জিরুর ‘উভয় সংকট’ অবশ্য এখানে শেষ নয়। চেলসির সতীর্থ ও বেলজিয়াম অধিনায়ক এডেন হ্যাজার্ড আজ হতে পারেন ফ্রান্সের জন্য বড় হুমকি। অন্যদিকে ফ্রান্সের হয়ে কিলিয়ান এমবাপ্পে খেলছেন দুর্দান্ত, জিরু অবশ্য বললেন, তাঁর সঙ্গে খেলা তিন জনের একজনের হ্যাজার্ড। কিন্তু এই মুহূর্তে চাইবেন, এমবাপ্পেই বেশি ভালো করুক।
এরকম দোটানা আরও অনেকের আছে। লরিসের জন্য সেটা সবচেয়ে বেশি। টটেনহামের ফ্রেঞ্চ গোলরক্ষক প্রতিপক্ষ শিবিরে পাচ্ছেন বেশ কয়েকজন সতীর্থকে। জাঁ ভার্তোনহেন ও টবি অলডারউইরেল্ড খেলেন টটেনহামে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের তিন জন আজ একে অন্যের প্রতিপক্ষ। রোমেলু লুকাকু ও মারুয়ানে ফেলাইনি, বেলজিয়াম ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে দুজনেই রেড ডেভিল।
অন্যদিকে চেলসিতে হ্যাজার্ড, বাতশুই, কোর্তোয়াদের বিপক্ষে খেলতে হচ্ছে জিরু, কান্তেদের। আবার বেলজিয়াম রাইটব্যাক টমাস ম্যুনিয়ের পিএসজিতে খেলেন এমবাপ্পেদের সঙ্গে। ম্যানচেস্টার সিটিতে খেলেন বেলজিয়ামের কোম্পানি, আবার অন্যদিকে ফ্রান্স দলে আছেন ম্যান সিটির ডিফেন্ডার বেঞ্জামিন মেন্ডি।
তবে আজ ক্লাবের হয়ে সবকিছু মিলে জাতীয় দলের জার্সিটাই উঁচু করে ধরবেন লড়াই। বেলজিয়াম-ফ্রান্স লড়াইয়ের মধ্যেও এটা অন্যরকম আরেক লড়াই।
সারাবাংলা/ এএম